ওই সময়টায় সিকিমের তাপমাত্রা মাইনাসে নেমে গিয়েছিল। গুচ্ছের গরম জামা গায়ে চাপিয়েও ঠান্ডা বাগ মানানো যাচ্ছে না। সেই পরিস্থিতিতে যিশু সেনগুপ্তর পরনে মোটে একফালি কাপড়! তাই পরেই পরপর শট দিয়ে চলেছেন। ‘এক যে ছিল রাজা’র নেপথ্যকাহিনি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গল্পটা বলছিলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
ছবির অন্যতম ইউএসপি যিশুর লুক। তিন-চার রকমের লুকে দেখা যাবে তাঁকে। জমিদার রমেন্দ্রনারায়ণ রায়, যিনি ভাওয়াল সন্ন্যাসী নামেই বেশি পরিচিত, তাঁর চরিত্রটাই করছেন যিশু। জমিদার অবস্থায় এক রকম লুক। তার পরে নিরুদ্দেশ অবস্থা, সন্ন্যাসী পর্যায়ের আর এক রকম চেহারা। সেখানেও আবার তারতম্য আছে বলে জানালেন সৃজিত। বৃদ্ধ বয়সের চেহারাতেও দেখা যাবে যিশুকে।
মাইনাস ডিগ্রিতে শুট করাটা যদি একটা চ্যালেঞ্জ হয়, তা হলে বাস্তবসম্মত লুক তৈরি করাও একটা চ্যালেঞ্জ বইকী। ‘‘আমার কাছে রেফারেন্স হিসেবে ছিল ইতিহাস বই। তা ছাড়া রমেন্দ্রনারায়ণ রায়ের ছবি ছিল। সুতরাং খুব সমস্যা হয়নি। যে ধরনের সন্ন্যাস পর্বে উনি ছিলেন, সেটার যতটা কাছাকাছি যাওয়া যায় চেষ্টা করেছি। তার পরে নিজেদের কল্পনা তো আছেই,’’ বলছিলেন সৃজিত। ভাওয়াল কেসের যে সব নথিপত্র আছে, তাতে রমেন্দ্রনারায়ণের চেহারার স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। লুক ডিজ়াইন করার সময়ে সেটা খুবই কাজে দিয়েছিল, আরও জানালেন সৃজিত। যিশুর মেকআপ করেছেন সোমনাথ কুণ্ডু। ঘণ্টা দুয়েক লাগত সন্ন্যাসী পর্যায়ের লুক তৈরি করতে। যিশুর বৃদ্ধ বয়সের চেহারার মেকআপও সময়সাপেক্ষ ছিল। সিকিম ছাড়াও শুটিং হয়েছে রাজস্থান, বারাণসী, মুর্শিদাবাদ এবং কলকাতায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy