Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

পুজোতেও ডায়েট? কী বলছে টলিউড

সারা বছর ডায়েটের চোখ রাঙানি চলে। পুজোর ক’টা দিন একটু বেসামাল হলে ক্ষতি কী!সারা বছর ডায়েটের চোখ রাঙানি চলে। পুজোর ক’টা দিন একটু বেসামাল হলে ক্ষতি কী!

প্রিয়ঙ্কা, রাইমা, সায়ন্তিকা।

প্রিয়ঙ্কা, রাইমা, সায়ন্তিকা।

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০০:৫০
Share: Save:

রাইমা সেন

পুজোর সময় কেউ ডায়েট করে নাকি! আমি এমনিতেই তেমন ডায়েট করি না। এ বার পুজোয় কলকাতায় থাকছি কি না, এখনও ঠিক নেই। তবে যেখানেই থাকি, পেট পুরে খাওয়াদাওয়া মাস্ট। কলকাতায় থাকলে মায়ের সঙ্গে প্যান্ডেলে যাই। ওখানে গেলে পুজোর ভোগ খাওয়াটা ছাড়া যায় না। পুজোর ভোগের স্বাদই আলাদা। নইলে বন্ধুদের সঙ্গে হ্যাংআউট তো আছেই। কোনও বিশেষ রেস্তোরাঁয় গিয়ে হয়তো খেলাম। তখন কে-ই বা ডায়েটের তোয়াক্কা করে! বাড়িতেও পুজোর দিনগুলোয় বেশ ভাল ভাল রান্না করা হয়। পুজো মানেই যা খুশি খাও!

আবির চট্টোপাধ্যায়

আমার রেগুলার ডায়েটের খুব বেশি হেরফের হয় না পুজোর সময়। আর পুজোর প্রথম দু’-এক দিন তো বাইরে বাইরে ঘুরেই কেটে যায়। উদ্বোধন, পুজো পরিক্রমা এই সব থাকে। বাকি দিনগুলোয় আমি একদম বাড়িতে। তখন হয়তো একটু ভারী খাওয়া হল। হয়তো একটু লুচি হল বাড়িতে। বা পাড়ার চেনা ফুচকাওয়ালার থেকে ফুচকা কিনে নিয়ে আসা হল...এই রকম আর কী। পুজো মানেই সব নিয়ম ভেঙে যা খুশি খেলাম, সে রকম ঠিক হয় না আমার ক্ষেত্রে।

যিশু সেনগুপ্ত

পুজোয় খাওয়াদাওয়ার বাছ-বিচার করি না। ডায়েটের কোনও গল্প নেই। বিরিয়ানি তো খেতেই হবে। স্টেক আমার খুব ভাল লাগে। সেটা যে কোনও ধরনের হতে পারে। পুজোর কয়েকটা দিন পাড়াতেই থাকি। মণ্ডপেই বেশি পাওয়া যায়। ওখানে আড্ডা দিতে দিতে কী যে খাই তার ঠিক নেই। ফুচকা, ভেলপুরি এন্তার চলতে থাকে। বাইরে থেকে বন্ধুরা চলে আসে এই সময়টায়। একটা গেস্ট হাউস ভাড়া নিয়ে সকলে মিলে সেখানে হইচই করি। তো সবাই মিলে খেতে যাওয়া, খাবার আনিয়ে নেওয়া... সব চলতা হ্যায়!


আবির, যিশু, অঙ্কুশ।

সায়ন্তিকা

পুজোর খাওয়াদাওয়া নির্ভর করছে দশমীর পর আমার কী রকম শ্যুটিং শেডিউল রয়েছে, তার উপর। কাজের চাপ না থাকলে যা পাব তাই খাব। আর পুজোর সময় যদি না-খাওয়ার কথা বলি, তা হলে সক্কলে বলবে, না খেলে মা দুগ্গা পাপ দেবে। তবে পুজোর পর টাইট শ্যুটিং শেডিউল থাকলে একটু মেপে খাব। দুপুরবেলা যদি হেভি লাঞ্চ করি, তা হলে বিকেলে হাল্কা। তবে ব্যালান্সটা করি, যাতে সব চর্বি একসঙ্গে না জমে! পুজো স্পেশ্যাল খাওয়া ছিল ছোটবেলায়, আমাদের লাবণির পুজোয়। চাউমিন, ফুচকা, এগ রোল আর আইসক্রিম। ওই কালো বড় তাওয়ায় বানানো চাউমিনের কী যে স্বাদ! অমৃত! তবে নায়িকা হওয়ার পর যে খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে কনশাস হয়েছি, তা নয়। সেটা ছোটবেলা থেকেই। আর তা অবশ্যই বাবার কারণে।

আরও পড়ুন:‘কারও সঙ্গে বিছানায় শুয়ে পড়াটা জলভাত, এ ধারণা তো আছে’

প্রিয়ঙ্কা সরকার

পুজোর চার দিন জমিেয় খাওয়াদাওয়া হবে শিয়োর। তবে পুজোর আগে নিয়ম মেনে ডায়েট করব, যাতে সুন্দর জামাকাপড়গুলো সব ফিট করে। এ বার পুজোয় বন্ধুদের সঙ্গে অনেক প্ল্যান আছে। এর বাড়ি বা তার বাড়ি কিংবা কোনও
রেস্তোরাঁ থেকে খাবার আনিয়ে খাওয়া হবে। আমাদের কমপ্লেক্সের পুজোয় তিন দিনই খাওয়া আছে। ভোগের একটা আলাদা স্বাদ
আছে, সেটা মিস করতে চাই না। এমনিতে পুজোয় সন্ধে অবধি ছেলে সহজের সঙ্গে থাকব। তার পর বন্ধুদের সঙ্গে। এর মধ্যে একদিন বাবা-মা, বোনের সঙ্গে বেরোনোরও প্ল্যান রয়েছে।

অঙ্কুশ

পুজোর সময় ডায়েট না মানলেও এমন কিছু খাই না, যাতে শরীর খারাপ হয়। তেল-মশলা জাতীয় খাবার এড়িয়েই চলি। এর আগে সপ্তমী-অষ্টমীতে এমন খেয়েছি যে, নবমী-দশমীতে খাওয়াই বন্ধ হয়ে গিয়েছে! তাই এখন সামলে চলি। কম তেল দেওয়া খাবার খাই। কাবাব বা ডেজার্ট জাতীয় জিনিস বেশি খাই। মিষ্টির মধ্যে মালপোয়া, পান্তুয়া
দিব্যি চলে। আর পুজোর ভোগ তো আছেই। আমাদের কমপ্লেক্সে পুজো হয়। সেখানে ক’দিন এলাহি খাওয়া-দাওয়া
চলতে থাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE