Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
‘লালমাটি উত্‌সব ও গানমেলা’

আজ সবার রঙে রং মেশাতে হবে

পারমিতা মুখোপাধ্যায়এই দুটো দিন যেন ঘোরের মধ্যে কাটল। নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে, কোন দুটো দিন? কেন, চোদ্দোই ফেব্রুয়ারি ভালবাসার দিন—যে দিন থেকে শুরু হল ফাগুন মাস আর তার পরের দিনটা।

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৫ ০১:০০
Share: Save:

এই দুটো দিন যেন ঘোরের মধ্যে কাটল। নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে, কোন দুটো দিন? কেন, চোদ্দোই ফেব্রুয়ারি ভালবাসার দিন—যে দিন থেকে শুরু হল ফাগুন মাস আর তার পরের দিনটা। ‘একে তো ফাগুন মাস দারুণ এ সময়/ লেগেছে বিষম চোট কী জানি কী হয়/ এ ব্যথা কী যে ব্যথা বোঝে কি আনজনে/ সজনি আমি বুঝি, মরেছি মনে মনে!’ সত্যিই দারুণ এ সময়। আর এ সময়টায় যদি এই সুদূর পশ্চিম মুলুক মুম্বইয়ে অনুভব করি পশ্চিমবঙ্গের লালমাটির স্পন্দন, তা হলে সে ঘোর কাটতে কি সময় লাগবে না?

‘লালমাটি উত্‌সব ও গানমেলা’ এক কথায় বলতে গেলে পাগল করে দিয়ে গেছে আমাদের। একে তো নবি মুম্বইয়ের সিবিডি বেলাপুরের আরবান হাট জায়গাটায় চিরকালই যেন বসন্ত। উঁচু নিচু পাহাড়ি ঢালু পথের দু’ধারে গাছেরা মাথা নাড়িয়ে অভিবাদন করছে। এখানে ঢুকলেই যেন রাখালিয়া বাঁশির মেঠো সুর বাজতে থাকে মনের মধ্যে। চোদ্দো আর পনেরোই ফেব্রুয়ারি এখানে ঠাঁই করে নিয়েছিল ভারতের পূর্বাঞ্চলের দুটি রাজ্য অসম ও পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার সংস্কৃতি ও মানুষজন। পশ্চিমে যেন পুবের আলো। অসমের মেখলা আর গস্তশিল্পের সম্ভারের মধ্য দিয়ে চড়াই-উতরাই পথ বেয়ে এগিয়ে যেতে যেতে একদম শেষে ডান দিকে অ্যাম্ফিথিয়েটার। খোলা আকাশের নীচে অর্ধচন্দ্রাকারে গ্যালারি ঘেরা মঞ্চ। দর্শক ওপরে আর কলাকুশলীরা নীচে। তাই বোধহয় দর্শকদের সঙ্গে আরও বেশি একাত্মতা তৈরি হয়। সকালবেলা ওই মঞ্চে অনুষ্ঠান মানে শিল্পীরা দেখতে পাবেন দর্শকদের প্রত্যেকের মুখের অভিব্যক্তি। এ এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। লালমাটি উত্‌সবে এটিই ছিল মঞ্চ আর এই মঞ্চসজ্জায় ছড়িয়ে ছিল মাটির স্পর্শ। সকালবেলা ওই মঞ্চ ধুয়ে যায় সূর্যের আলোয়। মঞ্চের পেছনে ও দু’দিকে গাছ। গাছগুলো থেকে মাঝে মাঝে খসে পড়ছে একটা-দুটো পাতা। এমন মাটির গন্ধমাখা মঞ্চে যদি ধামসা-মাদলের তালে তালে সাঁওতালি নাচে পা মেলায় ‘পরনে ডুরে শাড়ি মাথায় ফুল’ পুরুলিয়ার কিশোরী মেয়েরা—তা হলে কেমন লাগে? মন উদাস হয় না? এমন দিনে কাছে পেতে ইচ্ছে হয় না মনের মানুষকে? ওই ধামসা-মাদলের আওয়াজ বুকের মধ্যে কাঁপন তোলে। মনে হয়, ‘আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়/ আমি তার লাগি পথ চেয়ে আছি পথে যে জন ভাসায়/ যে জন দেয় না দেখা যায় যে দেখে, ভালবাসার আড়াল থেকে/ আমার মন মজেছে সেই গভীরের গোপন ভালবাসায়’।

এমনই দুর্বার স্রোতে ভেসে গিয়েছিলাম আমরা। সকাল, দুপুর, বিকেল, সন্ধে—অনুষ্ঠানের বিরতি ছিল না। একের পর এক শিল্পী তাঁদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন আর মুগ্ধ করেছেন আমাদের! লোকসঙ্গীত ও লোকনৃত্যের পাশাপাশি আমরা পেয়েছি ধ্রুপদী সঙ্গীত, যন্ত্রসঙ্গীত ও নৃত্য, রবীন্দ্রগান ও নৃত্য, আধুনিক গান, আড্ডা, কবিতা, তথ্যচিত্র প্রভৃতি বহু কিছু। ‘কী ছিল’ বলার থেকেও সহজ বোধহয় ‘কী ছিল না’ বলার চেষ্টা করা! অসংখ্য গুণী মানুষকে আমরা পেয়েছিলাম একসঙ্গে। এ কি আমাদের কম সৌভাগ্য!

মুম্বইয়ের বহু সংস্কৃতিমনস্ক যশস্বী মানুষকে আমরা পেয়েছিলাম এই দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে এবং বাস্তবিকই এই অনুষ্ঠান হয়ে উঠেছিল এক অভিনব মিলনমেলা। ‘ভালবাসার দিন’ অর্থাত্‌ চোদ্দোই ফেব্রুয়ারি সকালবেলা সাঁওতালি নাচের পর যখন যশস্বী শিল্পী রাজেন্দ্র কুলকার্নি বাঁশিতে তুললেন মঙ্গলভৈরবের সুর এবং ক্রমে সেই সুর যখন আমাদের পরিব্যাপ্ত করে দিচ্ছিল—মনে হচ্ছিল, এই সাধনাই বুঝি ঈশ্বরের আরাধনা! এই প্রকৃতির মাঝে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও লোকগানের মেঠো সুর যেন সেই একই দিকে ধাবিত হচ্ছে, যেন মিশে যাচ্ছে তারা একে অপরের সঙ্গে। এ ভাবেই সমগ্র অনুষ্ঠানে একের সঙ্গে মিশে গিয়েছে অপরের সুর। এ যেন এক ঐকতান—যা বেঁধেছে সকল মানুষকে নানা রং-রূপের বসন্তবাহারে। প্রকৃতিতে বসন্ত এসেছে, বসন্ত এসেছে মানুষের মনেও। এ যেন ক্যালাইডোস্কোপের মধ্য দিয়ে দেখা অজস্র রঙের বুনোট। রংগুলো একটার সঙ্গে একটা মিলেমিশে ক্রমাগত তৈরি হচ্ছে এক বিচিত্র অনুভব। রংগুলো মিলেমিশে গিয়ে আসলে গাঢ় হচ্ছে আমাদের অনুভূতি আর আবেগ! হৃদয়ে দোলা লাগছে। মনে হচ্ছে, এই দুটো দিন যেন চিরকালীন হয়ে উঠুক আমাদের জীবনে! সকাল থেকে রাত্রি প্রায় বিরতিহীন চলেছে অনুষ্ঠান আর দর্শক-শ্রেতাদের মন জুড়ে চলেছে কথা ও সুরের খেলা। এর মধ্যেই পনেরোই ফেব্রুয়ারি সকালে শান্তিনিকেতন আশ্রমিক অ্যাসোসিয়েশন-এর বসন্তোত্‌সব সেই সুরের লহরীতে ছড়িয়ে দিয়েছে একরাশ আবির-গুলাল। রঙের উত্‌সব হয়েছে পরিপূর্ণ।

আমার এই আউল-বাউল মনটা যখন যেখান থেকে পেরেছে কুড়িয়ে নিয়েছে এই সুরের মণিমুক্তো। আবেশে মাতাল হয়ে নেচেছে সাঁওতালি নাচের ছন্দে পা মিলিয়ে আর খুঁজে বেড়ানোর চেষ্টা করেছে জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতের বলিরেখা মুখে নিয়ে বেড়ানো লালমাটির মানুষগুলোর আনন্দ-বেদনাকে।

দ্বিতীয় দিন দুপুর পেরিয়ে যখন বিকেলের দিকে ঢলছে সূর্য—অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে বেরিয়ে সোজা একটুখানি এসে দেখি, ছৌ নাচের মুখোশ তৈরি করছে শিল্পীরা। দাঁড়িয়ে পড়েছি দেখতে ওঁদের হাতের অনবদ্য শিল্পকাজ—কী ভাবে কাগজের মণ্ড আর তার উপরে বসানো পাতলা মাটির আস্তরণের বুকে রং-তুলির টানে ধীরে ধীরে রূপ নিচ্ছে দুর্গা-গণেশের মুখ! সেই সাময়িক দেখাশোনার ফাঁকে ফাঁকে জেনেছি তাঁদের জীবনসংগ্রামের টুকরো টুকরো রোজনামচা। জেনেছি ছৌ নাচের শিল্পীরা কী ভাবে দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে বাঁচিয়ে রেখেছেন এই লোকশিল্পকে। মানুষের মনোরঞ্জন করাই এঁদের কাজ, অথচ দারিদ্র এঁদের নিত্যসঙ্গী। শীতকাল জুড়ে এ-মেলা সে-মেলা করে হয়তো কোনও রকমে চলে যায়। কিন্তু গরমে না আছে মেলা, না আছে উত্‌সব! তাই ওই মুখোশের আড়ালে নিজের ক্ষুধার্ত মুখ লুকিয়ে, রাতে আলোর রোশনাইয়ে ছৌ নাচের আসর বসে। মুখোশের আড়ালে ঢেকে থাকে শিল্পীর মুখ—আসরের আলোর জৌলুস যেমন অন্তরালে রেখে দেয় ছৌ শিল্পীদের দিন-গুজরানের কষ্টকে! মুখোশ ঢেকে রাখে তাঁদের মুখ আর সেইসঙ্গেই গোপন করে রাখে তাঁদের অপরিসীম দারিদ্র আর কষ্টকে। কত গুণী শিল্পী এই ভাবে হারিয়ে যায় কালের গহ্বরে আমরা তার খবর রাখি কি? রাজা সূত্রধর আর গোপী বাউড়ির মুখে ছৌ নাচের ইতিবৃত্ত শুনে মনের রংগুলো একটু ফিকে হয়ে এসেছিল বইকী!

আমার জেলা পুরুলিয়া। যে-পুরুলিয়া এক বুক ভালবাসা নিয়ে ডুংরি পাহাড় ঘেরা শাল মহুয়ার জঙ্গলে আকীর্ণ হয়ে আছে কত দিন! তার ঝুমুর টুসু, ছৌ এবং আরও কত লোকগান, লোকনৃত্য তার পাহাড়-জঙ্গলে আকাশে-বাতাসে ছড়িয়ে রয়েছে। আমরা কি পারব তাদের বাঁচিয়ে রাখতে? আমরা যারা নিজেদের তথাকথিত শিক্ষিত, আধুনিকতার আলোকপ্রাপ্ত বলে মনে করি, যদি নিজের দেশের সম্পদকে না বাঁচিয়ে রাখতে পারি, তবে কী জন্য এই শিক্ষা, কী জন্য আধুনিকতার বড়াই করা?

রাজর্ষি আমাদের মধ্যে এই প্রশ্নটা জাগিয়ে তুলতে পেরেছে। হ্যাঁ, রাজর্ষি! রাজর্ষি চট্টোপাধ্যায়। পুরুলিয়ার রঞ্জিত ঝরনা কাঁসাই ইকো ফাউন্ডেশনের কর্ণধার। এই রঞ্জিত ঝরনা ইকো ফাউন্ডেশন ও নীলকণ্ঠ উডস ইকো ভিলেজের সম্মিলিত উদ্যোগেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই দু’দিনব্যাপী ‘লালমাটি উত্‌সব ও গান মেলা’। এই সংস্থার কর্মপরিধি ও উদ্দেশ্য নিয়ে পূর্ববর্তী সংখ্যায় জানিয়েছিলাম। পুরুলিয়ার লোকশিল্প এবং পুরুলিয়ার মানুষের উন্নতির জন্য কাজ করাই এই সংস্থার একমাত্র লক্ষ্য। এই লালমাটি উত্‌সবের মূল লক্ষ্যও ছিল পুরুলিয়ার লোকসংস্কৃতির সঙ্গে মুম্বইবাসীর পরিচয় করানো। লালমাটিতে লালিত হওয়া মানভূমের এই অনগ্রসর আর্থিক সচ্ছলতাবিহীন মানুষগুলো যাতে একদিন মাথা উঁচু করে সম্মানের সঙ্গে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে বলতে পারে ‘আমরা আছি তাই ভারতবর্ষ আছে। আমরাই এই দেশ, আমরাই ভারতবর্ষ’। পুরুলিয়ার মানুষদের নতুন সূর্যের আলো দেখানোর এই যে স্বপ্ন রাজর্ষি ছোটবেলা থেকে মনের মধ্যে লালন করে এসেছে, সেই স্বপ্নগুলো আজ ডানা মেলতে শুরু করেছে। রাজর্ষির তরুণ মনের এই স্বপ্নগুলো ক্রমশ সঞ্চারিত হচ্ছে আমাদের মধ্যেও। হ্যাঁ, আবেগ তো আছেই। ভীষণ ভাবে আছে। তাই পুরুলিয়া সম্পর্কে কিছু বলতে গেলে রাজর্ষির কণ্ঠ আবেগে রুদ্ধ হয়ে আসে। আর এই আবেগ থেকেই যে স্বপ্নের জন্ম! স্বপ্ন না জন্মালে তা সাকারই বা হবে কী করে? দু’দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের দর্শকদের মধ্যে যে জীবনবোধ, যে সহমর্মিতা তৈরি হয়েছে তাতে মনে হয়েছে এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য সার্থক। রঞ্জিত ঝরনা কাঁসাই ইকো ফাউন্ডেশনের পথচলা শুরু হয়েছে। সার্থক ভাবে এই সংস্থা লক্ষ্যে পৌঁছকঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনা এবং এ শুধু আমার একার কথা নয়, আমরা যারা বিশাল কর্মকাণ্ড দু’চোখ ভরে দেখেছি, তাদের সকলেরই এই একান্ত কামনা।

আর মাত্র কয়েকটা দিন পরেই হোলি। লালমাটি উত্‌সব যেন বিপুল রঙের সমাহারে হোলির প্রস্তুতিকে সম্পূর্ণ করে দিয়ে গেল। শীত বিদায় নিয়েছে। আর কিছু দিন পরেই শুরু হবে রৌদ্রঝরা খরতপ্ত দিন। এর মাঝখানে সৌন্দর্যের ঋতু বসন্ত। নবি মুম্বইয়ে পাহাড়ের গায়ে এই বসন্তে হালকা বেগুনি রঙের ফুলের মায়াময় প্রলেপ চোখ জুড়িয়ে দিচ্ছে। আর কয়েক দিন। তার পর গুলমোহর গাছগুলোও ভরে উঠবে হলুদ ফুলে। হলুদ বসন্তে লাল রঙের তুলি বুলিয়ে দেবে কৃষ্ণচূড়া, শিমুল আর পলাশের দল। রঙের ওপর রং মিশে প্রকৃতির বিশাল ক্যানভাসে তৈরি হবে এক বিমূর্ত ছবির উদ্ভাস। প্রকৃতিও খেলবে হোলি।

হেলি খেলার অনুষঙ্গে কি মিশে থাকে বর্ণময় জীবনের প্রতি এক প্রবল অনুরাগ? মানুষ রং চায়অবিরল রঙের আবেশে মেতে থাকতে চায়—নিজের মনের রং সঞ্চারিত করতে চায় অপরের মনেও। আর এই বসন্তই মনের রং আদান-প্রদানের সার্থক ঋতু। শীতের কাঠিন্য, রুক্ষ্মতা চলে গিয়ে প্রকৃতি ক্রমশ বাঁধা পড়ছে বসন্তের নিবিড় উষ্ণ আলিঙ্গনে। উষ্ণতা মানে জীবন, উষ্ণতা মানে ভালবাসা, উষ্ণতা মানে সৃষ্টি। প্রকৃতি জুড়ে এই যে রঙের উষ্ণতার ভালবাসার স্পর্শএকেই মানুষ উদযাপন করে হোলি বা রঙের উত্‌সবের মধ্য দিয়ে। তাই হোলি সবার রঙে রং মেশানোর উত্‌সব।

‘হোলি খেলিছে শ্যাম কুঞ্জকাননে/ পথ নাহি জানে রাই যাবে সেথা কেমনে’ পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর কণ্ঠে এই গানটি শুনতে শুনতে মন কেমন উদাস হয়ে গিয়েছিল। মনে হচ্ছিল, কত কাল ধরে যেন রাইকিশোরী পথ চেয়ে আছে শ্যামেরই জন্য। হাতে তার আবির-গুলাল শ্যামকে রাঙিয়ে দেবে বলে। কিন্তু কোথায় শ্যাম....কোথায়? সে কি ধরা দেবে না? ‘হোলি’ নামে এই রঙের উত্‌সবে আমরাও তো খুঁজে ফিরি আমাদের মনের মানুষকে। মনে হয় যাকে চাই সে আসুক—আমার মনের সব রং দিয়ে তাকে রাঙিয়ে দিই! কিন্তু কত বসন্ত চলে যায়, মনের রং মনের মাঝে ক্রমশই ফিকে হতে থাকে—সে আর আসে না! কে সে? ধরা দিয়েও যে বারে বারে অধরা থেকে যায়! কোথায় শ্যাম—রাধিকার এ-আর্তি শ্যামকে খুঁজে ফেরে বনে-বনান্তরে, যমুনার তীরেঅবশেষে মনে হয়, শ্যামকে কোথায় খুঁজে চলেছে সে—শ্যাম যে তার মনের গহিনেই ঠাঁই নিয়েছে। শ্যাম এত কাছে অথচ কত দূরে! আমাদের মনের মানুষতারও কি বসত আমাদের বুকের মাঝখানে? মনের ওই গোপন ঘরটিতেই তো যত রঙের খেলা। তাই হোলির দিনে খুলে দেব মনের আগল। মনের আয়নায় দেখব মন যাকে চায় আর তাকে রঙিন করে দেব আমাদের জীবনের সমস্ত রং দিয়ে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE