Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

'আমি বিয়ের দিনও পালাতে পারি'

তিনি মুডি হতে পারেন, কিন্তু পেশাদারও। জন্মদিনের স্পেশ্যাল শ্যুটে আনন্দ প্লাসের জন্য সক্কাল সক্কাল একদম নির্দিষ্ট সময়েই রাইমা রেডি। লোকেশনে পৌঁছে একটু অপেক্ষা করতে হলেও তাঁর হাসিমুখ। বিস্ময় প্রকাশ করতেই স্বভাবসিদ্ধ স্টাইলেই বললেন, ‘‘একটু ট্যানট্রাম থ্রো করা উচিত বলছেন?’’তিনি মুডি হতে পারেন, কিন্তু পেশাদারও। জন্মদিনের স্পেশ্যাল শ্যুটে আনন্দ প্লাসের জন্য সক্কাল সক্কাল একদম নির্দিষ্ট সময়েই রাইমা রেডি। লোকেশনে পৌঁছে একটু অপেক্ষা করতে হলেও তাঁর হাসিমুখ। বিস্ময় প্রকাশ করতেই স্বভাবসিদ্ধ স্টাইলেই বললেন, ‘‘একটু ট্যানট্রাম থ্রো করা উচিত বলছেন?’’

রাইমা

রাইমা

দীপান্বিতা মুখোপাধ্যায় ঘোষ
শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৭ ০০:০০
Share: Save:

প্র: জন্মদিন কেমন কাটালেন?

উ: ওই যেমন হয়। বাড়ির ছাদেই পার্টি ছিল। মা, বাবা, রিয়া, শিবম আর বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মজা করলাম। আমার জন্মদিনের জন্যই রিয়া-শিবম এসেছিল। পুরোটাই কাছের লোকেদের নিয়ে আনন্দ করা। আর সঙ্গে অবশ্যই প্রচুর খাওয়াদাওয়া (হাসি)।

প্র: আপনি তো ডায়েট শুরু করেন আর মাঝপথেই থেমে যান...

উ: ফুডি হলে যা হয়। একটা শর্ট ফিল্মের শ্যুট শুরু হয়েছে। এ বার একটু বুঝেশুনে খাব। জয়পুরে বিয়েবাড়ি গিয়েছিলাম। ওখানে যা খেয়েছি, ভাবতেও পারবেন না! দিল্লিতে বোনের বাড়িতে গিয়েছিলাম। ওখানেও প্রচুর খেয়েছি। এ বার শীতকাল আসছে। তার পর ক্রিসমাস, নিউ ইয়ার... ডায়েটের কথা ভাবলে চলে নাকি (ফিচেল হাসি)!

প্র: ইন্ডাস্ট্রির কাউকে ডাকেননি পার্টিতে?

উ: পার্নো, পাওলি, শতাফ...এই রকমই ক্লোজ কয়েক জনকে।

প্র: আর বিক্রম (পুরী)? আপনারা তো এখনও বন্ধু।

উ: না, ওকে ডাকিনি। কী করে ডাকব? দিল্লিতে রয়েছে তো!

প্র: বিশেষ কোনও নিয়ম মানেন এই দিনটায়?

উ: দিদিমা থাকার সময় আমরা একসঙ্গে লাঞ্চ করতাম। আর আমার জন্মদিনে পার্টি হবেই হবে। আমি সকলের পার্টিতে গিয়ে হুল্লোড় করে আসি। তাই নিজের পার্টিতে তাদেরও ডাকি। রিয়া কোনও সোশ্যাল গ্যাদারিং পছন্দ করে না। ওর সব কিছুই আবার প্রাইভেট।

প্র: যেমন ভাবে বিয়ে করল?

উ: একদম। ওর সব কিছু দু’-চার জনের মধ্যে আটকে থাকে। এমনিতেও রিয়া বেশি কথা বলে না। যদি না কাউকে ওর খুব পছন্দ হয়। বিয়েটাও সে কারণে ভীষণ ব্যক্তিগত রেখেছিল। আমি বা মা কেউই তা চাইনি। কিন্তু রিয়াই জোর করল। জানেন, বিয়ের মেকআপও রিয়া নিজেই করেছে!

আরও পড়ুন:কিশোরকণ্ঠী প্রসেনজিৎ?

প্র: স্বাভাবিক ভাবেই এ বার আপনার বিয়ের কথা আসে। আপনার মা কিছু বলছেন না?

উ: সে তো মা সব সময়ই বলতে থাকে। শুনছে কে! রিয়া বিয়ে না করলেও বলত। তবে বাবা চিলড। মা যে খুব জোর করে, তা নয়। মাঝেমধ্যে বলে, এ বার তোমার সেটল করে নেওয়া উচিত। ওই পর্যন্তই। পাশাপাশি ভাল কাজ করার জন্য উৎসাহ দেন। বিয়ে তো ভাগ্যের উপর নির্ভর করছে। যখন হওয়ার, তখনই হবে। জোর করে কিছু হওয়ার নয়।

রাইমা

প্র: ইন্ডাস্ট্রির মত, রাইমা বিয়ের দিনও পালাতে পারে!

উ: (জোর হাসি) ঠিক। ‘মাছ মিষ্টি এন মোর’এ মৈনাক তো দেখিয়েছে কনে অবস্থায় আমি পালাচ্ছি। সো এনিথিং ইজ পসিবল। সত্যিই বিয়ের দিনও আমি পালাতে পারি। (রাইমার কথা শুনে পাশ থেকে মেকআপ আর্টিস্টও সায় দিলেন) এগুলো শুনলে লোকে আমার বিয়েতে আসবেও না। ভাববে, বিয়ের দিন কী কাণ্ডই না হবে (ফের ফিচেল হাসি)!

প্র: তা হলে রাইমার রিলেশনশিপ স্টেটাস কী?

উ: ইটস কমপ্লিকেটেড। আমার দিক দিয়ে সব সময় কমপ্লিকেটেড।

প্র: মানে আপনার কমিটমেন্ট ফোবিয়া কোনও দিনই যাবে না।

উ: আমি কিন্তু এখন আর কমিটমেন্ট ফোবিক নই। বিয়েটা সত্যিই করতে চাই। করা উচিতও। কিন্তু মাঝেমধ্যে বিয়ে নিয়ে বন্ধুবান্ধবের মধ্যে যা শুনি, তাতে বুঝতে পারি জিনিসটা খুব সহজ বিষয় নয়। আমার কাছে স্বাধীনতা খুব জরুরি। বিয়ের পর সেটা কতটা থাকবে, জানি না। আর এত দিন স্বাধীন ভাবে নিজের মতো সব কিছু করার পর আমি কারও সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব কি না সন্দেহ আছে! নিজের মাথায় জিনিসটা আগে ক্লিয়ার করে নিতে চাই। তার পর বিয়ে। তবে রিয়ার বিয়ে ভাল হয়েছে দেখে আমি খুশি। কিন্তু কে কীসে খুশি হবে সেটা তো আলাদা বিষয়। শিবম খুব ভাল। রিয়ার ইন লজ’রাও খুব ভাল। আমাদের পরিবারের সঙ্গে দিব্যি মিলেমিশে গিয়েছে। এটাও তো জরুরি।

প্র: বাংলায় কি কম ছবি করছেন?

উ: একটু তো বেছে করছিই। ‘কায়া’ বলে একটা ছবি রিলিজ করবে। শৌভিক গুপ্তর বাংলা-হিন্দি শর্ট ফিল্ম ‘মেহমান’-এর জন্য শ্যুট করছি। একটা বড় বাংলা ছবি করছি, সেটার কথা পড়ে জানাব। ওয়েব সিরিজ করলাম। যেটা এখন ইন থিং। ১৫ ঘণ্টা করে শ্যুট করেছি। এগুলোয় অভ্যস্ত ছিলাম না। তবে ম্যানেজ করে নিয়েছি। সামনের বছরে বাংলাতেও বেশ কিছু বড় কাজ করব। এখনও পর্যন্ত যে ভাবে কাজের প্রস্তাব পাচ্ছি, আই অ্যাম হ্যাপি।

প্র: বলছিলেন হাতের সব আংটি খুলে দিয়েছেন...

উ: হ্যাঁ, এই একটা কাণ্ড আমি ঘটিয়েছি। একদিন সত্যিই মনে হল, কী হচ্ছে এত আংটি, স্টোন পড়ে! এগুলো কি সত্যিই আমার জীবন-ভাগ্য বদলে দেবে? রাস্তার এক পানওয়ালাকেও দেখলাম আমার মতোই আংটি প়ড়ে রয়েছে। তাতে কী হল ওঁর? তাই সব খুলে ফেলেছি। আর কোনও দিন এ সব নিয়ে মাথা ঘামাব না। খুলে ফেলার পরেও আমি ভাল আছি। মজার ব্যাপার হল, তার পরই আমি তিনটে ছবির প্রস্তাব পেয়েছি (হাসি)! তা হলেই বুঝুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Celebrity Interview Raima Sen Tollywood Bollywood
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE