Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বারো ঘণ্টা খেটেও স্বপ্ন দেখে হরিরা

শ্রীঅরবিন্দ মার্গ। এখানকার বাসিন্দাদের মুখে মুখে চলতি নাম ‘লোখন্ডওয়ালা ব্যাক রোড’। যথেষ্ট প্রশস্ত এই রাস্তাটির কাজ শুরু হয়েছে অনেক দিন আগে। প্রায় দশ-বারো বছর হলো। কর্তৃপক্ষের অনেক প্ল্যানের মতোই এটিও এক কিমি এগিয়ে এখন দরকচা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তবে যেটুকু হয়েছে, বেশ পাকাপোক্ত মসৃণ। আমরা, এ পাড়ার পড়শিরা সকাল-বিকেল হাঁটি এখানে। পুব দিকে ইট-পাথর-সিমেন্টের বাড়ির সারি। বাইশ-পঁচিশ তলার কংক্রিট জঙ্গল। আর পশ্চিম দিকে জলাভূমি। বিশাল এলাকা, সমুদ্রের খোলা হাওয়ায় খাঁড়ি পর্যন্ত বিস্তৃত। মোটরগাড়ি চালানো প্র্যাকটিস করা হয় এখানে। শুধু মোটরগাড়ি কেন, মোটর সাইকেল, স্কুটার, সাদামাঠা সাইকেল চালানোর হাতেখড়িও হয় এই ব্যাক রোডে। রাস্তার দু’জায়গায় খুদে সাইনবোর্ডে আর কর্পোরেশনের খাতায় ঋষিমশায় আবদ্ধ হয়ে আছেন। মুম্বই মনতাজ-এ লিখছেন মিলন মুখোপাধ্যায়।শ্রীঅরবিন্দ মার্গ। এখানকার বাসিন্দাদের মুখে মুখে চলতি নাম ‘লোখন্ডওয়ালা ব্যাক রোড’। যথেষ্ট প্রশস্ত এই রাস্তাটির কাজ শুরু হয়েছে অনেক দিন আগে। প্রায় দশ-বারো বছর হলো। কর্তৃপক্ষের অনেক প্ল্যানের মতোই এটিও এক কিমি এগিয়ে এখন দরকচা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তবে যেটুকু হয়েছে, বেশ পাকাপোক্ত মসৃণ। আমরা, এ পাড়ার পড়শিরা সকাল-বিকেল হাঁটি এখানে। পুব দিকে ইট-পাথর-সিমেন্টের বাড়ির সারি। বাইশ-পঁচিশ তলার কংক্রিট জঙ্গল। আর পশ্চিম দিকে জলাভূমি। বিশাল এলাকা, সমুদ্রের খোলা হাওয়ায় খাঁড়ি পর্যন্ত বিস্তৃত। মোটরগাড়ি চালানো প্র্যাকটিস করা হয় এখানে। শুধু মোটরগাড়ি কেন, মোটর সাইকেল, স্কুটার, সাদামাঠা সাইকেল চালানোর হাতেখড়িও হয় এই ব্যাক রোডে। রাস্তার দু’জায়গায় খুদে সাইনবোর্ডে আর কর্পোরেশনের খাতায় ঋষিমশায় আবদ্ধ হয়ে আছেন। মুম্বই মনতাজ-এ লিখছেন মিলন মুখোপাধ্যায়।

শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:১৪
Share: Save:

ফোন এল সকালবেলায়। বন্ধুতুল্য সিনেমা পরিচালকের।—আপনাদের পাড়ায় ব্যাক রোডে শু্যট করছি। চলে আসুন। সেকেন্ড শিফ্ট ... তার মানে দুটো-দশটা। দুপুর থেকে রাত। বেলা পড়তে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলুম। হিরো-হিরোইন বিশেষ কেউ নেই। দু’তিন জন পার্শ্বচরিত্র ও কমেডিয়ান জনি লিভার। বাকি সব একস্ট্রা বা গৌরবে জুনিয়র আর্টিস্ট। হাতাহাতি ঘুষোঘুষির সিন ক্যামেরাবন্দি করা হচ্ছে। তারও পরে ক্লাইম্যাক্স হচ্ছে ‘চেজিং’। এক কিমি লম্বা প্রশস্ত ব্যাক রোডে এই সব ঘটনা প্রায়ই হয়ে থাকে। নাচের দৃশ্য থাকলে ডান্স ডিরেক্টর স্বাধীন ভাবে (অবশ্যই মূল পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে অনুমতি নিয়ে) নাচের পোজ, মুদ্রা, ইত্যাদি শিল্পীদের দেখিয়ে দেন ও ক্যামেরা কোথায় বসবে, কী ভাবে শট নেওয়া হবে সবই নির্দেশ দেন। লড়াই তো নাচানাচি নয়, ব্যাকরোডে এখন ফাইটিঙের এই সব দৃশ্য পরিচালনা করছেন ফাইট মাস্টার।

বন্ধু পরিচালক মশাই হিন্দিতে বললেন, “এই শটটার পরেই কলাকুশলী-কর্মচারীদের টিফিনের ব্রেক দিতে হবে। স্টাফদের তো বড়া পাঁও, ঘুগনি, এই সব মশলাদার টিফিন বলাই আছে। সহকারীরা ম্যানেজ করছে। বিদেশি অতিথিদের কী খাওয়ানো যায়, যাতে ঝালমশলা থাকবে না বা কম থাকবে?”

বিদেশিদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিলেন আমার। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে এসেছেন। মধ্যবয়স্ক স্বামী-স্ত্রী। ওঁরা ডকুমেন্টারি ফিল্ম বানান। ইন্ডিয়া দেখতে এসেছেন। দিল্লি, রাজস্থান ঘুরে এখানে। এই ছবির প্রযোজকের পরিচিত। ফলে আপ্যায়ন করতেই হয়। ‘এই তল্লাটে কী খাবার অর্ডার দিয়ে আনানো যায়’ ভাবতে ভাবতেই দেখা হয়ে গেল বাঞ্ছিত মানুষটির সঙ্গে। ঊর্ধ্বশ্বাসে মো-বাইক বা মোটরবাইক চালিয়ে চলেছে। হাত তুলে ইশারা করলুম। পাশ কাটিয়ে, হুড়মুড় করে বেরিয়ে যেতে যেতে বলে গেল, “ডেলিভারি দে’কে দো মিনিটমে আ রহা হুঁ দাদা।”

হরিসাগর থাপা। আদি বাড়ি নেপালের বজং গ্রামে। তবে জন্ম এই শহরেই। সাত বছর বয়সে বাবা ওকে বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছে নেপালে। আমাদের সোসাইটি কম্পাউন্ডে প্রায়ই খাবার ডেলিভারি দিতে আসে। নিত্য দেখাশোনাতে আলাপ হয়ে গিয়েছিল।

“কবে এসেছ এখানে ফিরে?”

“চার বচ্ছর হল সাব।” বাইশের হরি খুব চটপটে কথা বলে। বলল, “এক জায়গায় বেশিক্ষণ বসে থাকতে ভাল্লাগে না।”

ঘুরে বেড়াতে ভাল লাগে। ছোটবেলায় শুনতুম ‘দিনরাত টোটো কোম্পানি’ বা ‘পায়ের তলায় সর্ষে’ অনেকটা সেই জাতের যুবক। পাড়া বেড়াতে ভালবাসে, নতুন মানুষের সঙ্গে আলাপ করতে বা নতুন নতুন জায়গা আবিষ্কার করতে। “সেই জন্যই” একগাল হাসি দিয়ে বলেছিল, “ডেলিভারি বয়ের চাকরিটা আমার মনের মতন। পা ব্যথা করে হাঁটতে হয় না পোস্টম্যানদের মতো। মো-বাইকে বসে সারা শহর চষে বেড়াই। সবচেয়ে মজা— এর জন্য ওরা টাকা দেয়।” “পড়াশুনো করতেই তো তোমাকে নেপালের বোর্ডিং স্কুলে রেখেছিল। তা তুমি আবার ফিরে এলে কেন এখানে?”

“একলা আসিনি। ভাইয়ের সঙ্গে এসেছি প্রাইভেট গাড়ির ড্রাইভার বাবাকে হেল্প করতে। পরিবারকে সাহায্য করতে।”

এর মধ্যে হরিসাগর ফিরে এল। নাকি বলা ভাল, উড়ে এল হুশ করে। ফোল্ডিং চেয়ার খুলে ওরা চার-পাঁচ জন বসেছিল। প্রযোজকের ফ্যামিলি, অতিথি দু’জন ও পরিচালক স্বয়ং। জানালুম, ইতালিয়ান পিত্‌জা, পাস্তা ইত্যাদির দোকান রয়েছে এ পাড়ায়। আন্তর্জাতিক ফুড চেন ‘ডোমিনো’। কী খাবেন বলে দিলে নিয়ে আসবে।

জমজমাট পাড়া লোখন্ডওয়ালায় সন্ধেবেলা একেবারে ঠাসাঠাসি ভিড়। মেন মার্কেট রোডে গাড়ির গায়ে গাড়ি হুমড়ি খেয়ে পড়ে। ওরই মধ্যে পাশ কাটিয়ে, কোথাও ফুটপাথে চড়ে কী অবলীলায় যে উধাও হয়ে গেল হরি, বুঝতেই পারলুম না।

এখন দু’দুটো চাকরি করে হরিসাগর। আগে একটাই ছিল। ভারসোবার একটি নামকরা ওষুধের দোকানে ওষুধ ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজ। প্ল্যাস্টিকের থলেতে ওষুধপত্তর নিয়ে হেঁটে অথবা বাসে চেপে বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিত। নেপাল থেকে এসে প্রথম বছর দেড়েক ওইখানে ছিল। এখন দুটো চাকরিই খাবারের দোকানে। জানাল, সকাল দশটায় চা-বিস্কুট খেয়ে বাড়ি থেকে রওনা হই। এগারোটার মধ্যেই হাজিরা দিই ওশিওয়াড়ায় ‘উদীপী’ হোটেল-রেস্তোরাঁয়। ‘শ্রীজি’স!’ হোটেল থেকে তিন কিমি দূরত্ব পর্যন্ত অর্ডার ডেলিভারি দিতে হয় বাড়ি- দোকান-অফিসে অফিসে। বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ৫টা-৬টা, মানে প্রায় ৫-৬ ঘণ্টায় নিদেন দশ-বারোটা ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় খাবার পৌঁছাতে হয়। ভাগ্যিস, ব্যবহার করার জন্য এই বাইকটা দিয়েছে মালিকপক্ষ। আগের চাকরিতে ঝামেলা ছিল অনেক। ট্যাঙস ট্যাঙস করে হাঁটো রোদে-জলে। বাসের লাইনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বিরক্ত, অধৈর্য হয়ে যেতুম।”

হরি আরও বলে, “এখন শুধু একটাই দুশ্চিন্তা চেপে বসে মাথায়—বর্ষার ক’মাস। অর্ডারি খাবারদাবার যেন ভিজে ঠান্ডা হয়ে না যায়। এর জন্যে সাবধান থাকতে হয়। বাইক চালানোর সময় সতর্ক থাকতে হয়।”

“দুপুরে খাওয়া-দাওয়া কী করো? লাঞ্চ?”

“দুটো নাগাদ খাই। ঘরের তৈরি রুটি তরকারি ভাত। কখনও কখনও উদীপি রেস্টুরেন্টের একস্ট্রা চিকেন চিজ জুটে যায়।” একটু দম নিয়ে হেসে বলে দেয়, “আমার না ওখানকার চিকেন চিজ স্যান্ডুইচ খুব ভাল লাগে। উপরি বেঁচে গেলে রাঁধুনি আমাকে বানিয়ে দেয় এক আধটা। খুব ভাল শেফটা।” সরল মুখে বলে ফেলল হরিসাগর।

এই সব কথাবার্তা হয়েছে ওর সঙ্গে খেপে খেপে। একনাগাড়ে তো ওকে ধরে রাখাই মুশকিল। একদিন রোজনামচার ফিরিস্তি দিয়েছে কথায় কথায়। ... দুপুরের উদীপি রেস্তোরাঁ থেকে ছুটি পায় বিকেল পাঁচটা নাগাদ। তাড়াহুড়ো করে বাড়ি পৌঁছয় হরি। এইটুকু সময় ও একলা। সঙ্গে মো-বাইক তো থাকে না! মালিকের সম্পত্তি রেখে দিয়ে আসতে হয় দোকানে।

বাসায় পৌঁছেই ফ্রেশ হয়ে চা জলখাবার নাকে-মুখে কিছু গুঁজে নেয়। দুপুরের সাদা উর্দি বদলে, ‘ডোমিনোজে’র নীল উর্দি পরে নেয়। তারপরে ঊর্ধ্বশ্বাসে হেঁটে চলে আসে এ পাড়ায়। দ্বিতীয় শিফটে রেস্তোরাঁর কাজ শুরু সন্ধে ছটা থেকে। ছটা থেকে রাত এগারোটা। এখানেও ওর জন্যে একটা মো-বাইক তৈরি থাকে।

সপ্তাহে সাত দিন কাজের মধ্যে কাটে রোজ বারো ঘণ্টা। তবে হ্যঁা। সপ্তাহে এক দিন, শনিবারটি উদীপী৫ বন্ধ থাকে বলে হরিসাগরের ছুটি।

তবু বারো মাস-তিরিশ দিন নাগাড়ে ছোটাছুটির চাকরি— ধকল বইকি! মেয়ে-মহিলাদের যেমন বয়েস জিজ্ঞেস করা বিলিতি মতে অসভ্যতা, তেমনই পুরুষদের রোজগার কত, জানতে চাওয়াটাও ঠিক ‘ভদ্রতা’র পর্যায়ে পড়ে না। তবু, ইতিউতি করে যখন বললুম, “এই খাটাখাটনির জন্যে মাস গেলে—”

ও নিজেই সপ্রতিভ গলায় জানাল, “তা মন্দ নয়। আমরা দু’ভাই ও বাবার রোজগারে স্বচ্ছন্দে চলে যায় এই মুম্বই বাজারে। দুই দিদি আমার, নেপালেই বিয়ে হয়েছে। ওদের সঙ্গে সপরিবারে আমরা দেখা করতে যাই। তা দু’জায়গায় কাজের জন্যে মাসে ৮৫০০ টাকা পাই। একটু থেমে, যেন হঠাত্‌ মনে পড়ল এই ভাবে চমমনে খুশির গলায় জানালো, ‘সবচেয়ে মজা হয়, খদ্দেররা যখন ‘টিপস’ বা বখশিস দেয়। বাড়ি বয়ে খাবার-দাবার নিয়ে গেলে, বেশির ভাগ কাস্টমারই বিল চুকিয়ে, যে খুচরো পয়সা-টাকা উপরি হয় তা দিয়ে দেয়, ‘তুম রাখ লো’, খুব আনন্দ হয় তখন। সব মিলিয়ে মাসে টিপস পাই আট-ন হাজার টাকা। কথা বলছে আর ওর আদরের বাহন হিরোহন্ডার গায়ে হাত বোলাচ্ছে।

“খদ্দের বা মালিকদের সঙ্গে খটাখটি হয় না?”

“হ্যাঁ হয়। মাঝে মধ্যে। এই যেমন গেল হপ্তায় এক খিটখিটে খদ্দের আর মালিকের মধ্যে ফেঁসে গিয়ে দু’চার কথা শুনতে হল। হয়েছিল কি, মালিকের সুপারভাইজার একটা ভুল ঠিকানা দিয়েছিল। ফলে সময়ে খাবার ডেলিভারি দিতে পারিনি। পুরনো মোবাইলটাও কাজ করছিল না যে ফোনে জেনে নেব। ফলে, অর্ডারের খাবার নিয়ে রেস্টুরেন্টে ফেরত আসতেই একগাদা ‘কথা’ চুপচাপ শুনতে হল। পরে, প্যাকেট নিয়ে যখন খদ্দেরের কাছে পৌছলুম, তার থেকেও মধুর বচন শুনে যেতে হল ঘাড় কাত করে।”

‘ডোমিনোজ’-এর কাজ শেষ করে রাত সাড়ে এগারোটায় সে বাড়ি পৌঁছয় হেঁটে হেঁটে। পাড়ার দু’একজন বন্ধুর সঙ্গে একটু আড্ডা মেরে, ঘরে ঢোকে মধ্যরাতে। কথা বলতে বলতে হঠাত্‌ খেয়াল হয়। লাফ দিয়ে বাহনের পিঠে চেপে বসতে বসতে বলে, ইস দাদা। দেরি হয়ে গেল। মালিকের বকুনি খেতে হবে। এখন যাই দাদা। স্টার্ট নিতে ঝামেলা করছে। কিক মারতে মারতে বললে, “টাকা জমিয়ে জমিয়ে এক দিন বাহন কিনব। রয়্যাল এনফিল্ড। রাজার ঘোড়া।” হঠাত্‌ যেন মনে পড়ল, বাঁ পকেটে হাত দিয়ে একটা মোবাইল বের করল। নতুন। বেশ বড় স্ক্রিন। চ্যাপ্টা। দেখিয়ে বলল, বেশ গর্বের সঙ্গে, “বিখ্যাত কোম্পানির ‘স্মার্ট ফোন’। ভাল না?”

... হরিসাগর ফিরে এল পিত্‌জা সমেত। মো-বাইকের পেছনের সিটে ডোমিনোজ লেখা নীল বাক্স। স্টিলের। তার মধ্যে থেকে গরম ইতালীয় খাদ্য দিল পরিচালককে। বিল দিয়ে পয়সা নিল। কাছে এসে বলল, “নতুন কবিতা লিখেছি। আরম্ভটুকু শুনুন ...” তারপর যে কবিতা শোনাল তার বাংলা হল, মনে যেখানে কোনও আশা ছিল না, স্বপ্নও নয়, সেইখানে এখন সফল হওয়ার স্বপ্ন অঙ্কুরিত হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

mumbai milan mukhopadhay
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE