Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Presents

ই-পিএফ

খাতা-কলমে হিসেবের জমানা শেষ। এখন ভবিষ্যনিধি যোজনার বেশির ভাগ কাজই সারা যাবে নেট মারফত। জানাচ্ছেন প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী।বছর বারো আগে অবসর নিয়েছিলেন টালিগঞ্জের অজিত চক্রবর্তী। চাকরি জীবনে ইতি টানার পরে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়েছিলেন কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডের (এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ইপিএফ) টাকা হাতে পেতে।

শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৫ ০২:৪৭
Share: Save:

বছর বারো আগে অবসর নিয়েছিলেন টালিগঞ্জের অজিত চক্রবর্তী। চাকরি জীবনে ইতি টানার পরে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়েছিলেন কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডের (এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ইপিএফ) টাকা হাতে পেতে। সময় লেগে গিয়েছিল প্রায় ৬ মাস। এমনকী এই হয়রানি নিয়ে কার কাছে কোথায় অভিযোগ জানাবেন, তার হদিস বহু চেষ্টা করেও পাননি।

তবে যে-টাকা পেতে অজিতবাবুর কালঘাম ছুটেছিল, এখন তা পাওয়ার জন্য তেমন একটা খাটতে হয় না ইপিএফ সদস্যদের। এ দিক-ও দিক দৌড়তে দৌড়তে জুতোর শুকতলা খইয়ে ফেলেছিলেন অজিতবাবু। অথচ এখন সমস্তটাই ঘরে বসে স্রেফ কম্পিউটারের বোতাম টিপেই পাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে। মায় অভিযোগ দায়েরও। সৌজন্যে, ডিজিটাল প্রযুক্তির হাত ধরে চালু হয়ে যাওয়া ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর বা ইউএএন। সঙ্গে আরও কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনে কাজ সারার সুযোগ। আজকের আলোচনা এই ইপিএফ বা কর্মী ভবিষ্যনিধি যোজনার ভোলবদল নিয়েই।

ইউএএন জানার রাস্তা

http://uanmembers.epfoservices.in ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘নো ইয়োর ইউএএন স্টেটাস’-এ ক্লিক করুন।

•রাজ্যের নাম, পিএফ দফতর, সংস্থার পিএফ কোড এবং নিজের পিএফ নম্বর লিখে ‘চেক স্টেটাস’ বোতামে ক্লিক করুন।
•ইউএএন ফোনে পেতে মোবাইল নম্বর এবং সাইটে লেখা কোড (ক্যাপচা) দিন। এসএমএসের মাধ্যমেই তা পেয়ে যাবেন।
• নম্বর চালু না-হয়ে থাকলে সেটি পেতে মোবাইল নম্বর ও ক্যাপচা লিখুন। এসএমএসে পাবেন একটি ‘রিকোয়েস্ট আইডি’।
• উপরে ‘চেক ইয়োর ইউএএন জেনারেশন রিকোয়েস্ট স্টেটাস’-এ ক্লিক করুন।

• নম্বর চালু না-হলে ‘রিকোয়েস্ট আইডি’ দিন। দেখতে পাবেন ইউএএন কী অবস্থায় রয়েছে।

নেটে হেঁটে

ভারতে এখন মুখে মুখে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্লোগান। দেশের প্রতিটি কোণকে ইন্টারনেটের জালে জুড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে কেন্দ্র। প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবসা প্রসারে এ দেশকে নিশানা করছে বিশ্বের বহু তাবড় সংস্থা। এ হেন পরিস্থিতিতে ইপিএফ পরিষেবাও যে আধুনিক হতে নেটের হাত ধরবে, তা প্রত্যাশিত।

চাকরি বদলালে এখন আর নতুন সংস্থার আওতায় আলাদা ভাবে ইপিএফে নাম নথিভুক্ত করতে হয় না। অ্যাকাউন্টে কবে কত টাকা জমা পড়ছে, তার বিস্তারিত খতিয়ান চোখের সামনে ভেসে ওঠে ঘরে বসেই। কম্পিউটারের পর্দায়। দৌড়দৌড়ি করতে হয় না কিংবা হা-পিত্যেশ করে বসেও থাকতে হয় না টাকা পাওয়ার জন্য। কারণ, প্রতিটি ইপিএফ সদস্যের জন্য ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর (ইউএএন) চালু হয়ে গিয়েছে। যা কর্মীদের পুরো চাকরি জীবনে একটি মাত্র পিএফ অ্যাকাউন্ট রাখার ব্যবস্থা। পিএফ সংক্রান্ত সব তথ্য জানা যায় ইউএএন-এর মাধ্যমে।

নথিভুক্তির পদ্ধতি


• দু’তিন দিন পরে ফিরে যান সাইটে। তলায় লাল বাক্সে লেখা রয়েছে ‘অ্যাক্টিভেট ইয়োর ইউএএন বেসড রেজিস্ট্রেশন’।


• এই পাতায় নিয়মাবলি রয়েছে। মানতে রাজি থাকলে ক্লিক করুন পাশের বক্সে।

পাশাপাশি, কেউ চাকরি বদল করলে বা ছাড়লে, ইপিএফ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট আবেদনপত্র পিএফ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে যায় অনলাইনেই। ইপিএফের পেনশনের জন্য নেট মারফতই পাঠিয়ে দেওয়া যায় লাইফ সার্টিফিকেট।

তবে শুধু এটাই নয়। তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক আরও নতুন পরিষেবা এনেছেন পিএফ কর্তৃপক্ষ (এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন)। লক্ষ্য, দেশবাসীর জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে আরও সহজ করে তোলা।

পরিচয় নম্বরে

ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর অনেকটা আয়করের প্যান নম্বরের মতো। পুরো চাকরিজীবনে একজনের একটিই অ্যাকাউন্ট তৈরি হবে। এক বার নথিভুক্তির পরে সেই নম্বরটি আর কখনও বদলাবে না। এমনকী কোনও ইপিএফ সদস্য এক সংস্থার চাকরি ছেড়ে অন্য সংস্থায় চলে গেলেও নম্বর থাকবে একই। শুধু নতুন সংস্থায় আগের মতো নতুন পিএফ অ্যাকাউন্ট নম্বর জুটবে।

অর্থাৎ এখন চাকরি জীবনে দু’টো নম্বর থাকবে। একটা ইউএএন। আর তার অধীনে সংস্থা ভিত্তিক একটি পিএফ নম্বর। প্রথম নম্বরটি ব্যক্তির পরিচায়ক। আর দ্বিতীয়টি সংস্থার।

পাবেন কারা, কী ভাবে?

২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ওই সালেরই ৩০ জুনের মধ্যে যাঁদের পিএফ অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে একবার টাকা জমা পড়েছে, তাঁদের সকলের হাতেই সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী বা সংস্থার মাধ্যমে ইউএএন তুলে দেওয়া হয়েছে।

আর ২০১৪ সালের ১ জুলাইয়ের পরে যাঁরা প্রথম চাকরিতে যোগ দিয়েছেন কিংবা ভবিষ্যতে যোগ দেবেন, তাঁদের নিয়োগকারীর কাছে এফ-১১ ফর্ম জমা দিতে হবে। নিয়োগকারী সেটির তথ্য অনলাইনে পিএফ দফতরে পাঠিয়ে দেবেন। তার ভিত্তিতেই সংশ্লিষ্ট কর্মীকে ইউএএন দেওয়া হবে।

নিয়োগকারী এফ-১১ ফর্ম পিএফের দফতরে পাঠিয়ে দেওয়ার ৭২ ঘন্টার মধ্যে ইপিএফ সদস্য হিসেবে ওই কর্মীর নামে ইউএএন মঞ্জুর হয়ে যাবে।

এর পর ইন্টারনেট মারফত ইপিএফের ওয়েবসাইট বা পোর্টালে গিয়ে তিনি নিজেই তাঁর ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর জেনে নিতে পারবেন। এ জন্য পোর্টালে ঢুকে তাঁকে শুধু দিতে হবে পিএফ অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং মোবাইল নম্বর। পরে ইউএএন জানিয়ে বার্তা চলে আসবে তাঁর মোবাইলে।

http://uanmembers.epfoservices.in — এই পোর্টালটিতেই ঢুকতে হবে ইউএএন পাওয়ার জন্য।

সুবিধার খতিয়ান

নিত্য দিন ইপিএফ অ্যাকাউন্টে জমা টাকার হিসাব রাখা হোক বা চাকরি বদলালে কিংবা অবসর নিলে তা স্থানান্তরিত করা বা তুলে নেওয়া— আগে সমস্ত প্রক্রিয়াই ছিল সময়সাপেক্ষ ও পরিশ্রমের। কিছুটা জটিলও। ডিজিটাল প্রযুক্তির ছত্রচ্ছায়ায় পিএফের সেই ছবি এখন কতটা বদলাচ্ছে, এ বার সেটাই
দেখে নেব—

প্রতিটি সদস্যের জন্য তাঁর ইপিএফ অ্যাকাউন্টের হিসাব সম্বলিত পাসবুক তৈরি করেছেন কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ড কর্তৃপক্ষ। কবে কত টাকা জমা পড়ছে, মোট জমা কতখানি দাঁড়াল ইত্যাদি তথ্য দেখে নেওয়া যায় সেখান থেকে। পিএফের ওয়েবসাইটেই পাসবুকটি রাখা থাকে। নেট মারফত ইউএএন দিয়ে সাইটে ঢুকে তা দেখে
নেওয়া খুব সহজ।

প্রতি মাসে যখন কারও ইপিএফ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ে, সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মোবাইলে এসএমএস মারফত সেই বার্তা পাঠানোর ব্যবস্থা আছে। তবে এই সুবিধা পাওয়ার জন্য ইচ্ছুক ইপিএফ সদস্যকে নিজের মোবাইল নম্বরটি নথিভুক্ত করাতে হয়। ইংরেজি ছাড়াও বিভিন্ন ভাষায় এসএমএস পাঠানো হয়। ইচ্ছে মতো বেছে নিতে পারেন অনলাইনেই।

ধরুন চাকরি বদলালেন, সংস্থায় এফ-১১ ফর্ম দিয়ে আবেদন করলেন (অনলাইনেই করা সম্ভব) এবং সঙ্গে জানালেন নিজের ইউএএন নম্বর। ব্যাস। আপনাকে আর কিছু করতে হবে না। ওই আবেদনের ভিত্তিতে পুরনো সংস্থার পিএফ অ্যাকাউন্ট জুড়ে গেল আপনার নতুন সংস্থার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে। এর পরে নেট মারফত পুরনো অ্যাকাউন্টের টাকা নতুনটিতে নিয়ে আসা এক মিনিটের ব্যাপার। পুরনো সংস্থায় কত দিন কাজ করেছেন, তা-ও নথিভুক্ত হবে নতুন অ্যাকাউন্টে। যত বারই চাকরি বদলান না কেন, পদ্ধতি এই একই।

অনেকে নতুন সংস্থায় চাকরি নেওয়ার পরে পুরনো সংস্থার পিএফ খাতে জমা টাকা তুলে নেন। সে ক্ষেত্রে পুরনো সংস্থায় তিনি যত দিন কাজ করেছেন সেটা ধরা হয় না পিএফের পেনশন হিসাব করার সময়ে। এতে সদস্যের পেনশনের পরিমাণও কমে যায়। ইউএএন ব্যবস্থার জমানায় নতুন নিয়ম, পেনশন পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হলে কোনও কর্মীর এক বা একাধিক সংস্থা মিলে চাকরির মেয়াদ (যে-সময়ে তাঁর পিএফের টাকা কাটা হয়েছে) কমপক্ষে ১০ বছর হতে হবে। পাশাপাশি সদস্যদের প্রতি ইপিএফ কর্তৃপক্ষের পরামর্শ, পুরনো সংস্থায় জমা টাকা তুলে না-নিয়ে নতুন সংস্থার অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করে নেওয়াই ভাল। কারণ, অবসরের পরে হাতে পেতে চলা মোট পেনশনের অঙ্ক নির্ভর করে তার উপরেই।

নজরদারি

ইপিএফের টাকা স্থানান্তরের প্রক্রিয়া ঠিক মতো সম্পন্ন হল কি না, তা জানার জন্য এখন আর দৌড়দৌড়ি করে সময় নষ্ট করতে হবে না। বিষয়টি ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে অথবা নতুন ইপিএফ অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার ব্যবস্থা সারা কি না, তা নিজেই দেখে নিতে পারবেন কম্পিউটারের পর্দায়। এর জন্য শুধু ইপিএফের পোর্টালে গিয়ে ‘নো ইওর ক্লেম স্টেটাস’-এ ক্লিক করতে হবে।

পাসবই দেখবেন কী ভাবে?

• দিন দুই-তিন পর ফিরে যান ওয়েবসাইটে।
• ইউএএন এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে নিজের প্রোফাইল খুলুন।

• প্রোফাইলের উপরে বাঁ দিকে ‘ডাউনলোড’ বোতামে ক্লিক করে ‘ডাউনলোড পাসবুক’-এ যান।
• দেখতে পাবেন পিএফের তথ্য। ডাউনলোড করে রাখতে পারেন।

আর যা পাল্টাল

ইপিএফে বদল বলতে অবশ্য শুধুমাত্র ইউএএন চালু নয়। তালিকায় রয়েছে আরও কয়েকটি বিষয়। এবং সেগুলিও একই রকম নেট নির্ভর পদ্ধতি। তাই সেগুলিতেও পরিশ্রম এবং ঝামেলা, দু’টোই কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যেমন—

ইনঅপারেটিভ হেল্প ডেস্ক

কোনও কর্মী হয়ত এক সময়ে একটি সংস্থায় কাজ করতেন, কিন্তু দীর্ঘ দিন পিএফের টাকা তোলেননি। তাঁর অ্যাকাউন্টে কত টাকা জমা আছে, তা এই পরিষেবার মাধ্যমে জানতে পারবেন তিনি। এর জন্য ইউএএন নম্বর লাগবে না। শুধু তাঁর পরিচয়, কোন সংস্থায় কাজ করতেন, পিএফ অ্যাকাউন্ট নম্বর, মোবাইল নম্বর এবং ই-মেল আইডি-সহ কিছু তথ্য ইপিএফ কর্তৃপক্ষকে সরবরাহ করতে হবে। আবেদন করা যাবে নেট মারফত ইপিএফের পোর্টালে গিয়ে। তার পর ওই তথ্য কর্মীর মোবাইল বা ই-মেলের মাধ্যমে পিএফ দফতর সরাসরি জানিয়ে দেবে।

লাইফ সার্টিফিকেট জমা

এখন ডিজিটাল ব্যবস্থায় অর্থাৎ অনলাইনে পিএফ দফতরে লাইফ সার্টিফিকেটও জমা দিতে পারবেন ইপিএফের পেনশনভোগীরা। ইপিএফ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নভেম্বর থেকেই নতুন এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে।

সে ক্ষেত্রে—

১) কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়েবসাইট, জীবন প্রমাণ-এ (http://jeevanpramaan.gov.in) গিয়ে প্রথমে আধার কার্ড দিয়ে নিজের নাম নথিভুক্ত (রেজিস্ট্রেশন) করতে হবে। সেই সময়ে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে যে, তিনি ইপিএফও-র আওতায় পেনশন পাওয়ার হকদার। কারণ, ওই সাইটে কেন্দ্রীয় সরকারের অন্য সংস্থার পেনশনভোগীরাও লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিয়ে থাকেন।

২) আধার কার্ডের সঙ্গে আরও তিনটি তথ্য জানাতে হবে। পেনশন পেমেন্ট অর্ডার বা পিপিও নম্বর, মোবাইল নম্বর এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর। সাইটের নির্দিষ্ট জায়গায় এগুলি জানানোর ব্যবস্থা রয়েছে।

৩) জীবনে নাম রেজিস্ট্রেশন একবারই করতে হবে। কিন্তু প্রতি বছর ওই সাইটে গিয়েই রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ করে পাঠাতে হবে লাইফ সার্টিফিকেট। সঙ্গে দিতে হবে বুড়ো আঙুলের ছাপ। তবে ঘরে বসে এ কাজ করতে হলে (সঙ্গের সারণি দেখুন) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বিশেষ বায়োমেট্রিক যন্ত্র কিনতে হবে।

৪) চাইলে অবশ্য সরাসরিও লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া যায়। অতএব, প্রতিটি ইপিএফও সদস্যের সামনে এখন তিনটি উপায়ে এই সার্টিফিকেট পাঠানোর পথ খুলে গিয়েছে।

সরাসরি পিএফ দফতরে হাজির হয়ে

ব্যাঙ্কের যে-শাখায় পেনশন অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেখানে

ঘরে বসে নেটে

যাঁদের কম্পিউটার ব্যবহারের সুবিধা বা অভ্যাস নেই কিংবা যাঁরা বায়োমেট্রিক যন্ত্র কিনতে পারবেন না, তাঁদের কথা ভেবে ব্যাঙ্কের শাখার মাধ্যমে বা পিএফ দফতরে গিয়ে সরাসরি লাইফ সার্টিফিকেট জমার পুরনো ব্যবস্থাও চালু রাখা হচ্ছে।

অনলাইনে অভিযোগ

অনলাইনে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থাও চালু করেছেন ইপিএফ কর্তৃপক্ষ, যাতে অজিতবাবুর মতো কাউকে হয়রানির বিচার পেতে মাথা খুঁড়তে না-হয়। এর জন্য ন্যাশনাল ইনফর্মেটিক্স সেন্টারকে দিয়ে সফটওয়্যার তৈরি করিয়েছে ইপিএফও।

অনলাইনে অভিযোগ জানাতে http://epfindia.gov.in পোর্টালে যেতে হবে। সেখানে পাওয়া যাবে অভিযোগ জানানোর ফর্ম। নিজের ই-মেল ও ফোন নম্বরও জানাতে হবে। ইপিএফ কর্তৃপক্ষের দাবি, অনলাইনে অভিযোগ করলে ১৫ দিনের মধ্যে তা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা অভিযোগকারীকে মোবাইল বা ই-মেলে জানানো হবে।

একাধিক চাকরির তথ্য যাচাই

যাঁরা আগে এক বা একাধিক সংস্থায় কাজ করেছেন, তাঁরা এখানেই সেগুলির পিএফের তথ্য দেখতে পারবেন। পুরনো চাকরিতে জমা টাকা এবং চাকরির মেয়াদ নতুন চাকরির পিএফ অ্যাকাউন্টে আনার জন্য দাবিও করতে পারবেন। এ জন্য—

সাইটে গিয়ে মেনুর উপরের দিকে ‘কনফার্ম প্রিভিয়াস এমপ্লয়মেন্ট’ বোতামে ক্লিক করুন।

এখানে আগের চাকরির তথ্য উল্লেখ করা থাকবে।

প্রতিটি চাকরির পাশে থাকা ‘চেক স্টেটাস’ বোতাম ক্লিক করুন।

‘চেক স্টেটাস’ বোতামের বদলে সেখানে ‘সাবমিট’ লেখা দেখা যাবে।

এতে ক্লিক করলে একটা ‘ফর্ম ১৩’ ক্লেম আপনা থেকেই পিএফ দফতরে জমা পড়বে। (উল্লেখ্য, পুরনো ব্যবস্থাতেও একটি চাকরির জমা পিএফের টাকা পরের চাকরিতে স্থানান্তরিত করতে হলে ‘ফর্ম ১৩’-এর মাধ্যমেইআবেদন করতে হত)।

পিএফ দফতর অনলাইনেই পুরনো চাকরির তথ্য এবং নতুন নিয়োগকারীর কাছে আপনার দেওয়া তথ্যগুলির সত্যতা যাচাই (ভেরিফিকেশন) করবে।

‘ফর্ম ১৩’ জমা পড়ার পর দিন তিনেক বাদে সাইট খুলেই দেখে নিতে পারবেন পুরনো চাকরির পিএফের সমস্ত টাকা নতুন চাকরির পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে কি না। উল্লিখিত হয়েছে কি না পুরনো চাকরির মেয়াদও, যা পেনশন হিসাবের জন্য প্রয়োজন।

জমিই হোক বা সঞ্চয়। আপনার যে কোনও বিষয়-সমস্যা নিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শের জন্য লিখুন।
ঠিকানা ও ফোন নম্বর জানাতে ভুলবেন না। ‘বিষয়’, ব্যবসা বিভাগ, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা, পিন-৭০০০০১। ই-মেল: bishoy@abp.in

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE