সোহিনী
ভাল অভিনেত্রী হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর নামডাক রয়েছে। গ্ল্যামার এবং সু-অভিনয়ের কম্বিনেশন সোহিনী সরকার। এই মুহূর্তে তাঁর হাতে রয়েছে চারটি ছবি। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘ভিঞ্চিদা’, বিরসা দাশগুপ্তের ‘বিবাহ অভিযান’, সৃজিতেরই পরিচালনায় স্বপ্না বর্মণের বায়োপিক এবং অরিন্দম শীলের নতুন ব্যোমকেশ। পরপর এতগুলো ‘বিগ টিকিট’ ছবি করছেন বলে অনেকেই মনে করছেন, সোহিনী এই মুহূর্তে ইন্ডাস্ট্রিতে এক নম্বরের লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন! যদিও তাঁকে এটা বলা মাত্রই হেসে উড়িয়ে দিলেন। বললেন, ‘‘যে ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় কোনও ছবিই সে ভাবে চলছে না, সেখানে দাঁড়িয়ে এক নম্বর নায়িকা আবার কী! কার হাতে ক’টা ছবি আছে, তা দিয়ে এক নম্বর প্রতিষ্ঠা করতে চাওয়াটা হাস্যকর!’’
সোহিনীর হাতে এই মুহূর্তে ঘোষিত যে ছবিগুলি রয়েছে, তার সব ক’টাই ভেঙ্কটেশের প্রযোজনায়। একটা সময়ে ভেঙ্কটেশে নুসরত জাহানকেই এক নম্বর নায়িকা বলা হতো। শ্রীকান্ত মোহতার সঙ্গে সমস্যা তৈরি হওয়ার পরে সেই জায়গাটা নিয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। কিন্তু মিমি বা নুসরত দু’জনেই এখন ভোটের প্রচারে ব্যস্ত। দু’জনকেই হাতের ছবি ছাড়তে হয়েছে নির্বাচনের কারণে। শোনা যাচ্ছে, সেই জায়গাটাই এখন সোহিনীর। তা ছাড়া কখনওই ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে সরাসরি বিরোধে যান না তিনি। তাই ভেঙ্কটেশের গুড বুকেও নাম রয়েছে তাঁর। সংস্থার কাছের নায়িকা নাকি এখন তিনিই।
সোহিনীর কাছে এই নিয়ে প্রশ্ন রাখায় বললেন, ‘‘এ সব প্রশ্ন শুনলেই মনে হয়, একটা ফাঁদে পড়ে যাচ্ছি! অনেকেই অনেকের কাছের মানুষ হন। মিমি বা নুসরত ভোটের কারণে দূরের মানুষ হয়ে গিয়েছেন, এই ভাবনাটাই ভুল! কেউ কারও রিপ্লেসমেন্ট হতে পারে না। কেউ কারও জায়গাও নিতে পারে না। ‘বিবাহ অভিযান’ যেমন মিমির বদলে নুসরত ফারিয়া করছে। তার মানেই নুসরত ফারিয়া রাতারাতি মিমির রিপ্লেসমেন্ট হয়ে গেল?’’ পাল্টা প্রশ্ন তাঁর।
তা হলে ভেঙ্কটেশের সঙ্গে এতগুলো ছবি কোন সমীকরণে? সোহিনীর উত্তর, ‘‘সমীকরণ ব্যাপারটা তৈরি করা! স্বপ্না বর্মণের বায়োপিক অন্য কাউকে দিয়ে হলে পরিচালক তাঁকেই নিতেন।’’ সঙ্গে যোগ করলেন, এত বড় প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে পারাটা তাঁর সৌভাগ্য। এখানে অন্য গল্প খুঁজতে যায় নিন্দুকেই!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy