উইলিয়াম উইমার্ক জেকবস। এই ইংরেজ লেখক গত শতকে হাসির ফোয়ারা ছুটিয়েছেন। কিন্তু তাঁকে অমর করেছে আতঙ্ক। বিশ্ববিখ্যাত ভয়ের গল্প ‘দ্য মাংকি’স প’। সেই ছোট্ট গল্পের এক লাইনের প্লট নিয়ে বিশ্বজুড়ে শয়ে শয়ে ভাষায় উপন্যাস, সিরিয়াল, সিনেমা এগিয়েছে। ‘উইশ আপন’ সিনেমাটি সেই লিস্টিতে নাম লিখিয়ে ডাহা ফেল!
জন আর লিয়োনেত্তি অভিজ্ঞ সিনেমাটোগ্রাফার। কিন্তু পরিচালনা কাজটা তাঁর নয়। তিনি ‘অ্যানাবেল’-এর মতো সাংঘাতিক সিনেমার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েও লোক হাসিয়েছিলেন। হুজুগ আর খুনে-পুতুলটির নামযশেই সিনেমাটা চলেছিল। সাহস পেয়ে তিনি কিংবদন্তি নিয়ে টানাটানি করে বসলেন!
শুরুটা খারাপ ছিল না। মনমরা মেয়ে। মা আত্মহত্যা করেছে। বাবা আবর্জনা খোঁটে। সেই মেয়েটাকে বন্ধুরা খেপায়। এমন সময় তার হাতে আসে চিনাদের টুংটাং বাক্স। যার কাছে কিছু চাইলে, বদলে কলজের টুকরো খুবলে দিয়ে, প্রায়শ্চিত্ত ধরে দিতে হয়। সিনেমায় সাতটা বর চাইতে পারবে কিশোরী। চিত্রনাট্যকার এমন হাত খোলার সুযোগটি পায়ে ঠেললেন। সব ক’টাই তুচ্ছাতিতুচ্ছ ইচ্ছে। দুষ্টু বন্ধুর ক্ষতি, সুন্দর প্রেমিক, অর্থ-যশ... ব্যস?
উইশ আপন
পরিচালনা: জন আর লিয়োনেত্তি
অভিনয়: জোই কিং, রায়ান ফিলিপ
৩/১০
নির্মাতারা হরর ও স্ল্যাশার সিনেমার ‘জঁর’ মেলাতেই নাজেহাল! তার উপর ধার করেছেন টিনএজ সিনেমা-সিরিজ ‘ফাইনাল ডেস্টিনেশন’-এর ভাবনাটাও। যেখানে তালিকা মিলিয়ে মৃত্যু একের পর এক শিকার পোরে ঝুলিতে। এক জন ফস্কে গেলেই ঘুরে দাঁড়িয়ে, তার পিছনে দৌড়য়। এত সব একসঙ্গে ঠাসতে গিয়ে, সিনেমাটা দাঁড়িয়েছে বহু দেখা দৃশ্যের খামচা-কোলাজ।
সিনেমার ভালটুকু হল ‘রায়ান’ চরিত্রে কি হং লি। এর পরও যদি প্রযোজক-লিখিয়ে-পরিচালকদের সিনেমার শখ বাঁচে, তবে এ বার থেকে লি-কে কেন্দ্রে রেখে এগোলে, নিজেদেরই মঙ্গল করবেন। নইলে ছবি-পাগলদের অশান্ত আত্মাও নিজেদের মস্তিষ্কের এ হেন রক্তপাতের ভয়াবহ দাম দাবি করতে পারে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy