একঘেয়ে শাড়িকে ব্র্যান্ড নিউ লুক দিতে চান?
তা হলে শাড়ির সঙ্গে বেছে নিন ট্রেন্ডি জ্যাকেট। র্যাম্প থেকে সিনেমার পর্দা, কিটি পার্টি থেকে শপিং মল রমরমিয়ে চলছে জ্যাকেট ব্লাউজ। সামনেই পুজো। ভিড়ের মধ্যে নজর কাড়তে আপনিও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের জ্যাকেট। তবে জানতে হবে, কোন শাড়ির সঙ্গে মানাবে কোন জ্যাকেট।
অষ্টাদশীদের জন্য সুতির শাড়ির সঙ্গে সলিড কালারের রেসার ব্যাক টি-শার্ট, বললেন ডি়জাইনার স্যান্ডি। এছাড়া এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করেন এমন যুবতীরা সিল্কের সঙ্গে পরতে পারেন ফিটেড ডেনিম জ্যাকেট। এই লুকটাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে হেডব্যান্ড, গোগো চশমা, হাই-ওয়েস্ট বেল্ট ও আরও হেভি অ্যাকসেসরিজ ব্যবহার করতেই পারেন ষোলো থেকে পঁচিশ বছরের মেয়েরা।
তিরিশ ও তার বেশি বয়সের মহিলাদের জন্য কোমর পর্যন্ত কুর্তি বা কোটি ব্লাউস পছন্দ ডিজাইনারদের। এ ক্ষেত্রে শাড়ি অবশ্যই কনট্রাস্ট রঙের হতে হবে। বোলেরো বা কোটি হল লম্বা-স্লিভের শর্ট ক্রপ়ড জ্যাকেট। বোলেরো জ্যাকেট আপনার রোজকার লুকে একটা নতুনত্ব আনবেই। তবে বয়সজনিত অবা়ঞ্ছিত মেদ ঢাকতে একটু লম্বা ঝুলের কোটও পরা যায়। তাতে আপনার সৌন্দর্যের এতটুকু কমতি হবে না।
গত বছর কান চলচ্চিত্র উত্সবে ঐশ্বর্যার শাড়িটা মনে আছে?
বলিউডে দীপিকা থেকে ঐশ্বর্যা শাড়ির সঙ্গে পরছেন আচকান বা বন্ধ-গলা ব্লাউজ। এতে লুকে একটা রাজকীয় আভিজাত্যও আসে আবার শরীরের অনেকটা অংশই ঢাকা থাকে। তাই ভারী চেহারার মহিলারাও স্বচ্ছন্দে ট্রাই করতে পারেন জ্যাকেট ব্লাউজ।
তবে এই বাহারি ব্লাউজের সঙ্গে শাড়িটা হতে হবে অবশ্যই ছিমছাম। ডিজাইনাররা বারবার এই বিষয়ে নজর রাখতে বললেন। ফ্যাশন ডিজাইনার অভিষেক দত্ত বলেন, ‘‘শাড়ি যেন কনট্রাস্ট কালারের হয়। আর কাঁথা স্টিচ, হ্যান্ডলুম বা যে কোনও টেক্সচারের শাড়ির সঙ্গেই জ্যাকেট ব্লাউজ পরা যায়।’’
বন্ধুদের সঙ্গে দিনের বেলা হোক, বা রাতের পার্টিতে, জ্যাকেট ব্লাউজ সব সময়ই পরা যায়। সে ক্ষেত্রে ডিজাইনার স্যান্ডি বলেন, ‘‘দিনের বেলা কোনও উজ্জ্বল রঙের টি-শার্টের সঙ্গে পরা যেতে পারে সাদা শাড়ি। আর রাতের পার্টিতে শাড়ির সঙ্গে সিকুইনড কোটি।’’ ডিজাইনার অভিষেক দত্তও বলেন, ‘‘শীতে জ্যাকেট ব্লাউজ বেশি পরা হলেও চান্দেরি কাজের ট্রান্সপারেন্ট জ্যাকেট পরা যায় সব সময়ই।’’
এছাড়া ট্রেন্ডি বোল্ড লুকের জন্য করসেটের সঙ্গেও শাড়ি ট্রাই করতে পারে এখনকার নতুন প্রজন্ম। এতে লুকে একটা পাশ্চাত্য ভাবও আসে।
তবে সব কিছুর আগে ডি়জাইনার স্যান্ডির শেষ মুহূর্তের টিপস, ‘‘ডি-ডের জন্য. অপেক্ষা না করে আগেই নিজেকে সবচেয়ে ভাল কোনটায় মানায়, সেটা পরখ করে নিন।’’
তা হলে আর দেরি কেন? পুজোর আর বেশি দিন বাকি নেই।
এখন থেকেই শুরু করছেন তো?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy