দিল্লির পথে শাহির শেখ ঘুমন্ত গলায় ফোন ধরলেন। ক্লান্তি ঝরে পড়ছে তাঁর কণ্ঠস্বরে। ব্যাপার কী? ‘‘টানা দু’দিন ধরে শুটিং চলছে। এখন আবার ট্র্যাভেল করছি। ঘুমোনোর সময় পায়নি।’’ অবশ্য সাক্ষাৎকারের সময়ে তাঁর গলায় ভরপুর এনার্জি। পেশায় আইনজীবী হঠাৎ এলেন অভিনয় জগতে। কেন? শাহিরের মতে, জীবন যে খাতে বইবে, তিনিও সে দিকে যাবেন। পরে অন্য কোনও পেশাতেও তাঁকে দেখা যেতেই পারে! কারণ বেশ কয়েক মাস ধরে তিনি ওয়েব সিরিজ় লিখছেন, ‘‘অনেক দিন ধরে ওয়েব সিরিজ় লিখছি। কিন্তু এখনও শেষ করে উঠতে পারিনি। তার উপরে পরপর শুটিংয়ের চাপ।’’
আপাতত শাহির ব্যস্ত ‘দস্তান-এ-মহব্বত’ ধারাবাহিকের শুটিংয়ে। এই ধারাবাহিকে তিনি সেলিমের চরিত্রে। সেলিম চরিত্রের জন্য জোরদার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। শাহির মনে করেন, চরিত্র অনুযায়ী শরীরের গঠন যতটা জরুরি, সেই চরিত্রের আবেগও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। তাই গল্প পড়ে আগে চরিত্রের মন বোঝার চেষ্টা করেন। কিন্তু ওয়েব সিরিজ়ের যুগে কি দর্শক টেলিভিশন দেখছেন? ‘‘কেন দেখবেন না। ওয়েব সিরিজ়ের কনটেন্ট আর টিভির কনটেন্ট তো এক নয়। এই সব গল্পও অনেকেই জানেন না। তা ছাড়া এখানে প্রেমের গল্পও দেখানো হবে,’’ আত্মবিশ্বাসী শাহির।
ছোট পর্দায় কাজ করলেও সিনেমার জন্য এখনই নিজেকে তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। অপেক্ষা শুধু সঠিক প্রস্তাবের। শাহির বললেন, ‘‘আমি ইন্দোনেশিয়ান ছবিতে অভিনয় করেছি। কিন্তু হিন্দি ছবি করলে, ভাল চরিত্রেই ডেবিউ করতে চাই। ছোটখাটো চরিত্রে মুখ দেখাতে রাজি নই। তার চেয়ে সঠিক চরিত্রের জন্য অপেক্ষা করব।’’
কেরিয়ার নিয়েই ব্যস্ত থাকেন শাহির। অবসর পেলে বাড়িতে বসে, খেয়েদেয়ে, ঘুমিয়ে, সিনেমা দেখে সময় কাটান তিনি। ‘‘আমি সোশ্যালাইজ় করতে ভালবাসি না,’’ স্পষ্ট উত্তর শাহিরের। আর লাভ লাইফে সময় দেন? শাহিরের আনারকলি কে? হেসে কুটোপাটি তিনি, ‘‘আপাতত আমার কাজ আমার প্রেম। তবে নিজের আনারকলি পেলে তাকে প্রোটেক্ট করব। অউর জ়রুরত পড়ে তো বাগাওয়াত হোগি... জ়রুর হোগি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy