সুপ্রিয়া, সাবিত্রী ও মাধবী
একসঙ্গে তিন মহানায়িকা। তা-ও আবার বড় পরদায়। এই প্রথম মহানায়কের তিন নায়িকা সুপ্রিয়া দেবী, মাধবী মুখোপাধ্যায় আর সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে বড় পরদায় একসঙ্গে দেখতে পাবেন দর্শকে। আর তাঁদের জোট বাঁধার কাজটা করেছেন পরিচালক অনুপ সেনগুপ্ত।
‘জীবন ’ ছবিতে মুখ্য চরিত্রে এই তিন নায়িকাই। তিন জনকে বাঁধার যে কাজটা এখনও অবধি কেউ করে উঠতে পারেননি, সেই কাজটা কতটা কঠিন ছিল? পরিচালক বললেন, ‘‘একদমই কঠিন নয়। এর আগেও আমি মাধবীদি, সাবিত্রীদির সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু আমার কোনও ছবিতে বেণুদি কাজ করেননি। ফলে টেনশনেই ছিলাম। গল্পটা শোনাতে এক কথায় রাজি হয়ে গেলেন।’’
প্রযোজকদ্বয় নিবেদিতা চক্রবর্তী ও ধ্রুবজ্যোতি চক্রবর্তী চেয়েছিলেন অন্য স্বাদের ছবি বানাতে। তাই পুরনো সময়ের দাপুটে তিন নায়িকার কথা ভেবে গল্প লিখেছেন অনুপ নিজেই। ছবিতে সুপ্রিয়া-মাধবী-সাবিত্রীকে দেখা যাবে তিন বোনের চরিত্রে, যারা আর্থিক ভাবে দুর্বল। এক বিত্তবান দাদু মা-বাবা হারনো নাতিকে মানুষ করার দায়িত্ব দেয় তিন বোনকে। বিনিময়ে প্রচুর অর্থ। সন্তানটিকে বড় করতে গিয়ে তিন বোনের মজা, বিরক্তি, হতাশা, শূন্যতার সুতো বুনে এগোয় গল্প। শিশুটি বড় হলে অর্থ না ভালবাসা, রক্তের সম্পর্ক না লালনপালনের লড়াই, তা নিয়ে চলে টানাপড়েন। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে দেখা যেতে পারে দাদুর ভূমিকায়।
বেশ খানিকটা বিরতি নিয়েই অনুপ তৈরি করছেন ছবি। ‘‘এখনকার মানুষ রাজ চক্রবর্তী, রাজা চন্দদের ছবি দেখতে ভালবাসেন। যদি তাঁদের পুরনো ঘরানা ভাল না লাগে? তবে অপেক্ষা করেছিলাম ভাল গল্প, প্রযোজকের,’’ বললেন অনুপ। একটা সময় একের পর এক হিট দিয়েছে অনুপের ‘হারজিত’, ‘পবিত্র পাপী’, ‘সিঁথির সিঁদুর’। এত দিন পর ‘জীবন...’ নিয়ে প্রত্যাশা কেমন? ‘‘এই ছবি শুধু মধ্য বয়স্কদের জন্য নয়। একটা বিশেষ বয়সের মানুষ এখন আর হলে আসেন না। এটা যেমন তাঁদের জন্য, আবার যাঁরা ইদানীং কালের সিনেমা চুটিয়ে দেখছেন, তাঁদের জন্যও। এ ছাড়াও এঁদের মতো বড় মাপের অভিনেত্রীদের প্রতি দর্শকদের তো আলাদা আকর্ষণ থাকবেই’’, অকপট পরিচালক।
অনুপের ছেলে বনিও এখন সিনেমার হিরো। তাঁকে নিয়ে কি ছবির কথা ভাবছেন পরিচালক? ‘‘এখনই সে রকম কোনও ভাবনা নেই। আসলে প্রচারের ভূমিকা বিশাল। তাই আমি নিজে ওকে ইনট্রোডিউস করাইনি। বড় ব্যানারে কাজ করলে পরিচিতি বাড়বে। তবে ভাল প্রযোজক, গল্প পেলে বনিকে নিয়ে ছবি বানাব।’’ ‘জীবন খাতার প্রতি পাতায়’-এর শ্যুটিং শুরু হবে মহালয়ায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy