পিয়ান-রাজা
তাইল্যান্ডে ‘বাঘ বন্দি খেলা’র শুটিং থেকে ফিরেই নিজের বিয়ের ডেট ফাইনাল করে ফেললেন পরিচালক রাজা চন্দ। ২৪ নভেম্বর শ্রীরামপুর রাজবাড়িতে সাত পাকে বাঁধা পড়ছেন ‘রংবাজ’ পরিচালক রাজা। পাত্রী পিয়ান। যাঁকে আমরা ধারাবাহিক ‘তুমি রবে নীরবে’ এবং বাংলা ছবি ‘লাভ এক্সপ্রেস’-এ দেখেছি। কিছু দিন আগেই দুই পরিবারের আত্মীয়স্বজনদের সাক্ষী রেখে আংটি বদল করেছেন তাঁরা। জানালেন, বিয়ের থিম বাঙালিয়ানা। জৌলুসের চেয়েও ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ের অনুষ্ঠান সারতে চান হবু দম্পতি। পিয়ানের ঘিয়ে রঙের বেনারসীর পাড় আর আঁচল লাল রঙের। সঙ্গে সোনার গয়না। রাজার পাঞ্জাবি-ধুতিও হবে কনের পোশাকের সঙ্গে মানিয়েই। পোশাকের ডিজ়াইন করছেন অভিষেক রায়। ফিশ বাটার ফ্রাই, পনির পসিন্দা, মাটন কষা, চিলি পনির থাকছেই বিয়ের মেনুতে।
কিন্তু এই সম্পর্ক নিয়ে তো অনেক সমালোচনার ঝড় বয়েছিল? ‘‘নিশ্চয়ই! কিন্তু পিয়ান আর পিয়ানের মা যথেষ্ট আশাবাদী ছিলেন। আমার জীবনে অনেক ঝড়-ঝাপটা গিয়েছে। কিন্তু পিয়ান আসার পর আমি একটা পরিবার পেয়েছি। নতুন ভাবে বাঁচতে সাহায্য করেছিল ও,’’ বলছিলেন রাজা। দু’জনের মধ্যে বয়সের ব্যবধান অনেক। পিয়ানের কথায়, ‘‘বয়সের ব্যবধান নিয়ে আমার মনে প্রশ্ন এসেছিল। কিন্তু রাজার সঙ্গে মিশে বুঝেছিলাম, বয়সটা ওর বাইরের খোলস। আর এই কারণেই ওর আশেপাশের মানুষগুলো ওকে খুব তাড়াতাড়ি ভুল বোঝায়।’’
এক মডেল হান্টের বিচারক ছিলেন রাজা চন্দ। আর ওই হান্টের গ্ল্যাম কুইন হয়েছিলেন পিয়ান। ‘অঘটন’টা ঘটে গিয়েছিল ওই দিনই, মজার ছলে বললেন পিয়ান। কিন্তু প্রথাগত ‘ভালবাসি’ কথাটা কেউ কাউকে বলেননি। ‘‘যে ‘রংবাজ’ বানায়, তারই রবীন্দ্রনাথ ছাড়া চলে না। মানুষটার এমন বিপরীত প্রকৃতিই আকর্ষণ করেছিল আমাকে,’’ সলাজ পিয়ান। ‘‘পিয়ান সব কিছু এতটাই গুছিয়ে করতে পারে যে, ওকে না ভালবেসে পারা যায় না,’’ সরল স্বীকারোক্তি রাজার। কিন্তু রাজার ছবিতে পিয়ানকে দেখা যায়নি কেন? দু’জনেই জানালেন, মানানসই চরিত্রের অপেক্ষায় তাঁরা।
২৭ নভেম্বর কলকাতার এক ক্লাবে হচ্ছে রিসেপশন। সে দিনের মেনুতে থাকছে নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল, সাদা ভাত, সঙ্গে ঘি, বেগুন ভাজা, পটলের দোলমা, কচুপাতা চিংড়ি, ভেটকি পাতুরি, পাঁঠার মাংস, বেকড রসগোল্লা। ইউরোপ না আমেরিকা, হনিমুন নিয়ে হবু দম্পতির মধ্যে এখনও চলছে টানাটানি...
ঈপ্সিতা বসু
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy