Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ফানের স্বপ্নপূরণে ফ্যানের স্বপ্নভঙ্গ

ছবির গল্পটা খুব সাধারণ। কারখানার কর্মচারী প্রশান্তের (অনিল) মেয়ে লতা (পিহু সন্দ) শহরের সিঙ্গিং সেনসেশন বেবির (ঐশ্বর্যা) মতো গায়িকা হতে চায়। কিন্তু সেই স্বপ্নপূরণের পথে অন্তরায় তার স্থূলকায় শরীর ও পরিবারের আর্থিক অবস্থা।

নবনীতা দত্ত
শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৮ ২২:০৭
Share: Save:

ফানে খান

পরিচালনা: অতুল মঞ্জরেকর

অভিনয়: অনিল, ঐশ্বর্যা, রাজকুমার, দিব্যা, পিহু

৪.৫/১০

আহা অনিল! বেশ লাগল আপনাকে। তার উপরে অনেক দিন বাদে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন, লাস্যময়ী রূপে। সঙ্গী তুখড় অভিনেতা রাজকুমার রাও। এই উপকরণে তৈরি রান্না ভাল হওয়ারই কথা। কিন্তু হল না। কারণ উপকরণ থাকলেই তো হল না! সঠিক ফোড়ন, রান্নার পদ্ধতি, কুকিং টাইম সব কিছুই তো ঠিকঠাক হওয়া দরকার। না হলে যে পুরোটাই মিলেমিশে ঘণ্ট হয়ে যায়!

ছবির গল্পটা খুব সাধারণ। কারখানার কর্মচারী প্রশান্তের (অনিল) মেয়ে লতা (পিহু সন্দ) শহরের সিঙ্গিং সেনসেশন বেবির (ঐশ্বর্যা) মতো গায়িকা হতে চায়। কিন্তু সেই স্বপ্নপূরণের পথে অন্তরায় তার স্থূলকায় শরীর ও পরিবারের আর্থিক অবস্থা। এ দিকে প্রশান্ত ওরফে ফানে খানেরও গায়ক হওয়ার স্বপ্ন ছিল, যা সে তার মেয়ের মাধ্যমে পূরণ করতে চায়। সুযোগ মতো বেবিকে একা পেয়ে অপহরণ করে প্রশান্ত। বন্ধু অধীরও (রাজকুমার রাও) জড়িয়ে পড়ে এই অপহরণ কাণ্ডে। মোদ্দা গল্প এটাই। অধীর-বেবির প্রেম, বেবির তারকা জীবনের হতাশা, বাবা-মেয়ের সম্পর্কের টানাপড়েন শাখাপ্রশাখা বিস্তার করে মূল গল্পের চারপাশে। হাজারো রঙের সুতোর ব্যবহার করলেও পরিচালক ভাল করে বুনতে পারেননি ছবিটি। অধীর আর বেবির এত প্রেম কখন হল যে, তারা পালিয়েই গেল, সেটা বোঝা গেল না। অভিনেতারাও মনে হয় বুঝতে পারেননি তাদের প্রেম আদৌ হচ্ছে কি না। তাই কোনও দৃশ্যেই সেই আবেগ ফুটে ওঠেনি। এত দিন বাদে অভিনয় করতে গিয়ে এই ছবিই কেন বাছলেন ঐশ্বর্যা, তাও ঠিক বোঝা গেল না। অন্য দিকে দিব্যা দত্ত, সতীশ কৌশিকের মতো অভিনেতাদের দৃশ্য সাজাতে ব্যবহার না করে, অভিনয়ে ব্যবহার করলে পারতেন পরিচালক। একাধিক চরিত্রের রসায়ন বুঝতে বুঝতে প্রথমার্ধ কেটে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে মাথা ধরে যায়। অপহরণ, মুক্তিপণ, তার সঙ্গে রিয়্যালিটি শোয়ের পুরো লাইভ টেলিকাস্ট... একসঙ্গে এত কিছু হজম হয় না।

নবাগতা পিহুর অভিনয় বেশ প্রশংসনীয়। ভারী চেহারাতেও নাচের স্টেপে কোনও আড়ষ্টতা নেই। বাবা-মেয়ের মিঠে-কড়া সম্পর্ক ফুটিয়ে তুলতে অনিলকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন তিনি। চরিত্র অনুযায়ী পোশাক নির্বাচনও ভাল। কিন্তু গানপ্রধান ছবিতে গানই ব্যাকবেঞ্চে। ছবির শেষে কোনও গানই সে ভাবে মনে থাকে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE