পত্রলেখা
প্রেমের ব্যাপারে পত্রলেখা বা রাজকুমার রাও দু’জনেরই বিশেষ লুকোছাপা নেই। নির্দ্বিধায় সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নেন তাঁরা। মঙ্গলবার ছিল পত্রলেখার জন্মদিন। তাই বয়ফ্রেন্ড রাজকুমার রাও সক্কাল সক্কাল তাঁকে ভালবাসা জানিয়ে টুইটও করেন। সম্প্রতি মুম্বইয়ে আনন্দ প্লাসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে পত্রলেখাকে জিজ্ঞেস করা হয়, রাজকুমার রাও মানুষ হিসেবে কেমন? মিষ্টি হেসে ঝরঝরে বাংলায় নায়িকা বলেন, ‘‘খুব সুন্দর একজন মানুষ! ও একজন আর্টিস্ট বলেই আমাদের ভাবনাচিন্তাও একই রকম। আর সেই কারণেই বোধহয় সম্পর্কটা এত সুন্দর ভাবে ওয়র্ক করেছে।’’ একই পেশায় আছেন, ঝগড়াঝাঁটি হয়? ‘‘প্রায় হয় না বললেই চলে। টাচউড! উই হার্ডলি ফাইট!’’ আর বিয়ের প্ল্যান? ‘‘না, এখনও নেই। সেটা যখন হওয়ার হবে,’’ নায়িকার সোজাসাপ্টা উত্তর।
শিলংয়ের মেয়ে এই বাঙালি অভিনেত্রীর বলিউড সফর শুরু হয় ‘সিটিলাইটস’ ছবি থেকে। এ ছবিতে তাঁর বিপরীতে ছিলেন রাজকুমার রাওই। সে ছবিতে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হওয়ার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ‘‘এপ্রিলে আমার একটা ছবি আসছে ‘নানু কী জানু’, অভয় দেওলের সঙ্গে। আপাতত তার অপেক্ষায় আছি। এর মাঝে আমি ‘বোস: ডেড অর অ্যালাইভ’ করেছিলাম। বোস ইজ ভেরি ক্লোজ টু মাই হার্ট। তার কারণ অবশ্যই সুভাষচন্দ্র বসু, কারণ তিনি বাঙালিদের খুব প্রিয়। এ ছাড়াও কিছু ওয়েব সিরিজ আর ছবির কথাও হচ্ছে। দেখা যাক কী হয়!’’ অনস্ক্রিন পত্রলেখার চরিত্রগুলো যদিও খুবই আটপৌরে, অফস্ক্রিন কিন্তু তিনি বেশ গ্ল্যামারাস। এ বিষয়ে অভিনেত্রীর অবশ্য একটা মত আছে। তিনি বললেন, ‘‘আমি এই ব্যাপারটাকে একটু অন্য ভাবে দেখি। পরিচালকরা ঠিক করেন, আমার লুক কেমন হবে। তাঁরা হয়তো আমাকে নন-গ্ল্যামারাস চরিত্রে দেখতেই বেশি পছন্দ করেন। তবে এন্ড অফ দ্য ডে আমি একজন অভিনেতা। এখানে নিজের কাজটুকু করতে এসেছি। তাই আমার কাছে এটা ম্যাটার করে না পরদায় আমাকে দেখতে কেমন লাগছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy