Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

আমার বন্ধু আমি-ই

যাঁকে আমরা এখন ছোট পর্দায় ‘অর্ধাঙ্গিনী’ ধারাবাহিকে ঈশ্বরীর চরিত্রে দেখতে পাই। তাঁর সঙ্গে দর্শকের প্রথম পরিচয় ‘দীপ জ্বেলে যাই’-এর দিয়ার চরিত্রের মাধ্যমে। নবনীতার সঙ্গে ঈশ্বরীর মিল ঠিক কোন জায়গায়?

নবনীতা দাস।ছবি: সুদীপ্ত চন্দ।

নবনীতা দাস।ছবি: সুদীপ্ত চন্দ।

ঈপ্সিতা বসু
শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৮ ০০:৫২
Share: Save:

কোথাও শোয়ে গেলে ‘দিয়া’ নাম ধরেই সকলে ডাকেন। কিন্তু ঈশ্বরীর চরিত্রটি নবনীতা দাসকে কাজের সন্তুষ্টি দিয়েছে। ‘‘আবার নিজের সঙ্গে মিলও খুঁজে পাই এই চরিত্রে...’’ মিষ্টি হেসে বললেন নবনীতা। যাঁকে আমরা এখন ছোট পর্দায় ‘অর্ধাঙ্গিনী’ ধারাবাহিকে ঈশ্বরীর চরিত্রে দেখতে পাই। তাঁর সঙ্গে দর্শকের প্রথম পরিচয় ‘দীপ জ্বেলে যাই’-এর দিয়ার চরিত্রের মাধ্যমে। নবনীতার সঙ্গে ঈশ্বরীর মিল ঠিক কোন জায়গায়? ‘‘ঈশ্বরী এখনকার প্রাণোচ্ছ্বল একটি মেয়ে। যার কাছে বন্ধুত্বের কোনও মাপকাঠি নেই। যে কোনও জায়গায় নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। চিন্তাভাবনা-কাজকর্ম সব কিছুতেই আমার সঙ্গে মিল রয়েছে। ঈশ্বরীকে বুঝতে পারলে নবনীতাকেও বুঝতে অসুবিধে হবে না।’’

কিন্তু স্টুডিয়ো পাড়ায় তো আপনাকে নিয়ে বিস্তর অভিযোগ! ‘‘হ্যাঁ, আমার খামখেয়ালি স্বভাবের জন্য অনেক অভিযোগ ওঠে। কিন্তু আমার জন্য কাজের ক্ষতি হয়নি কখনওই। অবসর সময়ে কী করলাম, সেটা একেবারেই ব্যক্তিগত ব্যাপার।’’ এ কারণেই কি আপনার বন্ধুর সংখ্যা কম? ‘‘আমি একটু জটিল। তাই আমাকে বুঝতে অনেকের সমস্যা হয়। আমার প্রিয় বন্ধু আমি নিজেই। নিজের সমস্যা কাউকে বোঝানোর চেয়ে তার সমাধান করে ফেলা সহজ,’’ বক্তব্য নবনীতার। নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পারেন। জানালেন, ‘ছদ্মবেশী’তে ‘লাবণ্য’র চরিত্রে প্রিয়ঙ্কা মিত্রকে রিপ্লেস করাটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।

টলিউডের এক জনকে বিশ্বাস করে ঠকলেও জীবনে লক্ষ্যভ্রষ্ট হননি। সিঙ্গল জীবন উপভোগও করছেন। তাঁকে বুঝে তাঁর জীবনে থাকতে পারলে সেই মানুষটির কাছে আর কোনও দাবি নেই নবনীতার। হাসতে হাসতে বললেন, ‘‘ঘুম থেকে উঠলে এক কাপ কফি বানিয়ে দেবে। এর বেশি কিচ্ছু চাই না।’’

নিজেকে ‘শপ্যাহলিক’ বলেন, ‘‘একদম টাকা জমাতে পারি না। মন খারাপ হলে, খিদে না পেলে শপিং করি। এ ভাবে ওয়ারড্রোবে ৩০-৩২ জোড়া জুতো জমে গিয়েছে। শাড়ির সংখ্যা প্রায় ২৫০ ছাড়িয়ে গিয়েছে!’’ ১৫ বছর বয়সে একা একা চলে গিয়েছিলেন কালিম্পং। তার পর নাগপুর। এখনও বন্ধুরা বেড়াতে গেলে তাঁদের দলে ভিড়ে যান। আবার দলের সঙ্গে গিয়েও একা ঘুরে বেড়ানোর নেশা পেয়ে বসে। এ রকম ভাবেই গ্যাংটক ঘুরে এলেন সদ্য। ঠিক করেছেন, ছুটি পেলেই এ বার পাড়ি দেবেন ইউরোপে। শুটিংয়ের ফাঁকে নবনীতা গল্প লেখেন। ছোট থেকেই কবিতা ও ছোট গল্প লেখার শখ তাঁর। ভূগোল অনার্সের এই ছাত্রীর অভিনয়ে আসাটা আচমকাই। তাই বড় পর্দার নায়িকা হওয়ার ইচ্ছে নেই। বরং ছবি পরিচালনা বা চিত্রনাট্যকার হওয়ার স্বপ্নে বুঁদ নবনীতা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE