প্র: ‘রাজ়ি’ নিয়ে রীতিমতো সাড়া পড়ে গিয়েছে। আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?
উ: ৫০ দিনে ধরে মুম্বই, পঞ্জাব, কাশ্মীরে শুটিং হয়েছে। সত্যি কথা বলতে কী, মেঘনা (গুলজার) ও আলিয়ার (ভট্ট) মতো দু’জন প্রতিভাময়ীর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা অতুলনীয়। মেঘনার ‘তলওয়ার’ দেখার পরেই ওঁর সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে প্রবল হয়েছিল। এখন যে ধর্মা অফিসে বসে সাক্ষাৎকার দিচ্ছি, এটাও স্বপ্নের চেয়ে কম নয়। মেঘনা ওঁর অভিনেতাদের প্রতি ভীষণ যত্নশীল। ছবির সমস্ত চরিত্রগুলো উনি নিজের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে নেন। চরিত্রের জামাকাপড় থেকে উচ্চারণ— সমস্ত কিছুর উপর মেঘনার কড়া নজর। উনি আমাকে উর্দু শিখতে সাহায্য করেছেন। তবে গুলজার সাবের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছেটা অপূর্ণ রয়ে গিয়েছে। উনি দু’দিন সেটে এলেও, আমি এক দিনও ছিলাম না।
প্র: আলিয়ার সঙ্গে কাজ করার সময়ে টেনশন হয়নি?
উ: আমি নিজে আলিয়ার ভক্ত। ‘উড়তা পঞ্জাব’-এ
ও অনবদ্য। সুপারস্টার হলেও আলিয়ার কোনও দম্ভ নেই। ‘উড়তা...’ মুক্তির পর পার্টিতে আলিয়ার সঙ্গে আমার হঠাৎ দেখা। ওর অভিনয় নিয়ে প্রশংসা করায় ও বলেছিল, ‘তুমি ‘মাসান’-এ ভীষণ ভাল কাজ করেছ।’ আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আলিয়া যে আমাকে চিনত, সে বিষয়ে আমার ধারণাই ছিল না। আমার মতে ‘রাজ়ি’র সেহমত আলিয়ার করা সবচেয়ে কঠিন চরিত্র।
প্র: কেরিয়ারের এই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে কী ভাবে নিজের মূল্যায়ন করবেন?
উ: ‘মাসান’-এর পর আমার ‘জুবান’, ‘রামন রাঘব’ দর্শকের ভাল লাগেনি। কিন্তু টিভিতে যখনই এই দু’টি ছবি দেখানো হয়, আমাকে অনেকে মেসেজ করেন। তবে ছবি তেমন না চললেও নওয়াজউদ্দিন স্যর (সিদ্দিকি) ও অনুরাগ কাশ্যপের মতো মানুষদের সঙ্গে কাজ করা আমার কাছে বড় প্রাপ্তি। এত কম সময়ে কর্ণ (জোহর), মেঘনার মতো নির্দেশকদের সঙ্গে কাজ করছি। এর চেয়ে ভাল আর কী হতে পারে? নিজের সম্পর্কে আমি খুব ওয়াকিবহাল। তাই কাজকে হালকা ভাবে নিই না। ভাল সুযোগ পাওয়ার খিদেই আসল।
প্র: সঞ্জয় দত্তের বায়োপিকে আপনার চরিত্রটা নাকি বেশ বড়?
উ: আমি সঞ্জয়ের খুব ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর চরিত্র করছি। সে সঞ্জয়ের ভাল-খারাপ সময়ের সঙ্গী। রণবীরের (কপূর) সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা অতুলনীয়। ভীষণ ঠান্ডা মাথার ও। ছবির শুটিংয়ের পর সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। ওঁর মতো বড় হৃদয়ের মানুষ ইন্ডাস্ট্রিতে খুব কমই আছেন।
প্র: আপনার বাবা শ্যাম কৌশল নামকরা অ্যাকশন ডিরেক্টর। কখনও বাবাকে অনুসরণ করার কথা মনে হয়নি?
উ: ক্লাস টেন অবধিও ইচ্ছে ছিল বাবার মতো অ্যাকশন ডিরেক্টর হব। তার পর ইচ্ছেটা চলে গেল। হৃতিকের (রোশন) বড় ফ্যান ছিলাম বলে বাবার সঙ্গে ‘ফিজা’র সেটে গিয়েছিলাম। আর এক বার ‘অশোকা’র সেটে গিয়েছিলাম। বাবা ওখানে খলনায়কের চরিত্র করেছিলেন। কিন্তু এই দু’বারই আমি ভীষণ বোর হয়েছিলাম। পরে বাড়িতে বাবা যখন কাজের বিষয়ে মিটিং করতেন, তখন আলোচনা শুনে আমিও নিজেকে হিরো হিসেবে কল্পনা করতাম।
প্র: ভাই সানিও তো অভিনেতা...
উ: সানি আমার চেয়ে ১৬ মাসের ছোট। অক্ষয়কুমারের ‘গোল্ড’-এ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র করছে ও। কবীর খানের ‘ফরগটেন আর্মি’তে সানি মুখ্য ভূমিকায়। আমরা বাড়িতে ছবি নিয়ে বেশি আলোচনা করি না। আসলে ‘অ্যাকশন’ আর ‘কাট’ বলার মাঝের সময়টুকুতেই আমরা অভিনেতা। বাকি সময়ে দুই ভাই মাত্র। পেশার কাজে যেমন সাহায্য করি, তেমনই অবসরে হাসি-ঠাট্টাও চলতে থাকে।
প্র: ‘মনমর্জিয়া’র শুটিংও তো শেষ...
উ: পঞ্জাবে গেলেই আমি ভীষণ আনন্দ করি। অভিষেক (বচ্চন), তাপসী (পান্নু), আমি একসঙ্গে সেটে থাকা মানেই খাওয়া আর খাওয়া। শুটিংয়ের ফাঁকে নিত্যনতুন ধাবা আবিষ্কার করতে বেরিয়ে পড়তাম। তাই প্রায়ই আমাদের পেটখারাপ হতো (হেসে)।
প্র: এ ছাড়া কী করছেন?
উ: ‘উরি’র শুটিংয়ের প্রস্তুতি চলছে। আমাকে ওজন বাড়াতে আর দাড়ি রাখতে বলা হয়েছে। উরিতে যে সার্জিকাল স্ট্রাইক হয়েছিল, ছবিটা তা নিয়ে। আমি ভারতীয় আর্মি কমান্ডারের চরিত্র করছি। নির্দেশনা আদিত্য ধরের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy