শিবপ্রসাদ এবং সৃজিত
পুজোর সময়ে রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে ছ’-সাতটা বাংলা ছবির মধ্যে। এ বছর ক্রিসমাসেও চিত্রটা তেমনই দাঁড়াচ্ছিল। কিন্তু শেষটায় বিষয়টা আর তেমন থাকছে না। নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় প্রযোজিত পরিচালক পাভেলের ‘রসগোল্লা’ এবং সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘শাহজাহান রিজেন্সি’ রিলিজ় করার কথা ছিল এই বড়দিনে। কিন্তু শ্রীকান্ত মোহতা, শিবপ্রসাদ এবং সৃজিত মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ‘শাহজাহান রিজেন্সি’ পিছিয়ে পরের বছর ১৮ জানুয়ারি রিলিজ় করানোর। ‘রসগোল্লা’ মুক্তি পাচ্ছে বড়দিনের সময়েই। দুটোই বিগ টিকিট বাংলা ছবি। তাই প্রযোজকদের ব্যবসা ভাগাভাগি না হওয়ার রাস্তা হিসেবেই এই সিদ্ধান্তকে দেখছে ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু যেখানে একাধিক বাংলা ছবিকে একসঙ্গে লড়িয়ে দেওয়াই প্রচলিত, সেখানে এ রকম উলট পুরাণ কেন? পুজো থেকে কি তা হলে শিক্ষা নিলেন প্রযোজকরা? এই প্রসঙ্গে সৃজিতের মন্তব্য, ‘‘কারও জন্য আমার অন্তত কখনও অসুবিধে হয়নি। অন্যদের আমার জন্য অসুবিধে হচ্ছে হয়তো।’’
তবে ‘রসগোল্লা’ নেহাত নিষ্কণ্টক হচ্ছে না। রাজ চক্রবর্তীর ‘অ্যাডভেঞ্চার্স অব জোজো’ও মুক্তি পাচ্ছে ক্রিসমাসেই। এই সময়টায় বাচ্চাদের স্কুলে ছুটিও থাকে। তাদের দেখার মতো ছবির একটা চাহিদা থাকেই বাজারে। সেই চাহিদাই পূরণ করবে রাজের ছবি। অন্য দিকে ‘রসগোল্লা’ নিয়ে বাঙালির নস্ট্যালজিয়াকেই প্রেমের গল্পে মুড়েছেন নন্দিতা-শিবপ্রসাদ। শীতের মরসুমে সেই গল্পও দর্শক ভালবাসবেন বলে আশা করা যায়। অন্য দিকে নন্দিতা এবং শিবপ্রসাদের প্রতীক্ষিত ছবি ‘কণ্ঠ’ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারি। ‘শাহজাহান রিজেন্সি’ যে দিন মুক্তি পাওয়ার কথা। কিন্তু ‘কণ্ঠ’র মুক্তিও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে মে মাসে।
তবে ডেট ব্লকিংয়ের অভ্যেস যে টলিউডও করে নিচ্ছে, সেই ইশারাও দিচ্ছে বিভিন্ন ঘটনা। আগামী বছর পুজোয় মুক্তি পাবে সৃজিতের নতুন ছবি। প্রযোজনায় ভেঙ্কটেশ। ছবিটি থ্রিলার। থাকছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বাকি কাস্ট এখনও ঠিক হয়নি। অতএব পরের পুজোয় দর্শক ফের দেখতে পাবেন সৃজিত-প্রসেনজিৎ জুড়িদারি। আবার ২০১৯-এর কালীপুজোয় মুক্তি পাবে নন্দিতা-শিবপ্রসাদের ‘বেলাশুরু’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy