Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Film

ছবিতে কাজ করার ইচ্ছে ছিল না

মুম্বইয়ে আনন্দ প্লাসের মুখোমুখি রক্ষন্দা খানসচিনকে আমি মাঝে মাঝে জিজ্ঞেস করি, ‘তোমার ধারাবাহিকে এর পর কী হবে একটু বলো না! ও ভুল করেও সেটা বলে না। বলে, পেশাদার ও নৈতিক দিক থেকে সেটা ঠিক হবে না (হাসি)। তবে স্বামী-স্ত্রীর হাজারো কথা থাকেই। কাজের কথা অত হয় না। আমরা ঘুরতে খুব ভালবাসি। এক দিন ছুটি পেলেই লং ড্রাইভে বেরিয়ে যাই।

মেয়ের সঙ্গে রক্ষন্দা

মেয়ের সঙ্গে রক্ষন্দা

মধুমন্তী পৈত চৌধুরী
শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

প্র: টেলিভিশনে কত বছর হল?

উ: ২০০২ সালে টিভিতে ফিকশনে প্রথম কাজ করি। দেখতে দেখতে ১৬ বছর হয়ে গেল (হাসি)!

প্র: সময়ের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রি কী ভাবে বদলেছে?

উ: টেকনিক্যাল দিক থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে। টেলিভিশন শোয়ে এখন অনেক টাকা ঢালা হয়। প্রচারের পরিধিও আগের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে। এই প্রজন্মের টেলিভিশনের অভিনেতারা তাঁদের লুক নিয়ে খুব সচেতন। চুল, মেকআপ, স্টারডম... সব বিষয়ে তাঁদের এত নজর যেন তাঁরা কোনও ছবির তারকার চেয়ে কম নন। আমরা যখন শুরু করেছিলাম, তখন টেলিভিশনকে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ‘গরিব ভাই’ বলা হতো। এখন সেই বিভাজন অনেকটাই মুছে গিয়েছে।

প্র: ছবিতে কাজ করার কথা ভাবেননি কখনও?

উ: প্রথম দিকে ছবিতে কাজ করার একদম ইচ্ছে ছিল না।

প্র: কেন?

উ: মনে হতো, ছবিতে গিয়ে আমি কী করব? কিন্তু অভিজ্ঞতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বুঝেছি, সব মাধ্যমের ভাল-খারাপ দুটো দিকই আছে। এখন যদি তেমন ভাল চরিত্রের সুযোগ পাই, নিশ্চয়ই করব।

প্র: ডিজিটাল মাধ্যম কি টেলিভিশনকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে?

উ: পুরোপুরি নয়। টেলিভিশনের যে টার্গেট দর্শক, তাঁরা কিন্তু এখনও টেলিভিশন দেখতেই পছন্দ করেন। ভবিষ্যতেও করবেন বলে মনে হচ্ছে। তবে ডি়জিটালে বিষয়বস্তু নিয়ে তুলনায় বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়। টেলিভিশনের দর্শক সে দিক থেকে রক্ষণশীল। তাঁরা ডিজিটাল দেখতে চাইছেন না বলেই টিভি দেখছেন।

প্র: আপনার স্বামী (সচিন ত্যাগী) এই পেশাতেই আছেন। কাজ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন?

উ: সচিনকে আমি মাঝে মাঝে জিজ্ঞেস করি, ‘তোমার ধারাবাহিকে এর পর কী হবে একটু বলো না! ও ভুল করেও সেটা বলে না। বলে, পেশাদার ও নৈতিক দিক থেকে সেটা ঠিক হবে না (হাসি)। তবে স্বামী-স্ত্রীর হাজারো কথা থাকেই। কাজের কথা অত হয় না। আমরা ঘুরতে খুব ভালবাসি। এক দিন ছুটি পেলেই লং ড্রাইভে বেরিয়ে যাই।

প্র: টিভিতে আপনাকে দেখে মেয়ে কি কিছু বলে?

উ: বাড়িতে কেউ বেশি টিভি দেখি, সেটা সচিন পছন্দ করে না। আমাদের বেডরুমেও টিভি নেই। মেয়ের এখন সাড়ে তিন বছর বয়স। ও যেন বেশি টিভি না দেখে সে দিকে নজর রাখি। তবে একটা মজার ঘটনা হয়েছিল। আমার শো ‘ব্রহ্মরাক্ষস’-এর সে দিন প্রথম এপিসোড ছিল। সচিন বলেছিল, মেয়ে যেন কোনও ভাবেই টিভির সামনে না আসে। ওর তখন দু’বছরও হয়নি। তবে এপিসোড দেখতে এত ব্যস্ত ছিলাম যে, খেয়ালই করিনি মেয়ে ঘরে। তার পর ভাবছি, দৈত্যকে দেখে এই বুঝি চেঁচিয়ে ওঠে। কিন্তু না। মেয়ে বলল, ‘‘মাম্মা, ডগি!’’ বলেই টিভিটাকে জড়িয়ে ধরল (হাসি)। বাবাকে টিভিতে দেখা যায়, সেটা ও বোঝে। তবে মায়েরটা বোঝেনি।

প্র: ‘নাগিন’-এর এই সিজ়নের ইউএসপি কী?

উ: আগের দুটো সিজ়নে কলাকুশলী একই ছিল। এই সিজ়নে অনেক নতুন মুখ। সেটা দর্শকের মধ্যে সাড়া ফেলবে। আর লোকের ধারণা, আমি হয়তো এখানে নেগেটিভ চরিত্রে। সেটা ভুল। সুমিত্রার চরিত্রটি বলিষ্ঠ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Film Television
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE