ইকবাল
ঠিক রাত আটটা। পর্দায় ভেসে উঠত গিটার হাতে এক রকস্টার। বছর চোদ্দো আগে ‘ক্যায়সা ইয়ে পেয়ার হ্যায়’ ধারাবাহিকে অঙ্গদ খন্নার ভূমিকায় অভিনয় করে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিলেন ইকবাল খান। সম্প্রতি তাঁকে দেখা যাচ্ছে, হাতা-খুন্তি হাতে একটি রিয়্যালিটি শোয়ে। রোজ ব্রেকফাস্ট নিজে বানাতেই পছন্দ করেন ইকবাল। আর খাবারের প্রতি প্রেম? ‘‘আমি বোর্ডিং স্কুলে পড়াশোনা করেছি। সেখানে এমন এক জনকেও দেখিনি, যে খেতে ভালবাসে না,’’ হেসে ফেললেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াও বলে দেয় তিনি ফুড লাভার।
‘ক্যায়সা ইয়ে পেয়ার হ্যায়’-এর মতো খ্যাতি আর পাননি। মিস করেন? ‘‘সত্যি কথা বলতে, অঙ্গদ চরিত্রটা এবং ওই ধারাবাহিক আমার কেরিয়ারে অনেক কিছু যোগ করেছে। কিন্তু তার পরেও এমন চরিত্র পেয়েছি, যা মনের আরও কাছে। ফলে সে ভাবে মিস করি না,’’ জবাব অভিনেতার। আর তাঁকে নিয়ে মহিলাভক্তদের পাগলামি? ইকবাল বলছেন, ‘‘দেখুন, ক্রেজ়ের রং বদলায়। ওই সময়ে যে পাগলামি ছিল, সেটা চিরন্তন। আর সেই ক্রেজ় এখন আশাও করি না।’’
আগে ধারাবাহিকের চরিত্রদের নিয়ে যে উন্মাদনা ছিল, সেটা কমেছে বলে মত ইকবালের। বলছেন,‘‘ওই সময়টায় সন্ধে আটটা থেকে রাত এগারোটা অবধি সত্যিই রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যেত। টিভি এখনও বড় মাধ্যম, কিন্তু সব কিছু ছেড়ে টিভি দেখার নেশাটা অনেক কমে গিয়েছে। হলিউডের ফিল্ম, ওয়েব সিরিজ়, ইউটিউব থাবা বসিয়েছে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ইদানীং ইকবালকে পর্দায় বেশ কমই দেখা যায়। কেরিয়ারের এই জ়োনে কি আদৌ তিনি খুশি? ‘‘আমি বরাবর ভাল থাকার মানুষ। জীবনের প্রত্যেক পর্যায় নানা রং যোগ করে ব্যক্তিত্বে। তবে এটা ঠিক, ভগবান আমার সহায়। যেটা করতে ভালবাসি, সেটা করতে পারি। এর চেয়ে বেশি কী চাই?’’
কাশ্মীরে এখনও থাকেন তাঁর মা-বাবা। বছরে দু’-তিন বার সেখানে যান ইকবাল। এর আগে কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে প্যালেস্তাইনের সঙ্গে তুলনা করে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন অভিনেতা। জানালেন, ‘‘যারা কিবোর্ড ওয়ারিয়র, তাদের কোনও কথা আমি পাত্তাই দিই না। আসলে যা কিছু বলে দেওয়াটা খুব সহজ।’’
কাজের পরে বাকি সময়টা মেয়ে অমাইরার সঙ্গে কাটে ইকবালের। খেলাধুলো, গল্প, হাসিঠাট্টায়। শুধু একটাই আক্ষেপ। মুম্বইয়ের স্বল্প পরিসরে মেয়ের সঙ্গে খেলা করে মন ভরে না। তাই কাশ্মীরের টানে ফিরে যান বারবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy