Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

খ-রাজপাট

চলতি প্রজন্মের তর্কযোগ্যভাবে সেরা কমেডিয়ান। অথচ তাঁর মধ্যেই ডুবে রয়েছে কত হতাশা, কান্না আর ইন্ডাস্ট্রির কোনও কোনও মানুষকে ঘিরে আক্রোশ। বিস্ফোরক খরাজ মুখোপাধ্যায়। সামনে ইন্দ্রনীল রায়অ্যাপয়েন্টমেন্ট চাইতে ফোন করায় বললেন, ‘‘আজকে হবে না। কালকে প্লিজ। আজ শ্যুটিং আছে।’’ কী শ্যুটিং জিজ্ঞেস করাতে বললেন, ‘‘লক্ষ্মী পার্টির শ্যুটিং।’’ ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন প্রোডিউসর, যাদের প্রচুর টাকা তাদের লক্ষ্মী পার্টি বলা হয়। লক্ষ্মী পার্টির শ্যুটিং শেষ করে পরের দিন নিজের বাড়িতে হাফ প্যান্ট আর লাল গেঞ্জি পরে শুরু হল আড্ডা।

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৫ ০১:২৬
Share: Save:

অ্যাপয়েন্টমেন্ট চাইতে ফোন করায় বললেন, ‘‘আজকে হবে না। কালকে প্লিজ। আজ শ্যুটিং আছে।’’ কী শ্যুটিং জিজ্ঞেস করাতে বললেন, ‘‘লক্ষ্মী পার্টির শ্যুটিং।’’

ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন প্রোডিউসর, যাদের প্রচুর টাকা তাদের লক্ষ্মী পার্টি বলা হয়। লক্ষ্মী পার্টির শ্যুটিং শেষ করে পরের দিন নিজের বাড়িতে হাফ প্যান্ট আর লাল গেঞ্জি পরে শুরু হল আড্ডা।

ইন্ডাস্ট্রিতে তাবড় তাবড় অভিনেতা এবং পরিচালকেরা বলেন, এই প্রজন্মের শ্রেষ্ঠ অভিনেতার নাম খরাজ মুখোপাধ্যায়। অনেকে আপনাকে তুলসী চক্রবর্তী, রবি ঘোষের উত্তরসূরিও বলে থাকেন।

আমি অনার্ড। এটুকু বলতে পারি আমার অভিনয়ের আত্মার মধ্যে কিন্তু ওই মানুষগুলোই রয়েছেন। ওঁদের কাছ থেকেই আমার সব কিছু শেখা। ওঁদের অভিনয়ের উপর আমি একটা আধুনিকতার মোড়ক লাগিয়েছি মাত্র।

কিন্তু এত প্রতিভা সত্ত্বেও এটাও শুনি আপনি নিজের ট্যালেন্টের প্রতি সুবিচার করেননি।

হ্যাঁ, আমিও শুনেছি এ রকম কথা। আমি কয়েকটা কথা বলতে চাই।

সে জন্যই তো ইন্টারভিউ করতে আসা...

আমার মাথার পিছনে একটা ছবি দেখছেন? (প্রায় বছর কুড়ি আগে তোলা একটা ছবির ব্লো আপ। ছিপছিপে চেহারা তখন খরাজের) ওই ‘আমি’টা কি খুব খারাপ দেখতে ছিল? না তো। মোটাও ছিলাম না। রেগুলার রমাপ্রসাদ বণিকের মতো অভিনেতার সঙ্গে থিয়েটার করতাম। কিন্তু সেই ‘আমি’টাকে কেউ কাজ দেয়নি ভাই।

আজকে যখন শুনি আমি আমার ট্যালেন্টের প্রতি জাস্টিস করিনি তখন কেউ তো বলে না সেটা সেই সময়কার পরিচালকদেরও দোষ। গিয়েছিলাম তো তরুণ মজুমদারের কাছে। তাতে কী হল?

কী বলেছিলেন তরুণ মজুমদার?

কী আবার বলবেন! বললাম, একটা চান্স দিন না আমাকে। আমি ভাল অভিনয় করব। আমাকে বললেন, ‘‘এখন আর কী কাজ করবে ভাই।’’ বলে কাটিয়ে দিলেন। কী করব! অপমানের এখানে শেষ আছে নাকি। তবে সেই সময় কেউ যদি আমাকে সাহায্য করে থাকেন, তা হলে তিনি যিশু দাশগুপ্ত। যখনই সুযোগ পেয়েছেন আমাকে কাজ দিয়েছেন। কখনও গান গাইয়েছেন। ছোট রোল দিয়েছেন। যাতে আমাকে না খেয়ে থাকতে না হয়। আর কত হিউমিলিয়েশনের কথা বলব!

তাও বলুন না।

একটা কথা বলব। মিডিয়াও আমাকে বহু বার হিউমিলিয়েট করেছে। আজকাল দেখবেন আমি পার্টিতে যাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিয়েছি। যাই না প্রায়। কারণ, পার্টিতে ঢুকলেই দেখি ফোটোগ্রাফাররা হা হা করে এসে বলছে, ‘‘খরাজদা, খরাজদা, একটা ছবি।’’ দাঁত কেলিয়ে ছবি তুলেছি কিন্তু কোনও দিন কোনও ছবি ছাপা হয়নি। মুম্বইতে দেড় মিনিটের রোল করেছেন এমন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সাক্ষাৎকার-সহ ছবি বেরিয়েছে, আমার নয়! আরে মিডিয়ার তো বোঝা উচিত কে অভিনয়ের ক্ষমতা রাখে আর কে শুধু ফাঁকা গ্ল্যামারের জন্য আছে!

‘বেলাশেষে’র শ্যুটিংয়ে খরাজ


যখন কাগজে দেখেন আপনার ছবি নেই, কোট নেই, কী ভাবে নিজেকে মোটিভেট করেন?

এ ব্যাপারে আমার গুরু রবিদা (রবি ঘোষ) আমাকে একটা টোটকা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘জীবনে আর যাই করিস খরাজ আফসোস করিস না। আফসোস করলে দু’পা পিছিয়ে যাবি।’’ কথাটা আমার কানে আজও বাজে। যখনই কষ্ট পেয়েছি, রবিদার ওই অমৃতবাণী মনে মনে জপে আবার লড়াই করতে নেমেছি। আজকাল আর একটা ফ্যাশন হয়েছে জানেন তো?

কী ফ্যাশন?

ফ্যাশন হল, অভিনেতা হতে গেলে নাকি রোগা হতে হবে। কে লিখেছে ভাই এটা? কোথাও লেখা আছে সুন্দর দেখতে হতে হবে অভিনেতা হতে গেলে।

আজকে তো নয় রোগার চল হয়েছে, তাই আমাকে নিয়ে লোকে হাসে। কিন্তু কাল যদি মোটা হওয়াটাই ফ্যাশন হয়ে যায়, তা হলে কিন্তু ভাই আমি আর কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় সবার সামনে আছি। ওই একটা মানুষকে আমি অসম্ভব শ্রদ্ধা করি। অভিনেতা হিসেবে, পরিচালক হিসেবে। এবং সূক্ষ্ম ইমোশন ধরার জন্য। আমার বড় শ্রদ্ধার মানুষ। মোটা ফ্যাশনেবল হলেই কৌশিক আর আমি ফাটিয়ে দেব। যত সব বস্তাপচা ফ্যাশন। লতা মঙ্গেশকরকে কী রকম দেখতে সেটা দিয়ে তাঁর গলার বিচার হবে নাকি! মান্না দে-র টাক কেন সেটা তাঁর গায়কির মাপকাঠি নাকি! অদ্ভুত আজকালকার সব লজিক।

অনেকে বলেন আপনি ‘না’ বলতে জানেন না। সব কাজ করেন। এই ইন্টারভিউ দিয়েই কোলাঘাটে শ্যামাসঙ্গীতের অনুষ্ঠানে চলে যেতে পারেন...

হ্যাঁ, পারি। যেতেই পারি।

তা হলে কি লক্ষ্মী পার্টিদের ভিড়ে আপনি সরস্বতীকে ভুলে গেলেন?

একেবারে না। গ্রামেই তো সরস্বতী। ওখানে রাত তিনটের সময় আমার গান শোনার জন্য ২৫ হাজার লোক অপেক্ষা করে। হোক না তারা সমাজের নিচু স্তরের মানুষ। হোক না তারা গরিব। কিন্তু তারা আমার জন্য অপেক্ষা করে। আমি তাদের ফেলতে পারব না। ওখানে ২৫ হাজার লোক অপেক্ষা করে থাকে কখন আমি ‘কচুপোড়া’ বলব সেটা শোনার জন্য। ওই মানুষদের আমাকে ‘কেটার’ করতেই হবে।

আপনার এই পপুলারিটি নিয়ে কিন্তু আপনার কম্পিটিটরদের মধ্যে বেশ হিংসে রয়েছে...

সেটা একেবারেই তাদের ব্যাপার। আমি শুধু চাইব আমি যেন কাউকে হিংসে করে শট চলাকালীন লাইট না কেটে দিই। এই অসভ্যতাগুলো এত দেখেছি। একজন নামকরা অভিনেতা এটা আমার সঙ্গে রেগুলারলি করতেন।

নাম বলবেন?

নাম বলাটা ডিফিকাল্ট। ছেড়ে দিন। তবে আছেন এমন মানুষ। শুভাশিস মুখোপাধ্যায়। একটা কাজ করেছি একসঙ্গে। সে দিন আমার ছেলের প্রথম স্টেজ পারফরম্যান্স। অনেকবার বলেছে, বাবা তোমাকে কিন্তু আসতেই হবে। আমি রিকোয়েস্ট করলাম শুভাশিসদাকে, যদি কাজটা আমরা তাড়াতাড়ি তুলে দিই তা হলে আমি একটু আগে বেরোতে পারব।

ছেলের প্রথম স্টেজ পারফরম্যান্সের খবর শুনে খুশি হলেন খুব। কিন্তু ওর কিছু বাতিক আছে তো। শুরু হল জামা নিয়ে খুঁতখুঁতানি। গোঁফ নিয়ে প্রবলেম। জামার ইস্ত্রি নেই কেন তা নিয়ে ঝামেলা। শেষ পর্যন্ত আমি যেতে পারলাম না। এই তো সব মানুষ, একবার বিপ্লবদার সঙ্গেও এমন হয়েছিল।

বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়?

হ্যাঁ, বিপ্লব চ্যাটার্জি। আমার সঙ্গে ওর সিন সেদিন। আমি তো পার্ট মুখস্থ করে রেডি। পাঁচ পাতার সিন। বিপ্লবদা পাঁচ পাতার সিন মুখস্থ করতে যাবেন কোন দুঃখে। কিন্তু পরিচালক শুনলেন না। উনি টানা সিন চান।

এর মাঝখানেই বিপ্লবদা আমাকে ডাকলেন। ডেকে বললেন, ‘‘এই ভাই, তুমি থিয়েটার করো?’’ আমি মাথা নেড়ে বললাম হ্যাঁ। তারপর বলেন, ‘‘তোমরা যারা থিয়েটার করো তাদের দেখলে মনে হয় কষ্ট করে অভিনয় করছ। আমরা যারা অভিনয় করি দেখলে মনে হয় কাজ করছি।’’

আমার তো শুনে ভীষণ মাথা গরম। আমি বলেই দিলাম, ‘আমরা যারা থিয়েটার করি’ বলে আপনি যেটা বললেন, তার মানে দাঁড়ায় আপনি উৎপল দত্ত, শম্ভু মিত্র, অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, ছবি বিশ্বাস-কেও ছোট করছেন…

তার পর?

হইচই হয়েছিল প্রচুর। কিন্তু বিপ্লবদার সঙ্গে ভাব হয়ে গিয়েছিল। বিপ্লবদা প্রথমে হাই হাই করেন, কিন্তু মানুষটার মনটা সাচ্চা।

সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছে পরিবেশ। আচ্ছা, এটা কি সত্যি, কোথাও বেড়াতে গেলে আপনার দু’টো
ব্যাগ থাকে সব সময়। একটায় জামা। অন্যটায় আপনার পাশবালিশ...

একদম তাই। পাশবালিশ ছাড়া আমার চলবে না। সেই ছোটবেলার অভ্যেস। বিদেশে গেলেও যায়। ওটা না হলে ঘুমই হবে না।

আচ্ছা, এত ছবি তো আপনি করেন। কখনও তো এটা শুনি না, খরাজ মুখোপাধ্যায়ের পরের ছবি আসছে। এটা ভাবলে খারাপ লাগে না?

লাগে তো বটেই।

এটা কার দোষ। প্রযোজক না মিডিয়ার না আপনার নিজের?

প্রোডিউসররা বোধ হয় আমাকে দিয়ে মুখ্য চরিত্র করানো যায় এটা ভাববেন না। ওঁরা না চাইলে তো কিছু হবে না ভাই। পোস্টারে তাই আমার মুখ দেখবেন না অনেক সময়। এ ব্যাপারে আমার, রুদ্রনীল, কাঞ্চন, বিশ্বনাথের সঙ্গে কথা হয়। এরা তিনজন তো আমার ছোট ভাইয়ের মতো। ওরাও আমার মতো ভুক্তভোগী।

মানে আপনার কোনও দোষ নেই?

আছে। দোষ আছে। আমি ট্যানট্রাম দেখাতে পারি না। ট্যানট্রাম দিলে আমি দেখেছি সবাই আপনাকে সমঝে চলে। কিন্তু আমার কিছু প্রিন্সিপল আছে। অভিনয় করি বলে বিরাট ‘হনু’ হয়ে গেলাম এই ব্যাপারটাতে আমি বিশ্বাস করি না। আরে তুমি অভিনয় করছ, ঠিক আছে। তা বলে অ্যাটিটিউড দেখাবে কেন? হয়তো একটু অ্যাটিটিউড দেখালে ভালই হত।

যখন দেখেন রজতাভ দত্ত ‘ওপেনটি বায়োস্কোপ’য়ে অত বড় রোল করছেন তখন মনে হয় না, ‘ইস্, আমি যদি পেতাম।’ হিংসে হয় না?

না, হিংসে হয় না। তবে খারাপ তো একটা লাগেই।

মনে হয় না একটা ছবি পরিচালনা করি যেখানে আমি মুখ্য চরিত্রে?

আজকে অভিনয় নিয়েই খুশি। তবে সুযোগ পেলে নিশ্চয়ই পরিচালনা করব। আর আজকের এই সময়টা আমার দারুণ লাগে। সৃজিত, শিবু, কৌশিকরা এত ভাল কাজ করছে। মনে হয় আমিও কিছু করি।

সৃজিতের সঙ্গে তো কাজ করেছেন ‘জাতিস্মর’‌য়ে!

সৃজিত কাজ-পাগল ডিরেক্টর। অসম্ভব প্রতিভাবান এবং পরিশ্রমী।

‘জাতিস্মর’‌য়ের সময় আপনার আর কবীর সুমনের নানা ঝামেলা হয়েছিল। খবরও হয়েছিল।

হ্যাঁ হয়েছিল। আসলে সৃজিত যখন আমাকে প্রথমে অ্যাপ্রোচ করে তখন আমি বলি, ছবির মিউজিক ডিরেক্টর কে? ও বলে কবীর সুমন। আমি বললাম, সুমন আবার গানের লড়াইয়ের কী জানে। কোনও দিন গ্রামে থেকেছে নাকি লোকটা? জানে নাকি গ্রামের জীবন? তখন সৃজিত বলল, বুঝতেই তো পারো। তারপর শুরু হল গান গাইবার পালা। শুনলাম উনি বলছেন, বেশি গায়কি দেখাতে গিয়েই মহম্মদ রফি আর মান্না দের গায়ক হওয়া হল না। আরে কাদের সম্বন্ধে কী বলছে রে ভাই! একটা মাত্রা থাকবে না মুখের! বিরক্ত হয়েছিলাম।

আচ্ছা, অনেকে বলে খরাজ মুখোপাধ্যায়কে রেমুনারেশন ঠিকঠাক দিলে দু’মিনিটের রোলও করিয়ে নেওয়া যায়।

দু’মিনিটের রোলগুলো সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’‌য়ে তো দু’মিনিটের রোল। মানুষ কি ভুলতে পেরেছে। ওটাই মস্তানি।

একটা সময় ছিল যখন মুম্বইতে মেহমুদের সঙ্গে অনেক বড় নায়ক কাজ করতে চাইত না। তাদের ধারণা ছিল মেহমুদ সিনের পর সিন তাদের মেরে বেরিয়ে যাবে। আপনি কখনও ফেস করেছেন এ রকম কিছু?

ও বাব্বা! ফেস করিনি আবার। রেগুলারলি আমার সিন কে সিন উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

একটা উদাহরণ দেবেন?

‘লড়াই’। ‘লড়াই’ ছবিটা দেখতে দেখতে আমি পরমকে বার বার বলছিলাম, ‘কী রে, আমার এত ভাল সিনটা কেটে দিলি তুই।’ তার জবাবে পরম ঠিক কী বলেছিল আমি বলতে পারব না।

বলুন না?

বলেছিল, ‘‘খরাজদা আমি জানি তুমি ব্রিলিয়ান্ট। তুমি এক্সট্রাঅর্ডিনারি। কিন্তু বেশি প্রশ্ন কোরো না।’’ আর কিছু জিজ্ঞেস করবেন না।

বুঝেছি। এ রকম শুনে মনকে বোঝাবেন কী করে?

ওই যে রবিদার অমরবাণী। ‘‘আপসোস করিস না খরাজ...’’

ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল।

খরাজ যেমন...

দীপঙ্কর দে রবি ঘোষ বা তুলসী চক্রবর্তীর সঙ্গে তুলনা করতে চাই না। খরাজ নিজের চেষ্টাতে, নিজের মতো করেই বড় শিল্পী। কমেডিয়ান হিসেবে অতুলনীয়

সুজয় ঘোষ খরাজদার সঙ্গে রবি ঘোষ কী তুলসী চক্রবর্তীর তুলনা করতেই চাই না। ‘কহানি’তে ওর সঙ্গে কাজ করে বুঝেছি, কী সাঙ্ঘাতিক কমিক টাইমিং ওর

প্রভাত রায় বাংলা ছবিতে অনেক দিন ধরে ভাল কমেডিয়ান ছিল না। রবি ঘোষ, তুলসী চক্রবর্তীদের পরে সেই জায়গাটা খরাজ এসে পূরণ করেছে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE