Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

রাজ, মিমি, শুভশ্রী কে কার প্রেমে!

বলিউ়ডকেও হার মানাতে পারে এই টলিউডি গসিপপ্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে রাজ, মিমি, শুভশ্রী কে কার প্রেমে? বলিউ়ডকেও হার মানাতে পারে এই টলিউডি গসিপ

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৭ ০০:২৬
Share: Save:

যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই, মিলিলেও মিলিতে পারে অমূল্য রতন!

গসিপের ব্যাপারে টলিউড বরাবরই বেশ নীরস। কেচ্ছাকাহিনি খুঁজতে গেলে মিডিয়াকে সেই বলিউডেরই শরণাপন্ন হতে হয়। এই শোনা গেল আমির খান-ফতিমা সানা শেখের প্রেমের গুঞ্জন। তার রেশ মেলাতে না মেলাতেই আবার সিদ্ধার্থ-আলিয়ার জমাটি প্রেমে ভাঙন জ্যাকলিনের কারণে বলে খবর! আমাদের টলিপাড়ায় এত খবরের ঘনঘটা পাবেন না। রসমাধুরীবঞ্চিত এ ফিল্মিরাজ্যে রাজ-মিমি-শুভশ্রী, এই ত্রিকোণ সম্পর্ক যে বহুচর্চিত হবে, তা কি বলার অপেক্ষা রাখে! এর মধ্যে আবার একটি বিড়ালকে রীতিমতো অঙ্ক কষে কম্বল চাপা দিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছিল। সে বেরিয়েই পড়ল। রাজ চক্রবর্তী কিন্তু একেবারেই সিঙ্গল নন। প্রেম করছেন। কিন্তু কার সঙ্গে? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। কখনও শুভশ্রীর দিকে পাল্লা ভারী তো কখনও মিমির দিকে। ইদানীং আবার এক বিবাহবিচ্ছিন্না নায়িকার সঙ্গেও তাঁর প্রেমের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে!

আরও পড়ুন: আমার মা বেঁচে থাকতে রাজ কপূরের বায়োপিক নয়

তা হলে কোনটা সত্যি?

আসলে ব্যাপারটা কী জানেন, প্রথমত নারী চরিত্র বেজায় জটিল, কিছুই বুঝতে পারবেন না। তার উপর নায়ক যখন রাজ চক্রবর্তী, তখন পুরো অঙ্কটা ভীষণ জটিল হতে বাধ্য। তাই তা মেলানোর চেষ্টা না করাই ভাল। আমরাও করছি না। শুধু ঘটনাক্রম এবং তিন কুশীলবের বক্তব্য তুলে দিচ্ছি।

বেশ কিছু দিন আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল অনেক ঝগড়াঝাঁটি, মনোমালিন্য, বিখ্যাত প্রযোজকের চাপ এড়িয়ে রাজ-শুভশ্রীর সম্পর্ক নাকি আবার জোড়া লেগেছে। যদিও তার কোনও ‘পাক্কা সবুত’ ছিল না। কারণ তাঁদের একসঙ্গে কোথাও দেখা যায়নি। এবং বাহ্যত যুগলের শরীরী ভাষা এবং আচরণ এমন ছিল যে, তাঁরা যেন পরস্পরকে চেনেনই না এবং এতটাই তিক্ততা তাঁদের ঘিরে রেখেছে একে অন্যের সম্পর্কে যে, কোনও কথা অবধি শুনতে চান না। কোনও অনুষ্ঠানে শুভশ্রী এবং রাজের যাওয়ার কথা থাকলে তাঁরা কখনওই একসঙ্গে প্রবেশ করতেন না। সব সময় টাইমিং এমন হতো যে, একজন বেরিয়ে যাবেন, কিছুক্ষণ পর অন্যজন ঢুকবেন। যাতে কোনও ভাবে সন্দেহ করা না হয়। এ ভাবেই সবটা চলছিল। দিন কয়েক আগে দুর্গাপুজোতেও হাতিবাগানে এক বন্ধুর বাড়ির পুজোয় মিমি বেরিয়ে যাওয়ার পর রাজের অনুপ্রবেশ ঘটে। এবং তাঁর প্রস্থানের পর শুভশ্রীর শুভাগমন। এতে কে বুঝবে বলুন, এটা আগে থেকে ঠিক করে রাখা, না কি নেহাতই কাকতালীয়!

কিন্তু আলাদা-আলাদা আর কত দিন! এর পর সবাই যখন দুর্গাপুজো নিয়ে ব্যস্ত, তখন রাজ নাকি চুপি-চুপি শুভশ্রীকে নিয়ে উড়ে যান গোয়া। এই একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার ঘটনাটা টলিমহলে যাঁরা খবরটবর রাখেন, তাঁদের চোখ এড়িয়ে যায়নি। শোনা যাচ্ছে, নবমীর দিন তাঁরা গোয়া যান এবং দ্বাদশীর দিন সকালে সেখান থেকে ফেরেন। কিন্তু এখানে আবার একটা টুইস্ট রয়েছে। যদি তাঁদের গোয়া যাত্রা কাকপক্ষীটিতে টের পেয়ে যায়? তাই রাজের সঙ্গে শুভশ্রী নন, মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গে তিনি গোয়া গিয়েছেন, সেই খবর কায়দা করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। যদিও আমরা বিশ্বাস করি না, কিন্তু নিন্দুকেরা রটাচ্ছে, এ কাজ নাকি শুভশ্রীরই! সত্যি, কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে এবার না জানি কী বেরিয়ে পড়বে!

যাই হোক, গোয়া থেকে ফিরে সে রাতে রাজ-শুভশ্রী একসঙ্গে ছিলেন ও কোনও এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বলেও খবর কানে আসে। তার মানে, পারব না আমি ছাড়তে তোকে? কিন্তু তা হলে কেন এত রাখঢাক? পিছনে কি রাজের কমিটমেন্ট-ফোবিয়া না কি আরও গুরুতর কিছু? উত্তর দিতে পারেন একমাত্র কুশীলবরাই।

শুভশ্রীকে এ সম্পর্কের সত্যতা ও গোয়া যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে, তিনি আকাশ থেকে পড়েন। ফোনে বলেন, ‘‘কেন আপনারা আমাকে আবার রাজের সঙ্গে জড়াচ্ছেন বলুন তো? এমনিতেই যথেষ্ট অশান্তি ভোগ করেছি, আর এ ব্যাপারে কোনও কথা বলতে চাই না।’’

শুভশ্রী তো এড়িয়ে গেলেন। রাজও গোয়ায় যাওয়ার বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করলেন। এবং শুভশ্রীর সঙ্গে সম্পর্ক জোড়া লাগার কথাও তিনি স্বীকার করেননি। তাঁর কথায়, ‘‘আমি মুম্বইয়ে কাজে গিয়েছিলাম। এর বেশি কিছু বলব না।’’ তা হলে এ প্রেমের কত কোণ? ত্রিকোণ? চতুষ্কোণ? নাকি বহুকোণ?

তবে মিমি চক্রবর্তী কিন্তু এই ঘটনায় তাঁর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত। সরাসরি জানালেন, ‘‘কে কার সঙ্গে অ্যাফেয়ার করছে, সেটা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। অন্য কোনও নায়িকা কিছু বললেই সেটা ছাপতে হবে? আর বিষয়টা ভীষণই স্পর্শকাতর।’’

গত সোমবার সন্ধেবেলা তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বিজয়া করতে গিয়েছিলেন। তার আগের দিন তিনি সুরুচি সংঘের পুজোয় ছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি কলকাতায় ছিলাম সেটা অনেকেই জানেন। আর অষ্টমীর রাতে আমার দাদু মারা গিয়েছেন। একজন গোয়ায় গিয়ে বসে থাকবে আর রটিয়ে দেবে আমি সেখানে রয়েছি, এটা হতে পারে না।’’ তা হলে এটা পরিষ্কার, গোয়া যাওয়ার প্রশ্নে সকলেরই উত্তর ‘না’।

কিন্তু রাজ-শুভশ্রী তাঁদের সম্পর্ক আড়াল করতে আপনার নাম করবেই বা কেন? ‘‘এটা যে করছে আপনি তাঁকেই জিজ্ঞেস করুন। আমি তো রাজের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন কিছু লুকোইনি। কে কোন উদ্দেশ্যে আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে, সেটা জানি না। আমি নিজের কাজ করে যাচ্ছি। যারা লুজার তারাই এগুলো করে আসলে। আর আমি আমার ব্যক্তিগত জীবনে কী করছি তা নিয়ে বাবা-মা ছাড়া আর কাউকে কিছু বলতে রাজি নই।’’

কার সঙ্গে কার সম্পর্ক বোঝা না গেলেও, প্রেমের আগুন কিন্তু জ্বলছে। আগুন যখন লেগেছে, তখন ছাই উড়বেই। সেখানেই পাওয়া যাবে পরশমণির খোঁজ!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE