Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

সব খেলার সেরা বাঙালির...

ফুটবল নিয়ে বাঙালির উন্মাদনা সিনেমার পরদাতেওফুটবল নিয়ে বাঙালির উন্মাদনা সিনেমার পরদাতেও

লড়াই

লড়াই

শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৭ ০৮:০০
Share: Save:

কোনও বাঙালির ক্ষেত্রে শিরোনামটা নিশ্চয়ই শেষ করার প্রয়োজন হবে না। পাড়ার ক্লাব থেকে স্কুলে স্পোর্টসের দিন, এ গানটা বাজবে না, হতে পারে না। ফিফার বিশ্ব তালিকায় ভারতের অবস্থান তো তুচ্ছ! ফুটবল যে বহু আগেই ঢুকে গিয়েছে বাঙালির অস্থিমজ্জায়। যুব বিশ্বকাপের ম্যাচে উপচে পড়া যুবভারতী প্রতিদিন সাক্ষ্য দিচ্ছে এ কথার।

ধন্যি মেয়ে

ফুটবল সংক্রান্ত বাংলা ছবির কথা উঠলে ‘ধন্যি মেয়ে’কে সে তালিকার বাইরে রাখা শক্ত। মান্না দে’র কণ্ঠে ফুটবলের আইকনিক গান ‘সব খেলার সেরা...’ তো আছেই। বগলা এবং তার সাঙ্গপাঙ্গদের কীর্তিকলাপ দেখে হাসি চেপে রাখতে পারে এমন রামগরুড়ের ছানা খুঁজে পেতে কলকাতা উজাড় হয়ে যাবে।

লড়াই

ডার্ক হর্সদের উত্থানের গল্প ‘লড়াই’। ছবির বিষয়বস্তু পুরুলিয়ার এক গ্রামের ফুটবল দলের কোচের দায়িত্ব পান এক মদ্যপ প্রাক্তন ফুটবলার সেবাস্টিয়ান রায়ান। রাজনৈতিক ডামাডোল প্রতিবন্ধক হিসেবে সামনে আসে। তবে শেষ পর্যন্ত প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে রায়ানের দল মুখোমুখি হয় কলকাতা একাদশের।

এগারো

মোহনবাগান সমর্থকদের জন্য এর চেয়ে ভাল ছবি আর কীই বা হতে পারে! ১৯১১ সালের ১৯ জুলাইয়ের সেই বিখ্যাত দিনের সিনেমার রূপান্তর এ ছবি। সে দিন মোহনবাগান ক্লাব খালি পায়ে খেলে জয় লাভ করে ইংল্যান্ডের ইস্ট ইয়র্কশায়ার ক্লাবের বিরুদ্ধে। ঘটনাটা তাই মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে স্বদেশী আন্দোলনের সমতুল্য।

মোহনবাগানের মেয়ে

এ ছবি হালকা চালের প্রেমের ছবি। যার কেন্দ্রবিন্দুতে আসলে বাঙালির আর এক চিরপরিচিত রুটিন। ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান। ছেলের বিয়ের জন্য মোহনবাগানের পাঁড় ভক্ত বাবার (উৎপল দত্ত) চাহিদা তার দলের সমর্থক কোনও মেয়ে। কিন্তু ছেলের মন যে মজে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের মেয়েতে! তাই শুধু ফুটবল নয়, ফুটবল নিয়ে উন্মাদনাও ধরা পড়েছে ‘মোহনবাগানের মেয়ে’ ছবিতে।

সাহেব

পারিবারিক কারণে এবং পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির চাপে নিজের স্বপ্নকে মেরে ফেলার দলিল সিনেমাটা। তাপস পালকেও অন্য রূপে দেখা যায় এ ছবিতে। যে ছেলের পড়াশোনায় তেমন মন নেই। কিন্তু ফুটবলে তার ট্যালেন্টকে ছোঁয় কার সাধ্য। তবে পরিবারে আর্থিক অনটন শুরু হলে? তখনও কি ধাওয়া করতে পারবে স্বপ্নকে?

ওপেন টি বায়োস্কোপ

আধুনিক কালে ফুটবল, কলকাতা আর বাংলা ছবি নিয়ে কথা বললে ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’-এর নাম উল্লেখ না করা ধৃষ্টতা। উত্তর কলকাতার পাড়া, মিষ্টি প্রেম আর অবশ্যই শেষ দৃশ্যে নায়কের মারা শট তিনকাঠিতে ধরা পড়া।

আজ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইংল্যান্ড-মেক্সিকো ম্যাচ দেখতে যাওয়ার আগে ডিভিডিতে কোনও একটা ছবি দেখে নিতে পারেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE