Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Presents

আপনার সংশয় আমাদের সমাধান

গত ১৬ জুলাই বিষয় আশয়ের পাতায় প্রকাশিত হয়েছিল ‘আয়কর রিটার্নের নতুন নিয়ম’। তারপর আপনাদের অসংখ্য চিঠি পেয়েছি আমরা। প্রত্যেকেই রিটার্নের খুঁটিনাটি নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিতে চান। কাটাতে চান ধোঁয়াশা। এ দিকে, হাতে সময়ও তেমন নেই। রিটার্ন জমা দিতে হবে ৩১ অগস্টের মধ্যে। তাই আজ শুধু ওই সব চিঠিরই উত্তর দিলাম আমরা। জায়গা সীমিত হওয়ায় সব প্রশ্নের জবাব দেওয়া গেল না। তবু চেষ্টা রইল গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলি ছুঁয়ে যাওয়ার।গত ১৬ জুলাই বিষয় আশয়ের পাতায় প্রকাশিত হয়েছিল ‘আয়কর রিটার্নের নতুন নিয়ম’। তারপর আপনাদের অসংখ্য চিঠি পেয়েছি আমরা। প্রত্যেকেই রিটার্নের খুঁটিনাটি নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিতে চান। কাটাতে চান ধোঁয়াশা। এ দিকে, হাতে সময়ও তেমন নেই। রিটার্ন জমা দিতে হবে ৩১ অগস্টের মধ্যে। তাই আজ শুধু ওই সব চিঠিরই উত্তর দিলাম আমরা। জায়গা সীমিত হওয়ায় সব প্রশ্নের জবাব দেওয়া গেল না। তবু চেষ্টা রইল গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলি ছুঁয়ে যাওয়ার।

অমিতাভ গুহ সরকার
শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৫ ০১:১৯
Share: Save:

আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত পেনশনপ্রাপক। পেনশন ছাড়া ব্যাঙ্ক সুদ বাবদ আয় আছে। সম্প্রতি আমি আইটিআর-১ ফর্মে ২০১৪-’১৫ অর্থবর্ষের রিটার্ন ফাইল করার পরে বুঝতে পারি যে, কতগুলি তথ্য আমি ভুল জায়গায় দিয়েছি। পরে চেষ্টা করেও নতুন রিটার্ন ফাইল করতে পারিনি। এ ছাড়া, বুঝতে পারলাম না, আইটিআর ১ ফর্মে কোথায় পাসপোর্ট নম্বর দিতে হবে।

আর দাস

আপনাকে ঠিক তথ্য ঠিক জায়গায় দিয়ে সংশোধিত (রিভাইজড) রিটার্ন দাখিল করতে হবে। ধারা ১৩৯ (৫)-এর অধীনে। মূল রিটার্নের রিসিট নম্বর এবং ফাইলিংয়ের তারিখও উল্লেখ করতে হবে। কোনও অসুবিধে হলে অনলাইন কর বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া ভাল।

আইটিআর-১ ফর্মে পাসপোর্ট নম্বর জানানোর ব্যবস্থা নেই।

আইটিআর-১ ফর্মের ২০ নম্বর পয়েন্টে সবক’টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছে। অথচ শুধুমাত্র দু’টি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে জানানোর জায়গা রয়েছে সেখানে। কারও চালু অ্যাকাউন্টের সংখ্যা যদি দু’টির বেশি হয়, তা হলে কোথায় সেই তথ্য লিখতে হবে?

অশোক কুমার রায়

সেভিংস অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দাখিল করতে হবে আইটিআর-১ ফর্মের ২৭ নম্বর পয়েন্টে। ২০ নম্বরে নয়। আপনার যদি দু’টির বেশি সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকে, তবে ‘অ্যাড রোজ’-এ ক্লিক করুন। এর ফলে নতুন লাইন/একাধিক লাইন (রো) খুলে যাবে। এ বার তাতে তৃতীয় এবং তার পরেরগুলিতে অন্যান্য অ্যাকাউন্টের তথ্য ভর্তি করুন।

আমি একজন পেনশনপ্রাপক। শেয়ারে টাকা খাটানোর ফলে স্বল্প মেয়াদি মূলধনী লাভ (শর্ট টার্ম ক্যাপিটাল গেইন) হয়েছে। কোন রিটার্ন ফর্ম জমা দেব?

স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়

আপনার আয়ের একাংশ যদি স্বল্প মেয়াদি মূলধনী লাভ হয়, তা হলে আপনাকে আইটিআর-২ ফর্ম ভর্তি করতে হবে।

বেশ কয়েকটি বিষয়ে আমার প্রশ্ন আছে। এগুলি হল—

ক) গত ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে এ বছরের জুলাই পর্যন্ত অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কে একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট ছিল। কোনও দিন সেটি ব্যবহার করা হয়নি। শেষ পর্যন্ত গত ১৫ জুলাই অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দিই। আমাকে কি ২০১৫-’১৬ অ্যাসেসমেন্ট বছরের আয়কর রিটার্নে অ্যাকাউন্টটি দেখাতে হবে?

খ) সেভিংস অ্যাকাউন্ট এবং ফিক্সড ডিপোজিটের সুদ ছাড়া আমার স্ত্রী ও মেয়ের আর কোনও রোজগার নেই। তা ছাড়া, সুদ থেকে পাওয়া মোট টাকাও করমুক্ত আয়ের সীমার অনেক নীচে। ওদের কি আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে?

গ) ফিক্সড ডিপোজিট ও সেভিংস অ্যাকাউন্ট যৌথ নামে (জয়েন্ট) আছে। আমার ধারণা, অ্যাকাউন্টে যার নাম প্রথমে (ফার্স্ট হোল্ডার) থাকে, তারই আয় হিসেবে ধরা হয় সুদ বাবদ রোজগার। এটা কি ঠিক?

তপন কুমার দাস

ক) আপনার অ্যাকাউন্টটি খুব পুরনো নয়। রিটার্নে সেটি দেখিয়ে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

খ) সমস্ত সূত্র থেকে যা যা আয় হচ্ছে, সেগুলি যোগ করার পরে যদি দেখা যায় মোট আয় করমুক্ত আয়ের সীমার মধ্যেই আছে, তবে আয়কর রিটার্ন দাখিল করার বাধ্যবাধকতা নেই। অবশ্য কোনও আয়ের উৎসে যদি কর কেটে নেওয়া হয় (টিডিএস), তবে তা ফেরত পাওয়ার জন্য কিন্তু রিটার্ন জমা দিতে হবে।

গ) মেয়াদি জমা বা ফিক্সড ডিপোজিট এবং সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে সুদ বাবদ আয় হয়ে থাকলে দেখতে হবে, ওই দুই অ্যাকাউন্টে জমা করা টাকা কার আয় থেকে এসেছে। টাকা যাঁর, আয়ও তাঁর। এবং কর বাবদ দায়ও তাঁর। নাম প্রথমে দেখানো হোক বা না-হোক।

আমি একজন সফটওয়্যার প্রফেশনাল। ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে চাই। আমার ক্ষেত্রে কোন আইটিআর ফর্ম প্রযোজ্য হবে? এবং ফর্মের কোন জায়গায় আমি এলআইসি, পিপিএফ ইত্যাদি জমার কথা জানাব?

সুদেষ্ণা মাইতি

আপনার আয়ের সূত্র পেশা বা প্রফেশন। আপনাকে আইটিআর- ৪ ফর্ম ভর্তি করতে হবে। ফর্মে দেওয়া শিডিউল VIA-তে ৮০সি ধারার অধীনে কর সাশ্রয়কারী প্রকল্পে সঞ্চয়ের তথ্য দিতে হবে।

আমি অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ নাগরিক। ব্যাঙ্কে ২৬ লক্ষ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করা রয়েছে। এই টাকা থেকে ৮.৭৫% হারে যা সুদ হিসাবে পাই, বছরে সেটাই আমার একমাত্র আয়। পেনশন বা অন্য জায়গা থেকে কোনও রোজগার নেই। তাই আমি ১৫ এইচ ফর্ম জমা দিই। আমার কি আইটিআর ফর্ম ভর্তি করে জমা দেওয়ার দরকার আছে?

কৃষ্ণকলি চট্টোপাধ্যায়

প্রবীণ নাগরিক হওয়ার কারণে আপনার ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত। ২৬ লক্ষ টাকা সঞ্চয়ের উপর ৮.৭৫% হারে সুদ পেলে আপনার বাৎসরিক আয় দাঁড়ায় ২,২৭,৫০০ টাকা। অর্থাৎ তা ৩ লক্ষ টাকার কম এবং এটা ছাড়া আর কোনও আয় নেই। কাজেই, আপনার আয় করযোগ্য নয়। পাশাপাশি, আপনি ১৫ এইচ ফর্ম দাখিল করেন। যার মানে, আপনার সুদ বাবদ আয়ের উপর কোনও কর কাটা হয় না। সুতরাং রিফান্ড পাওয়ারও কোনও প্রশ্ন নেই। সুতরাং আপনি আয়কর রিটার্ন দাখিল না-করলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

আমি শুনেছি রেকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট থেকে যে-সুদ পাওয়া যায়, তা করযোগ্য আয় হিসাব করার সময়ে ধরা হয়। সত্যিই কি তাই? যদি তা হয়, তবে কখন এবং কী ভাবে ১৫ জি কিংবা ১৫ এইচ ফর্ম দাখিল করতে হয়?

সাত্যকি বসু

গত জুন মাস থেকে রেকারিং ডিপোজিটের সুদের উপর উৎসে কর কাটা (টিডিএস) শুরু হয়েছে। মেয়াদি জমার মতো করে কর কাটা হবে বাৎসরিক সুদ ১০ হাজার টাকা ছাড়ালে তবেই। ১৫ জি কিংবা এইচ ফর্ম জমা করতে হবে অর্থ বছরের একেবারে গোড়াতেই।

আমার একাধিক সেভিংস অ্যাকাউন্ট আছে। সেখান থেকে কম-বেশি সুদও পাই। সে সবও কি রিটার্নে দেখাতে হবে? সেই আয়ের উপর কর দেওয়া না-হয়ে থাকলে কী করব?

রিমিতা রায়

সেভিংস অ্যাকাউন্টের সমস্ত সুদই করযোগ্য। তবে মোট সুদ বছরে ১০,০০০ টাকা ছাড়ালে তবেই অতিরিক্ত সুদের উপর প্রযোজ্য হারে কর দিতে হবে। আপনার সুদ বাবদ আয় যদি ১০,০০০ টাকার বেশি হয়ে থাকে এবং সেই অতিরিক্ত টাকার উপরে যদি কর দেওয়া না-হয়ে থাকে তবে রিটার্ন ফাইল করার আগে সুদ-সহ কর (কর দিতে দেরি হলে প্রদেয় করের উপর মাসে ১% সুদ করের সঙ্গেই জমা করতে হয়) জমা করুন।

ব্যাঙ্কে আমার মেয়াদি জমা আছে। সুদ থেকে ব্যাঙ্ক কর কেটে নেয়। এই ব্যাপারে আমার কি আরও কিছু করার আছে?

সুরঞ্জন রাহা

মেয়াদি আমানতে সুদের হার বছরে ১০ হাজার টাকার বেশি হলে ব্যাঙ্ক উৎসে ১০ শতাংশ কর কেটে নেয় (টিডিএস)। আপনি যদি ২০% অথবা ৩০% করের আওতায় পড়ে থাকেন, তবে আপনাকে রিটার্ন ফাইল করার আগে বাকি কর জমা করতেই হবে। এ ছাড়া, অবশ্যই মনে রাখবেন আপনাকে কিন্তু শিক্ষা সেস বাবদও ৩% অর্থ দিতে হবে।

আমি অফিস থেকে ইস্যু করা ফর্ম ১৬-এর ভিত্তিতে প্রতি বছর রিটার্ন জমা করি। এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও রকম অসুবিধা হয়নি। কিন্তু আমার অন্যান্য সূত্রে অল্প বিস্তর আয় আছে। সেগুলো কি দেখাতে হবে?

রাত্রি রায়

অবশ্যই দেখাতে হবে। করযোগ্য সমস্ত আয়ই আপনাকে রিটার্নে দেখাতে হবে এবং তার উপর প্রযোজ্য হারে কর দিতে হবে।

আমি করের আওতায় পড়ি। উৎসে যাতে কর কাটা না-হয় তার জন্য ফর্ম ১৫ জি-ও দাখিল করে থাকি। পরে অবশ্য হিসেব করে সব কর মিটিয়ে দিই। এটা কি ঠিক?

তানিয়া সেন

একেবারেই ঠিক নয়। আপনার যদি করযোগ্য আয় থাকে, তবে আপনি ১৫ জি ফর্ম দাখিল করতে পারেন না। কারণ, ওই ফর্মে বলতে হয় আমার সম্ভাব্য আয় করযোগ্য নয়। করযোগ্য আয় থাকা সত্ত্বেও ১৫ জি ফর্ম দাখিল করা কিন্তু অপরাধ। একই কথা প্রযোজ্য ১৫ এইচ দাখিল করার ব্যাপারেও।

করযোগ্য আয়ের পাশাপাশি আমার কিছু করমুক্ত রোজগারও রয়েছে। এই সব আয়ও কি রিটার্নে দেখাতে হবে?

প্রিয়াংশু বন্দ্যোপাধ্যায়

হ্যাঁ। ইকুইটি এবং মিউচুয়াল ফান্ড থেকে প্রাপ্ত ডিভিডেন্ড, পিপিএফ অ্যাকাউন্টে জমার উপর সুদ, করমুক্ত বন্ডের উপর প্রাপ্ত সুদ ইত্যাদি আয় করমুক্ত। কিন্তু তা সত্ত্বেও রিটার্নের প্রযোজ্য অনুচ্ছেদে তা প্রতি বছর দেখিয়ে যেতে হবে।

আমি একজন ছাত্র। বয়স ২০ বছর। পড়াশোনার খরচ মেটাতে বাবা আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৩ লক্ষ টাকা জমা করেছেন। এটা কি আমার করযোগ্য আয়?

ওম রায়চৌধুরী

না। বাবা প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে বা মেয়েকে কোনও টাকা দান করলে তা প্রাপকের হাতে করযোগ্য হয় না। তবে সেই টাকা খাটিয়ে কোনও আয় হলে সেই রোজগার করযোগ্য হতে পারে।

আমার ব্যাঙ্কে মেয়াদি জমা আছে। সুদ থেকে ব্যাঙ্ক করও কেটে নিয়েছে। আয়কর দফতরের ২৬-এ ফর্মে কিন্তু ওই কেটে নেওয়া করের তথ্য দেখানো হচ্ছে না। কী করব?

সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

দ্রুত সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং টি ডি এস-এর তথ্য আয়কর দফতরে দাখিল করতে বলুন। না হলে কিন্তু কেটে নেওয়া করের সুবিধা পাবেন না আপনি।

আমি প্রবীণ নাগরিক। পেনশন এবং সুদ বাবদ কিছু আয় আছে। আমাকেও কি কর দিতে হবে এবং রিটার্ন ফাইল করতে হবে?

অরুণাংশু ভট্টাচার্য

প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে এখন ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত। সব রকম ছাড় বাদ দেওয়ার পরেও আপনার আয় যদি ৩ লক্ষ টাকার বেশি হয়, তবে আপনাকে কর দিতে হবে এবং রিটার্নও ফাইল করতে হবে।

আমি একটি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষক। স্টেট ব্যাঙ্কে আমার কিছু ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। নিয়মিত ১৫ জি ফর্ম জমা দিয়ে থাকি আমি। ওই সমস্ত ফিক্সড ডিপোজিট সংক্রান্ত তথ্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানোর প্রয়োজন আছে কি? সেগুলি থেকে পাওয়া সুদের জন্য আমাকে কি আলাদা ভাবে কর দিতে হবে?

অনির্বাণ বসু

আপনার আয় যদি করযোগ্য হয়, তবে আপনার ফর্ম ১৫ জি জমা করার কথা নয়। ব্যাঙ্কে মেয়াদি জমার উপর সুদ করযোগ্য। এই সুদের তথ্য আপনার স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারেন। তারা যদি প্রযোজ্য কর কেটে জমা করেন তা হলে ভাল। তা না-হলে আপনাকে আলাদা করে প্রযোজ্য কর জমা করতে হবে।

আমি সরকারি চাকরি করি। এবং আমার বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকার কম। সঞ্চয় করতে পেরেছি বলে ২০১৪-’১৫ আর্থিক বছরের জন্য আমি কোনও কর দিইনি। আয়কর ই-ফাইলিংয়ের ব্যাপারে আমার কী করণীয়? রিটার্ন দাখিল করিনি বলে আমি পরে কোনও সমস্যায় পড়ব না তো?

বিপ্লব মণ্ডল

আপনার ক্ষেত্রে ই-ফাইলিং বাধ্যতামূলক নয়। যদিও সঞ্চয়ের মাধ্যমে করের পুরোটাই আপনি সাশ্রয় করেছেন, তবুও সব তথ্য জানিয়ে উপযুক্ত ফর্মে রিটার্ন ফাইল করা উচিত।

আমার বয়স ৭২ বছর। ২০১৫-’১৬ অ্যাসেসমেন্ট বছরের জন্য আইটিআর-১ ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে জমা দেওয়া হয়েছে। আমার দু’টি সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে। কিন্তু আইটিআর ফর্মে একটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এখন আমার কী করণীয়?

সুপ্রভা মজুমদার

আপনি দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য উল্লেখ করে একটি রিভাইজড (সংশোধিত) রিটার্ন ফাইল করতে পারেন। যে-অ্যাকাউন্টটি আগের রিটার্নে দেখানো হয়নি, তাতে যদি কোনও আয় থেকে থাকে, তা হলে সেটা-ও দেখাতে হবে।

লেখক বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ

(মতামত ব্যক্তিগত)

জমিই হোক বা সঞ্চয়। আপনার যে কোনও বিষয়-সমস্যা নিয়ে বিশেষজ্ঞের
পরামর্শের জন্য লিখুন। ঠিকানা ও ফোন নম্বর জানাতে ভুলবেন না।
‘বিষয়’, ব্যবসা বিভাগ, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা, পিন-৭০০০০১। ই-মেল: bishoy@abp.in

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE