এ মাসেই ‘অদ্য শেষ রজনী’-তে অভিনয়ের জন্য একটি সর্বভারতীয় সম্মান পেলেন যৌথভাবে।
অল্প সময়ের মধ্যে ছ’টি ছবিতে অভিনয়ও করে ফেললেন। দর্শক তাঁকে দেখে প্রশংসাও করেছেন। নতুন কাজের জন্য পাঁচ-ছ’জন পরিচালকের সঙ্গে কথা চলছে। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটি রিয়্যালিটি শো-তেও দেখা যাচ্ছে তাঁকে। তবু ঘনিষ্ঠ মহলে ইদানীং নাকি প্রায়ই বলছেন, ‘‘এবার একটু বনবাসে গেলে হয়!’’
হল কী অনির্বাণ ভট্টাচার্যের? একটি বড়সড় থিয়েটারের অফার নিয়ে দু’দিন রিহার্সালে গিয়েও সরে দাঁড়ালেন। তার জন্য মন খারাপ কম হয়নি। তবু সরে তো গিয়েছেন! কিন্তু কেন?
এমনকী, নতুন নাটকের কাজও পিছিয়ে দিতে বলছেন। নিজের নির্দেশনায় ব্রেখটের ‘হের পুন্টিলা অ্যান্ড হিজ সার্ভেন্ট মাট্টি’ অবলম্বনে ‘পন্তু লাহা’র মহলা শুরু করেও থামিয়ে দিলেন।
বছর তিনেক আগে ‘সঙ্ঘারাম’ নাট্যদলের ‘তিন পয়সার পালা’-র মহলা চলছিল বিজন থিয়েটারে। সেখানে পা পিছলে পড়ে চোট পান মারাত্মক। মাস কয়েক ধরে পুরনো সেই চোট এখন জানান দিচ্ছে! এক বন্ধুকে ব্যথার কথা জানিয়ে টেক্সট করেছেন, ‘‘পরিশ্রমে আত্মপ্রকাশ, বিশ্রামে গিলি গিলি গে।’’ তাই ডায়েটিং, ব্যায়াম চলছে। চলবে। তার মধ্যে কাজও থেমে নেই! দিনরাত। নাটক, সিনেমা...
তাই কি বনবাসে যেতে চাওয়া? বললেন, ‘‘পুরোটা তা নয়। মনে আছে ‘কারুবাসনা’ নাটকে হেম-এর সেই সংলাপটা? নবপর্যায়ের কবিতা লিখবে বলে অবসাদকে আত্মস্থ করতে চেয়েছিল হেম...ধরে নিন, আমিও তেমন একটা কিছু চাইছি! ২০১০ থেকে টানা কাজ করছি, মাথাটা খালি না করলে নতুন কাজ করার স্পৃহাটা পাব না আর!’’
কথাটার গায়ে কেমন বিষাদ-বিষাদ গন্ধ? প্রশ্ন করতেই এক ঝলক তাকিয়ে বললেন, ‘‘আসলে কী জানেন, বাংলা থিয়েটারে একটা না একটা গাছ থাকত মাথার ওপরে, বহুদিন ধরে সেভাবেই থিয়েটার করেছি। ইদানীং সেই গাছের বড় অভাব বোধ হচ্ছে যেন, বিশ্বাস করুন! বড় অভাব।’’
তবে কি বীতরাগে অনির্বাণ?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy