ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ষোলো বছর কাটিয়ে ফেললেন অভিনেতা জন আব্রাহাম। তবে গত কয়েক বছর অভিনেতা হিসেবে তাঁর উপস্থিতি সে ভাবে চোখে পড়ছে না। বরং প্রযোজক হিসেবে তিনি অনেক বেশি উজ্জ্বল। প্রযোজক জনের প্রথম ছবি ‘ভিকি ডোনার’। তার পরেই ‘ম্যাড্রাস কাফে’। পরের ছবি ‘ফোর্স টু’, ‘পরমাণু’ প্রযোজনার সঙ্গে তাতে অভিনয়ও করেন তিনি।
ইদানীং অবশ্য জন যে ছবিগুলো করছেন, সব ক’টিতেই দেশাত্মবোধের প্রাধান্য। এর কি কোনও বিশেষ কারণ রয়েছে? ‘‘দেখুন, দর্শক হিসেবে যা আমাকে আকর্ষণ করে, যে ছবি আমাকে ভাবায়, আমি সেই ধরনের ফিল্মেই কাজ করতে চাই বা করে থাকি। ‘সত্যমেব জয়তে’র পরে আমি ‘রোমিও আকবর ওয়াল্টার’-এ কাজ শুরু করি। তবে তার পাশাপাশি আনিস বাজ়মির ‘পাগলপন্তি’ ছবিতেও অভিনয় করছি। তা ছাড়া এটাও ঠিক এখন দর্শক সত্য ঘটনা অবলম্বনে ছবি বানালে বেশি উৎসাহ দেখান,” মত অভিনেতার। ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম থেকেই জন নিজের স্টান্ট নিজেই করে আসছেন। এত বছর বাদে স্টান্ট সম্পর্কে কি ধারণা বদলেছে? “স্টান্ট ছাড়া কি অ্যাকশন ফিল্ম বানানো যায়? ফিল্ম শুরুর আগে আমরা সতর্কবাণী দেখিয়ে দিই বটে, কিন্তু সব বিষয়ে বাধানিষেধ মানলে দর্শককে বিনোদন দেব কী ভাবে?” সোজাসাপ্টা উত্তর তাঁর।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ছবি মুক্তি পাওয়ার আগে ছাড়া জনকে ইদানীং প্রচারমাধ্যমের সামনে একেবারেই দেখা যায় না। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করতেই হেসে বললেন, ‘‘আমি কোনও দিন কাউকে অনুসরণ করিনি বা কারও সামনে হাতজোড় করে কাজও চাইনি। আজ প্রযোজক হয়ে নিজের ভাবনা অনুযায়ী ছবি বানাই। এখন তো সোশ্যাল মিডিয়াই কত জনকে স্টার বানিয়ে দেয়! কিন্তু তাঁরা কোনও অর্থপূর্ণ ফিল্মে কাজ করেছেন কি? না! আমি কথার চেয়ে কাজে বিশ্বাসী। তাই পার্টিতে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করি না।”
আমির খানের মতো জন আব্রাহামকেও কোনও অ্যাওয়ার্ড নাইটে দেখা যায় না। হঠাৎ করে এগুলো এড়িয়ে চলার কারণ? ‘‘কোনও অ্যাওয়ার্ডের প্রতিই আমার শ্রদ্ধা নেই। ইদানীং আ্যাওয়ার্ডের নমিনেশন ঠিক করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় কে কত বড় স্টার, তার উপরে নির্ভর করে। পুরস্কারের কর্মকর্তারা এ সব জানেন বলেই আমাকে ডাকেন না। আর এই কারণে আমার ছবি ‘পরমাণু’ দর্শক এবং সমালোচকরা পছন্দ করলেও কোনও অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে নমিনেশন পায় না। এমন সব ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড স্পনসর করে, যা যুবসমাজের জন্য ক্ষতিকর। তার হোর্ডিংয়ের সামনে আমাদের অভিনেতারা দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন। এ সব আমার দ্বারা হবে না। তবে জাতীয় পুরস্কারের প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা,” স্পষ্টবক্তা জন।
তিনি পার্টি, পুরস্কার এড়িয়ে চলেন, তবে নিজের প্রতি অগাধ আস্থা। “এমবিএ করার পরে অ্যাড এজেন্সিতে চাকরি করছিলাম। তখনই জানতাম, নিজের ইউএসপি কী। প্রযোজক হওয়ার পরে তো ছবির কাস্টিংয়েও আমার বিশেষ ভূমিকা থাকে। ‘ভিকি ডোনার’-এ আমি কিন্তু শ্রেষ্ঠ অভিনেতাকে বেছে নিয়েছিলাম,” বললেন জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy