শিক্ষক দিবসের দিন রুপোলি দুনিয়ার সেলেবরা তুলে ধরলেন তাঁদের কয়েক জন গুরুর কথা।
বাবা রণছোড় দাস সেই ‘থ্রি ইডিয়টস’-এ বলে গিয়েছিল, ‘কাবিল বনো কাবিল...কামিয়াবি...ঝক মারকে পিছে ভাগেগি’।
র্যাঞ্চো নাহয় তার বন্ধুদের এ কথা বলেছিল। কিন্তু আসল জীবনে এমন অনেক শিক্ষককেই আমরা পেয়েছি যাঁরা গল্পের ছলে খাঁটি কথাটা বুঝিয়ে দেন।
কোয়েল মল্লিক
যাকে বলে জীবনের শিক্ষা, সেটা আমি পেয়েছি বাবা-মায়ের কাছ থেকে। এই শিক্ষা তো পাখি পড়ার মতো ‘ক-খ-গ-ঘ’ নয়, তা জীবনে এগিয়ে চলতে অনুপ্রেরণা জোগায়। এ জন্য আমি সারা জীবন তাঁদের কাছে ঋণী। আর নিজের পেশা জগতের কথা যদি বলি, সে ক্ষেত্রে আমার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক অবশ্যই বাবা। উনি যেহেতু জীবনে অনেক ঠেকে শিখেছিলেন, তাই সেই দিকগুলো সম্পর্কে আমাকে আগেই সাবধান করেছিলেন। ফলে আমাকে সেই সব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি এবং অনেক স্টেপ এগিয়ে যেতে পেরেছিলাম সহজেই, কারণ সেই বাধাগুলো সম্পর্কে আমার আগে থেকেই ধারণা ছিল।
আরও পড়ুন: বলিউডে কাজ পেতে বাবা-মায়ের পরিচয় দিতে হয়নি’
অনুপম রায়
এখনও অনেক স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ রয়ে গিয়েছে। পাণ্ডা স্যার খুব কাছের ছিলেন।
কিছু দিন আগে নজরুল মঞ্চে আমার অনুষ্ঠান শুনতেও চলে এসেছিলেন। স্কুল-কলেজে সব শিক্ষকই খুব কাছের মানুষ। আলাদা করে গুপ্ত স্যারের কথা বলব। আর বলব দেবাশিস বর্মনের কথা। যিনি না থাকলে আমি কিছুতেই জয়েন্ট এন্ট্রান্সে উতরোতে পারতাম না। এখন গান
শিখি প্রত্যুষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। ওঁর মতো গুরু পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
শিক্ষক দিবসের কথা বললে একদম ছোটবেলার কথাই মনে পড়ে প্রথমে। আমার কাকু ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্তকে প্রথম শিক্ষক হিসেবে পেয়েছি। শুধু পড়াশোনাই নয়, কাকু যে কত কিছু শিখিয়েছিলেন তার ঠিক নেই। কারমেল কনভেন্ট, লেডি ব্রেবোর্ন, গোখেল কলেজের শিক্ষকদের কথাও বলতে চাই। এখনও অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। ওই সময়ে শিক্ষকদের কাছ থেকে যে ভালবাসা পেয়েছি তা ভোলার নয়। সিনেমা জগতে অনেকের কাছ থেকেও কাজ শিখেছি। তরুণ মজুমদার, অপর্ণা সেন, ঋতুপর্ণ ঘোষ, এঁরা পরোক্ষ ভাবে অনেক কিছুই শিখিয়েছেন।
শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়
শিক্ষক বললেই স্কুল-কলেজ পর্বের কথা মনে পড়ে। কিন্তু আমার জীবনের সেরা শিক্ষক মা আর নন্দিতাদি (রায়)। ছোটবেলার সব কিছুতে মা জড়িয়ে রয়েছেন। আর পরিণত বয়সে জীবনের প্রতিটা অধ্যায়ে নন্দিতাদিকে পাশে পেয়েছি। উনি পরিচালনা, চিত্রনাট্য লেখার ক্ষেত্রে আমার উপর আস্থা রেখেছেন। সবচেয়ে বড় কথা, ঠিক করতে পারছিলাম না সিনেমা করব কি না! সিনেমার সঙ্গে আমার পরিবারের দূর-দূরান্তেও কোনও সম্পর্ক নেই। চাকরি ছেড়ে বিনোদনের দুনিয়ায় আসাটাও নন্দিতাদির হাত ধরেই। ভাল শিক্ষক তিনিই, যিনি চূড়ান্ত হতাশার মধ্যেও ভেঙে পড়তে দেন না। যখন ‘ইচ্ছে’ রিলিজ করছিল না, নন্দিতাদিই সাহস জুগিয়েছিলেন।
আবির চট্টোপাধ্যায়
শিক্ষক দিবস আমার কাছে ভীষণ স্পেশ্যাল একটাই কারণে। ৫ সেপ্টেম্বর আমার বাবা ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন। বাবার চেয়ে বড় শিক্ষক আর কে হতে পারে! ইলেভেন-টুয়েলভে পড়ার সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেরিয়ারের দিক দিয়ে তো বটেই, মানসিক দিক থেকেও। ওই সময়টায় শম্ভু মল্লিকের কাছে আমি ইংরেজি, ইতিহাস পড়তে যেতাম। আমার জীবনে ওঁর একটা বড় প্রভাব রয়েছে। আলাদা করে অ্যাকাউন্টসের স্যার এ কে রায়ের কথা বলব। তবে জীবনে ফ্রেন্ড, ফিলোজফার, গাইড বলতে যাঁর কথা বোঝায় তিনি তমাল স্যার। একেবারে বন্ধুর মতো ছিলেন। অভিনয় জীবনে এসে দেবাংশু সেনগুপ্তকে পেয়েছিলাম। যিনি আমাকে হাতে ধরে কাজ শিখিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy