প্রতীকী ছবি।
স্নেহসবুজ দিন, তোমার কাছে ঋণ...
এই সামান্য সবুজের ছোঁয়ার জন্যই তো প্রাণ আকুলিবিকুলি করে। আসলে কংক্রিটের জঙ্গলে হারিয়ে গিয়েছে একচিলতে নরম, পেলব সবুজের অবকাশ। অফিস বা কাজের ক্ষেত্র মানে দিনের বেশির ভাগ সময়টাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বন্দি হয়ে থাকা। আর এই সময়টায় আপনার মনের দোসর হতে পারে অফিস প্ল্যান্টস। ডেস্কে ছোট্ট একটা গাছ বদলে দিতে পারে আপনার ক্লান্তি-বিরক্তি মেশানো দিন।
অফিসের জন্য ব্যালকনি বা রোদ আসে এমন জায়গায় রাখবেন না কি নিজের ডেস্কের পাশে হবে তার জায়গা— এটা ভেবে গাছ নির্বাচন করতে হবে। ডেস্কে রাখার গাছ নিয়েই আপাতত আলোচনা করব।
যার যত্নআত্তিতে বেশি সময় লাগবে না মোটেও, এমন গাছই বাছুন। অথচ অল্প যত্নেও তা থাকবে সতেজ, তরতাজা।
ডেস্কের জন্য বাছতে পারেন ইংলিশ আইভি, অ্যালো ভেরা, পিস লিলি, স্নেক, জেড, স্পাইডার, চাইনিজ় এভারগ্রিন, বস্টন ফার্ন, পোথোস বা ফিলোডেনড্রন।
দোকান বা নার্সারি থেকে কেনার আগে সেই গাছের যত্ন সম্পর্কে অবশ্যই জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
অনেক গাছে রোজ জল দিতে হয় না। মাটি শুকিয়ে গেলে সামান্য জল দিলেই চলে। সে ধরনের গাছ ডেস্কের জন্য খুব ভাল। যেমন স্পাইডার বা হোয়াইট মানিপ্ল্যান্ট।
আবার সাকুলেন্ট, লিথপস জাতীয় গাছের পাতা বেশ মোটা হয়। পাতায় জল ধরে রাখাই এ জাতীয় গাছের বিশেষত্ব। ডেস্ক প্ল্যান্টস হিসেবে এগুলোর জুড়ি মেলা ভার। বাছতে পারেন ক্যাকটাসও।
বিশেষ ধারণা না থাকলে গাছ কেনার সময়ে শুধুই ইন্ডোর প্ল্যান্ট বললে চলবে না। গাছ সারা ক্ষণ এসিতে রাখছেন না কি বারান্দায় রোদ-আলোয় তা থাকবে... সেটা উল্লেখ করবেন।
এক থেকে দেড় মাস অন্তর টবের মাটি অল্প খুঁচিয়ে সার মিশিয়ে দিলেই হল। তবে সার কখনও গাছের গোড়ায় দেবেন না।
ডেস্কে বসে চিনি ছাড়া লিকার চা খেলে কাপের তলানির চা ফেলবেন না। বরং ঠান্ডা হয়ে গেলে সেই লিকার ঢেলে দিন পাশে রাখা গাছে।
আপনার একটু স্নেহ, ভালবাসাই কিন্তু গাছের ওই একরত্তি প্রাণকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy