প্রানূতন
এক বার কামালিস্তান স্টুডিয়োয় শুটিং দেখতে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিল প্রিয় টুইটি ক্যাপ। ব্যস, সাত বছরের মেয়েটির কান্না তখন থামায় কে! খানিকক্ষণ পরে একটি নতুন টুইটি ক্যাপ তার সামনে হাজির। বছর সাতেকের সেই মেয়েটি ‘নোটবুক’-এর অভিনেত্রী প্রানূতন। আর যিনি ক্যাপটি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর নাম সলমন খান। ওই দিনের পর থেকেই সলমনের ভক্ত হয়ে গিয়েছিলেন প্রানূতন। তবে ভাবতে পারেননি সলমনের মেন্টরশিপে তিনি ডেবিউ করবেন।
মেন্টর হিসেবে নতুনদের গ্রুম করা, তাঁদের ছবিতে সুযোগ দেওয়া... এ সব সলমন করেই থাকেন। সেই তালিকায় প্রানূতন বহেল নতুন সংযোজন। প্রানূতনের অবশ্য আরও একটি পরিচয় আছে। তিনি অভিনেত্রী নূতনের নাতনি এবং মণীশ বহেলের মেয়ে। মণীশ এবং সলমন একসঙ্গে অনেক ছবিই করেছেন। সেই সময়কার একটি ঘটনার কথা বলছিলেন প্রানূতন।
ফিল্ম ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এলেও পারিবারিক পরিচিতির সুবিধে নিতে চান না এই নবাগতা। বলছিলেন, ‘‘নাম লেখার সময়ে নিজের পদবি লিখতাম না। কাউকে পারিবারিক পরিচিতি জানাতে চাইতাম না। অডিশনে কারও ফেভার নিয়ে কী হবে? প্রথম ছবিতে সুযোগ পেয়ে গেলেও দর্শক যদি আমাকে পছন্দ না করেন, তা হলে দ্বিতীয় ছবিতে কেউ নেবে না আমাকে।’’
মুম্বইয়ের ক্যাথিড্রাল স্কুল, তার পরে সরকারি কলেজ থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ইন্টার্নশিপও করেছেন। বলছিলেন, ‘‘খুব সাধারণ ভাবেই মানুষ হয়েছি আমি। কিন্তু যেহেতু বাড়িতে সিনেমা নিয়ে আলোচনা হতো, তাই আমারও একটা আগ্রহ ছিলই। ইন্টার্নশিপ করার সময়েই বুঝি, কাজটা করতে ভাল লাগছে না।’’
ইন্ডাস্ট্রিতে আসা নিয়ে তাঁর বাবা কোনও পরামর্শ দেননি? ‘‘বাবা বলেছিলেন চিন্তাভাবনা করে তবেই ইন্ডাস্ট্রিতে এসো। সব সময়ে হাতে কাজ থাকবে না। তার জন্য যেন প্রস্তুত থাকি।’’ শুটিং শুরুর আগে সলমনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর জন্য সলমনের পরামর্শ ছিল, পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই।
ডেবিউট্যান্ট হিসেবে প্রানূতনের উপর চাপ কম নেই। কাজল এবং রানি মুখোপাধ্যায়ের মতো অভিনেত্রী তাঁর পিসি। ছবির ট্রেলার রিলিজ়ের পর কাজল তাঁকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানান। ‘‘কাজল বুয়ার মতো জড়িয়ে ধরতে কেউ পারে না। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ হাগ কাজল বুয়া দেয়। রানি বুয়ার সঙ্গে কথা হয়নি। তবে আমার ইচ্ছে দু’জনেই ‘নোটবুক’ দেখুক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy