রণবীর কপূরের কেরিয়ারের পালে তা হলে হাওয়া লাগল। ‘বম্বে ভেলভেট’ আর ‘তামাশা’র মতো ছবি বক্স অফিসে ব্যর্থ হওয়ার পর গণভোটে মোটামুটি ঠিকই হয়ে গিয়েছিল, রণবীরের কেরিয়ার শেষ। কিন্তু রণবীর কপূর ফিরতে জানেন। না হলে রাজকুমার হিরানি পরিচালিত ‘সঞ্জু’তে তাঁর টিজ়ার দেখেই জনতা এ ভাবে কাত হন!
টিজারে বোঝা যাচ্ছে, সঞ্জয় দত্তের বায়োপিকে অভিনেতার প্রথম জীবন থেকেই গল্প শুরু করেছেন রাজু হিরানি। সেখান থেকে বডি বিল্ডার সঞ্জু, অভিনেতা সঞ্জু, বেআইনি এ কে ফর্টিসেভন রাখা সঞ্জু, প্রেমিক সঞ্জু— চরিত্রের বাহার অনেক! এবং সঞ্জয়ের প্রতিটি রূপ, জীবনের প্রতিটি পর্যায় রণবীর এতটা সাবলীল ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যে, তাঁকে কুর্নিশ জানাতেই হয়।
১৬ কেজি ওজন বাড়িয়েছেন, পেশিবহুল চেহারা বানিয়েছেন, চুলের কায়দা বদলেছেন, এমনকী বদলে ফেলেছেন শরীরের ভাষা, চোখের চাউনিও। কোনও ফ্রেমেই বেমানান লাগছে না তাঁকে। ট্রেনার কুণাল গির রীতিমতো গর্বিত রণবীরকে নিয়ে।
অথচ এই রণবীরকেই এক দিন প্রাইভেট পার্টিতে কত অপমানই না করেছিলেন সঞ্জয়! তখন সবে রাজু ছবির কাস্টিং ফাইনাল করেছেন। সঞ্জয় তার পর পরই রণবীর, রাজকুমার, ডেভিড ধওয়নদের নিজের একটা পার্টিতে ডাকেন। সেখানে আকণ্ঠ মদ্যপান করার পর স্বাভাবিক ভাবেই ভারসাম্য হারান তিনি। শোনা যায়, সেখানে সঞ্জয় ‘বরফি’ নিয়ে ব্যঙ্গোক্তি করে রণবীরের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের প্রজন্ম যখন আর থাকবে না, তখন সব হিন্দি ছবির নাম হবে ‘পেঁড়া’, ‘জিলিপি’, ‘ইমারতি’। আমি রণবীরের জন্য একটা ছবি প্রযোজনা করতে চাই। নাম দেব ‘লাড্ডু’!’ এখানেই শেষ নয়। রণবীরকে কাস্ট করে রাজু যে আসলে ভুল করেছেন, সেটাও নাকি কনিষ্ঠ অভিনেতার সামনেই তিনি বলে বসেন। ‘আগে মাচো ছবিতে কাজ করার প্রশিক্ষণ নিতে হতো আমার কাছ থেকে, না হলে তো আমি বলে মানাবেই না!’ মন্তব্য করেছিলেন সঞ্জু।
রণবীর সে দিন চুপ করেই ছিলেন। কিন্তু উত্তরটা বোধহয় দিলেন ছবির জন্য খেটে। একটা টিজ়ারেই যেখানে পাবলিক পকেটে, সেখানে ছবি মুক্তি পেলে না জানি সাফল্যের কোন রকেটে চড়ে বসবেন কপূর রাজপুত্র!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy