ছোট শহরের বড় গল্প। এই মুহূর্তে বলিউডের হিট মন্ত্র। তবে এই ছবির মূল গল্পে ঢুকতেই প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় নিলেন পরিচালক শ্রী নারায়ণ সিংহ। সেখানে প্রথম ছন্দপতন। প্রথম ছবি ‘টয়লেট এক প্রেম কথা’য় নারায়ণের টার্গেট ছিল, ‘নির্মল ভারত’-এর প্রচার। তবে এই ছবিতে তাঁর নিশানায় ‘বিকাশ’ ও ‘কল্যাণ’-এর মতো শব্দবন্ধনীর ভাঁওতা। সরকারি জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের বাস্তব রূপায়ণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিচালক। স্বাধীনতার একাত্তর বছর পরেও উত্তরাখণ্ডের দু’টি গ্রাম ন্যাশনাল গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত নয়, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। তবে সবটাই ছবির দ্বিতীয়ার্ধে। প্রথমার্ধ জুড়ে শুধুই ত্রিকোণ প্রেমের টানাপড়েন।
অর্থলোলুপ আইনজীবী সুশীল কুমার পান্থ (শাহিদ), ব্যবসায়ী সুন্দর মোহন ত্রিপাঠী (দিব্যেন্দু) আর উঠতি ফ্যাশন ডিজ়াইনার ললিতা নটিয়াল (শ্রদ্ধা) ছোটবেলার জিগরি দোস্ত। প্রেমের দৌড়ে সুন্দর না সুশীলের মিটার চালু হবে, তা ঠিক করে ললিতা। তাই নিয়ে মান-অভিমান, বন্ধুবিচ্ছেদ, অদ্ভুত লিরিকের গান ও নাচ। ইতিমধ্যে সুন্দরের নতুন ফ্যাক্টরির ইলেকট্রিক বিল ছোঁয় ৫৪ লক্ষের অঙ্ক। অনেক দফতর ঘুরেও মেলে না সুরাহা। শেষে সুন্দরের আত্মহত্যা-অন্তর্ধান রহস্য ও সুশীলের সৎ পথে প্রত্যাবর্তন।
দৈর্ঘ্য ছাড়াও আরও কিছু সমস্যা ছবির উদ্দেশ্যে জল ঢেলেছে। যেমন, আঞ্চলিক কয়েকটি শব্দের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার। মহিলা আইনজীবীর (ইয়ামি) প্রতি সুশীলের তির্যক মন্তব্য। মহিলা বিচারপতির ক্যারিকেচার। কোর্টরুম ড্রামায় সুশীলের ফর্মুলামাফিক জ্বালাময়ী ভাষণ। যদিও শেষ কী হবে সকলেরই জানা।
বাত্তি গুল মিটার চালু পরিচালনা: শ্রী নারায়ণ সিংহ অভিনয়: শাহিদ, শ্রদ্ধা, দিব্যেন্দু, ইয়ামি ৫/১০
ছোট শহরের চরিত্র বলেই হয়তো শাহিদ ও শ্রদ্ধা প্রথমার্ধে উচ্চকিত। দ্বিতীয়ার্ধে শাহিদ অনেক স্বাভাবিক। দিব্যেন্দু ভাল। ফরিদা জালাল ও সুপ্রিয়া পিলগাঁওকরকে ব্যবহারই করা হয়নি।
সাধারণ মানুষের হয়রানির জন্য বেসরকারি সংস্থা ও সরকার—দু’পক্ষকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন পরিচালক। তা বেশ। তা বলে ডিজিটাল ইন্ডিয়া মানেই একটি ভিডিয়ো বা স্টিং অপারেশনে বাজিমাত, এমনটা ভাবার কারণ নেই। কিন্তু এই চেনা ছকেই সমাধান করতে চান পরিচালক। সেটাও ছবির দুর্বলতা। তবে সবচেয়ে বড় বাধা, ছবিটা না হয়েছে রোম্যান্টিক, না বার্তাবহ। পুরোটাই ঘেঁটে গুল!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy