খাবারের তালিকায় স্নেহপদার্থ থাকলেই কিন্তু শরীরে মেদ বাড়ে না। এমন অনেক স্নেহপদার্থ আছে, যারা শরীরের বন্ধু। কেটোজেনিক ডায়েটের হাত ধরে, ফ্রেন্ডলি ফ্যাট সংযোজন করে ওজন কমানো হয়।
কার্বোহাইড্রেট-প্রোটিন-ফ্যাটের ভাগটাই আসল
খাদ্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে, সেখানে ফ্যাট যোগ করাই কেটোজেনিক ডায়েটের নিয়ম।
এ ক্ষেত্রে শরীর ফ্যাট বার্ন করে শক্তি সরবরাহ করে। এই পদ্ধতিতে ফ্যাট ভেঙে কেটোন্স তৈরি হয়, যা মস্তিষ্কে শক্তি জোগায়। এই পদ্ধতিকে কেটোসিস বলে। শরীরকে এই পদ্ধতির জন্য তৈরি করতে যে ধরনের ডায়েট মানতে হয়, সেটাই কেটোজেনিক ডায়েট।
এই ডায়েটে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ সবচেয়ে কম, তার পর প্রোটিন এবং সবচেয়ে বেশি পরিমাণে স্নেহপদার্থ রাখতে হবে। মনে রাখবেন, দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় শতকরা ৭৫ ভাগ স্নেহপদার্থ, ২০ ভাগ প্রোটিন ও ৫ ভাগ কার্বোহাইড্রেট থাকবে। শতকরা হিসেবে এই ভাগটা করে নিতে পারলে, সেটা মানতে সুবিধে হবে। তবে এই ডায়েট শুরু করার সময়েই এই পরিমাণে খাবেন না। ধীরে ধীরে কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে, ফ্যাট বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। প্রথমেই কার্বোহাইড্রেট একেবারে কমিয়ে দিলে শরীর খারাপ হতে পারে। তাই কোনও ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে ধীরে ধীরে এই ডায়েটের সঙ্গে শরীরকে অভ্যস্ত করতে হবে।
কী কী খাবেন
মাংস, মাছ, ডিম, মাখন, পনির, চিজ়, বাদাম, বীজ, স্বাস্থ্যসম্মত তেল আর প্রচুর পরিমাণে আনাজ খেতে হবে। এই ডায়েটে মাছ-মাংস খাওয়া মানেই প্রচুর তেল মশলা দিয়ে রান্না করা নয়। বরং গ্রিল্ড বা কাবাব জাতীয় মাছ-মাংসের পদ খেতে পারেন। আর তেলের মধ্যে অলিভ অয়েল, নারকেল তেলের মতো হালকা তেল খাওয়াই ভাল। আমন্ড, আখরোট জাতীয় বাদামও রাখতে হবে রোজকার খাদ্যতালিকায়।
কী খাবেন না
মিষ্টিজাতীয় খাবার যেমন কেক, মিষ্টি, আইসক্রিম, মিষ্টি ফলের রস ইত্যাদি একদম চলবে না। ভাত, পাস্তা, পাউরুটি জাতীয় কার্বোহাইড্রেট দিনে শতকরা ৫ ভাগ রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়। মেয়োনিজ়ের মতো ফ্যাট এড়িয়ে চলতে হবে।
যে কোনও ডায়েট শুরু করেই কিন্তু ফল পাওয়া যায় না। অন্তত পক্ষে এক মাস সেই ডায়েট মেনে চললে তবে বুঝতে পারবেন ওজনের হেরফের। ডায়েট শুরু করার চেয়েও কঠিন সেই ডায়েট মেনে চলা। তাই আগে মনকে তৈরি করুন এই ধরনের ডায়েটের জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy