Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

উদ্যোগপতি থেকে সিনেমার নতুন যৌবনের দূত

অবিচলিত মনোভাব, অনমনীয় ব্যক্তিত্ব ও সিনেমাপ্রেম তাঁকে করে তুলেছিল অদ্বিতীয়। নিউ থিয়েটার্সের প্রতিষ্ঠাতা বি এন সরকার। লিখছেন শিলাদিত্য সেননিউ থিয়েটার্সের প্রতিষ্ঠাতা বি এন সরকার— এ ভাবেই মানুষজন চিনত বা জানত তাঁকে। কিন্তু ফিল্মে অর্থ লগ্নি করে নিছক ব্যবসায় মেতে ওঠার মতো মানুষ তিনি ছিলেন না।

শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০১
Share: Save:

স্টুডিয়োর ল্যাবরেটরিতে আগুন লেগেছে শুনে খেলার মাঠ থেকে ছুটে এসেছিলেন বীরেন্দ্রনাথ সরকার। মোহনবাগান মাঠে খেলা দেখছিলেন ছেলেকে নিয়ে। ছেলে দিলীপ তখন ছোট, তাঁকে অন্যের জিম্মায় দিয়ে স্টুডিয়োর গেটে পা রাখতেই দেখতে পেলেন আগুনের শিখা ল্যাবরেটরির ছাদের উপর দিয়ে প্রায় আকাশ ছুঁয়েছে। ১৯৪০-এর ৯ অগস্ট। দীর্ঘকালের অক্লান্ত পরিশ্রমে তৈরি সব ফিল্মের নেগেটিভ চোখের সামনে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। দেখতে দেখতে আর সহ্য করতে পারছিলেন না প্রমথেশ বড়ুয়া। বলেই ফেললেন, ‘‘আমার ‘দেবদাস’টাও পুড়ে গেল।’’ তখন তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে বীরেন্দ্রনাথ, তিনিও তাঁর এত কালের স্বপ্নকে পুড়ে যেতে দেখছেন, তা সত্ত্বেও পিঠে হাত রাখলেন বড়ুয়া সাহেবের। বললেন, ‘‘পোড়েনি... এই তো দেবদাস আমার পাশেই দাঁড়িয়ে।’’

কখনও বিচলিত হতেন না বীরেন্দ্রনাথ। দেশভাগ-দাঙ্গায় যখন দর্শকের একটা বড় অংশ হারিয়ে গেল সাতচল্লিশের স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে, দর্শকাভাবে ছবির বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হল, তখনও বীরেন্দ্রনাথ তাঁর নিউ থিয়েটার্সকে ছেঁটে ছোট করে ফেলেননি। নির্দ্বিধায় নিজের সঞ্চিত অর্থভাণ্ডারকে কাজে লাগিয়ে কোম্পানির ব্যয়ভার চালু রেখেছিলেন... সকলকে নিয়ে চলতে চাইতেন।

নিউ থিয়েটার্সের প্রতিষ্ঠাতা বি এন সরকার— এ ভাবেই মানুষজন চিনত বা জানত তাঁকে। কিন্তু ফিল্মে অর্থ লগ্নি করে নিছক ব্যবসায় মেতে ওঠার মতো মানুষ তিনি ছিলেন না। চমৎকার ভারসাম্যের মন ছিল তাঁর। এক দিকে যেমন বুঝতেন ভাল ছবি করাটাই শেষ কথা, অন্য দিকে এও মানতেন আসল পরীক্ষা সেই ছবির বাণিজ্যিক সাফল্যে। ১৯৩১-এ নিউ থিয়েটার্সের প্রথম ছবি কিন্তু চলেনি। ‘দেনাপাওনা’— শরৎচন্দ্রের কাহিনি নিয়ে পরিচালনা করেছিলেন প্রেমাঙ্কুর আতর্থী, ক্যামেরা চালিয়েছিলেন নীতীন বসু, সঙ্গে রাইচাঁদ বড়ালের সঙ্গীত। এত গুণী মানুষের স্পর্শ সত্ত্বেও মানুষের মন জয় করতে পারেনি সে ছবি। বীরেন্দ্রনাথ কিন্তু এতটুকু দমেননি, বরং পরের ছবির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন নতুন উদ্যমে।

‘জিন্দেগী’ ছবিতে কে এল সায়গল, যমুনা বড়ুয়া ও সহকারী শিল্পী

নিজের কাছে একেবারেই অপরিচিত চলচ্চিত্র জগতে তাঁর প্রবেশ ইম্প্রেসারিও হরেন ঘোষের হাত ধরে। প্রথম প্রথম যত অসুবিধেই হোক, সড়গড় হতে সময় লাগেনি। কারণ বরাবরই সময়ের তুলনায় অনেক এগিয়ে থাকা মানুষ ছিলেন তিনি। শিল্পচেতনা আর সাহিত্যবোধ ছিল প্রখর। স্থিতধী, আত্মবিশ্বাসী, সর্বোপরি স্বাধীনচেতা এই মানুষটি নিজে যা ভাবতেন ঠিক তাই করতেন। গত শতকের বিশের দশকে ইংল্যান্ড থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে যখন দেশে ফিরলেন, তখন বাংলা বা ভারতীয় সিনেমার গোড়ার যুগ। কলকাতা কর্পোরেশনে শুরু করলেন কনট্র্যাক্টরি। কিন্তু তীক্ষ্ণ ব্যবসায়িক বুদ্ধির পাশাপাশি শিল্পীসুলভ মন থাকায় বীরেন্দ্রনাথ চাইছিলেন আমাদের সংস্কৃতি-ঐতিহ্যকে এ দেশের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে। আর তা ফিল্মের মাধ্যমেই। ফলে কর্মক্ষেত্র বদল করে চলে এলেন ছবির জগতে। তৈরি করলেন নিউ থিয়েটার্স।

১৯৩১-এর ১০ ফেব্রুয়ারি কোম্পানি হিসেবে স্বীকৃতি পেল নিউ থিয়েটার্স। কতখানি পূরণ হয়েছিল তাঁর আকাঙ্ক্ষা তার হদিশ আছে বরেণ্য বাঙালি পরিচালক তপন সিংহের লেখায়— ‘‘শুধু নিউ থিয়েটার্স-এর নামে সারা ভারতবর্ষে ছবি চলত। বাঙালিদের চিত্তবিনোদনের জন্যে অতি প্রিয় দুটি সংস্থা ছিল। নিউ থিয়েটার্স আর মোহনবাগান।’’ আসলে বীরেন্দ্রনাথের এ অভিপ্রায়ের পিছনে প্রচ্ছন্ন ছিল তাঁর বাঙালি মন। প্রায় দুঃসাহসিক ভাবেই তিনি ছবির জগতে ঢুকেছিলেন। তখন শুধু বাংলা নয়, সারা ভারতের ছবির জগতেই একচেটিয়া আধিপত্য ম্যাডান থিয়েটার্সের। পার্সি ব্যবসায়ী ম্যাডানের কোম্পানি। কোনও কোনও বাঙালি সেটা ভাঙার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কেউই বীরেন্দ্রনাথের মতো অভিঘাত তৈরি করতে পারেননি।

তাঁর এই অনমনীয় ব্যক্তিত্বের পিছনে ছিল পারিবারিক ঐতিহ্য। শিক্ষাবিদ প্যারীচরণ সরকার, ফার্স্টবুক-এর রচয়িতা, পিতামহ ছিলেন তাঁর। আর আইনবিদ পিতা নৃপেন্দ্রনাথ সরকার অবিভক্ত বাংলার অ্যাডভোকেট জেনারেল ছিলেন। ১৯০১-এ জন্মানোর পরে হিন্দু স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে প্রেসিডেন্সি কলেজে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে বিলেতে পাড়ি জমান বীরেন্দ্রনাথ। সেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ফাঁকে ফাঁকে থিয়েটার দেখতেন প্রচুর। তখন থেকেই সম্ভবত শিল্প-সংস্কৃতির জাতীয় অভিনিবেশ গড়ে তোলার চিন্তা মাথায় ঘুরত তাঁর।

পরে বলেওছেন সে কথা ‘রূপ-মঞ্চ’ পত্রিকার সঙ্গে কথোপকথনে। নিউ থিয়েটার্সের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সারা দেশে তাঁর খ্যাতি তখন তুঙ্গে। বলছেন, ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে কোনও বাদই আমি বুঝি না— এক জাতীয়তাবাদ ছাড়া... চলচ্চিত্রের ব্যবসায়ের দিক অবশ্য রয়েছে— তাকে আমি অস্বীকার করি না, কিন্তু চলচ্চিত্রের ব্যবসায়ের দিকটাকেই আমি বড় করে দেখিনি। এর আভ্যন্তরীণ শিল্পময়ী প্রতিভার মাধুর্যে মুগ্ধ হয়েছিলাম... জাতির সাহিত্য, কৃষ্টি— হাসি-কান্নার সুর ধ্বনিত হয়ে উঠবে রুপালী পর্দায়— চলচ্চিত্রের সেই রূপেই আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। জানি না, আমার সে-ই কল্পনা কতখানি সাফল্যের রূপ পরিগ্রহণ করেছে, সেকথা জনসাধারণই বলতে পারেন...’’

‘বিদ্যাপতি’ ছবিতে পাহাড়ী সান্যাল ও কানন দেবী

জনসাধারণের রুচি নিয়েও সজাগ থাকতেন সব সময়ে। আরও এক বাঙালি পরিচালক অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিলেখতে পাওয়া যায় তার পরিচয়। এক বার বিমল রায় ‘পহেলা আদমি’ ছবিটা বানিয়ে প্রথম প্রোজেকশনে তা দেখিয়েছেন বি এন সরকারকে। দেখামাত্রই তাঁর মন্তব্য, ‘‘বেশ ভাল ছবি হয়েছে। তবে রোমান্টিক সিনে যেখানে হিরোইনের আঁচল খুলে পড়ে গেছে, ওই শটটা রিটেক করবেন।’’ বিমল রায় বললেন, ‘‘আঁচলটা হাওয়ায় পড়ে গেছে।’’ এর পর বীরেন্দ্রনাথের মন্তব্যটি অমোঘ— ‘‘এবারে আঁচলে সেপটিপিন লাগিয়ে নেবেন। মনে রাখবেন আমাদের ছবি ভদ্রলোকের ছেলেমেয়েরা দেখতে আসে। ছোটলোকের ছেলেরা আমাদের ছবি দেখে ভদ্রলোক হয়ে হাউস থেকে বেরোয়।’’

তাঁর এ মন্তব্য নিয়ে তর্ক উঠতেই পারে আজ। কিন্তু এ থেকে এমন ধারণা করা ভুল যে, তিনি অন্যের কাজে নাক গলাতেন। বরং ঠিক উল্টো, স্টুডিয়োয় কখনও কারও কাজে হস্তক্ষেপ করতেন না। বিশ্বাস করতেন, শিল্পীরা স্বাধীনতা পেলে তবেই তাঁরা তাঁদের সেরা সৃষ্টিটি করতে পারেন। নিউ থিয়েটার্সে ছবি বানানোর প্রতিটি বিভাগে ছিল অবাধ স্বাধীনতা। নানা নিরীক্ষা আর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগে কলাকুশলীরা তাঁদের কাজের উৎকর্ষের প্রমাণ দিতেন প্রতিনিয়ত। তপন সিংহ লিখেছেন সে অভিজ্ঞতা— ‘‘আমি নিউ থিয়েটার্সে ঢুকেছিলাম ১৯৪৫-৪৬ সালে। সে সময় নিউ থিয়েটার্সকে যা দেখেছি পরবর্তী ষাট বছরে তা আমি কোথাও দেখিনি... মাস্টারমশায়রা সকলেই ছিলেন স্কলার... সাউন্ড বা ফোটোগ্রাফির মতো কাজে ফর্মুলা অনুযায়ী টেকনোলজি শেখানো বড় কথা নয়। নিউ থিয়েটার্স একে আমলই দিতেন না। তাঁরা শিক্ষা দিতেন টেকনোলজির সঙ্গে তার এসথেটিক্সটা জানবার জন্যে। এই এসথেটিক্স জানবার জন্য একটা অন্য ধরনের মানসিকতা প্রয়োজন হয়। নিউ থিয়েটার্স এই মানসিকতাও কী অনায়াসে তৈরি করে দিতেন।’’

এ ভাবেই প্লেব্যাক প্রথার উদ্ভাবন নিউ থিয়েটার্সে। সেখান থেকেই সেই প্রথার প্রচলন সারা দেশে। গানটি আগে থেকেই রেকর্ড করে নিয়ে, পরে শিল্পীদের লিপ মুভমেন্টের সঙ্গে মিলিয়ে ছবি তুললে এক অভিনব ফল পাওয়া যেতে পারে... এ কথা মনে এসেছিল পরিচালক নীতীন বসুর। তাঁর ‘ভাগ্যচক্র’ ছবির গানের শুটিংয়ের সময়ে এ পরীক্ষা চালাতে আগ্রহী ছিলেন তাঁর ছোট ভাই শব্দযন্ত্রী মুকুল বসুও। তাঁদের ভাবনা অনুযায়ী কাজ করার পুরোপুরি স্বাধীনতা দিয়েছিলেন বীরেন্দ্রনাথ। সাফল্যও প্রথম চেষ্টাতেই।

তপন সিংহ মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, বীরেন্দ্রনাথ বরাবর ‘অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাছ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতেন। এই দূরত্ব তাঁকে চিরকাল সম্মান দিয়ে এসেছে।’ একই সঙ্গে এও লিখেছেন, ‘বিরাট হৃদয়ের মানুষ ছিলেন। এমন কোনো অভিনেতা-অভিনেত্রী ছিলেন না যাঁদের তিনি সাহায্য করেননি।’ যেমন উমাশশী দেবী বিয়ে করার সময়ে যখন বিদায় নিচ্ছেন নিউ থিয়েটার্স থেকে, তখনও তাঁর সঙ্গে চুক্তির বছর বাকি। কিন্তু কোনও আইনি ব্যবস্থা তো নিলেনই না, বাকি বছরের বেতন হাতে তুলে দিয়ে তাঁকে আশীর্বাদ করলেন বীরেন্দ্রনাথ।

প্রথম ছবি ‘দেনাপাওনা’

কিংবদন্তি গায়ক-নায়ক কুন্দনলাল সায়গলকেও আবিষ্কার করেন তিনি। এক বার জলন্ধরে গিয়েছিলেন। সেখানকার ডিস্ট্রিবিউটর আর হল মালিকরা তাঁর সম্মানে একটা পার্টি দেন। সে পার্টিতে গান গেয়েছিলেন সায়গল। সেই গান শুনে ওই অখ্যাত অবাঙালি যুবকটিকে ডেকে তিনি বলেন, ‘‘যদি তুমি সিনেমায় আসতে চাও, তবে কলকাতায় চলে এসো। নিউ থিয়েটার্স তোমায় নিয়ে নেবে।’’ এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে কলকাতায় চলে আসেন সায়গল। বীরেন্দ্রনাথ শুধু রাইচাঁদ বড়াল আর পঙ্কজ মল্লিককে বলে রেখেছিলেন, ‘‘ছেলেটা একটু নাকি সুরে গায়, ওটা আপনারা ঠিক করে নেবেন।’’

এক বাঙালি উদ্যোগপতি থেকে ভারতীয় সিনেমায় নতুন যৌবনের দূত হয়ে উঠেছিলেন বীরেন্দ্রনাথ। তাঁর তত্ত্বাবধানে ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছিল ফিল্মের শিল্প পরিসর। তাঁর নিউ থিয়েটার্স স্টুডিয়োয় ‘নটীর পূজা’র শুটিং করতে এসে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘‘এ যেন আমার দ্বিতীয় শান্তিনিকেতন।’’ নিউ থিয়েটার্সের দুই দিকপাল সঙ্গীত পরিচালক রাইচাঁদ বড়াল আর পঙ্কজকুমার মল্লিক, গানের সুরে কত যে অভিনবত্ব আনতেন! প্রথম জনের সঙ্গীতে প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের হাত মেলানো, পরের জন রবীন্দ্রগানকে করে তুললেন জনপ্রিয়। একের পর এক নিউ থিয়েটার্সে নতুন ভাবনার ছবি বাঙালির রক্ষণশীল মন ও সমাজকে ধাক্কা দিয়েছে বারবার। বর্ণভেদ ও ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী বিধবার প্রেম— ‘চণ্ডীদাস’। ১৯৩২-এর এই ছবি যেমন নিউ থিয়েটার্সকে অভাবিত বাণিজ্যিক সাফল্য এনে দিয়েছিল, তেমনই দেবকী বসুকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল পরিচালক হিসেবে। এ ছাড়াও সচেতনতার নজির রাখে ‘ডাক্তার’, ‘দেশের মাটি’, ‘দিদি’, ‘জীবন মরণ’... শেষ ছবিটি পরাধীন দেশে ছড়িয়ে পড়া যক্ষ্মা নিয়ে, নায়ক-নায়িকা লীলা দেশাই আর সায়গল— তাঁর গান সে ছবিতে মাতিয়ে দিয়েছিল কলকাতাকে।

বাংলা-সহ হিন্দি, উর্দু, তামিল, তেলুগু, ইংরেজি... বিভিন্ন ভাষায় প্রায় একশো পঁয়ষট্টিটি ছবি তৈরি হয়েছিল নিউ থিয়েটার্সে। হাতিমার্কা ব্যানারে শেষ ছবি ‘বকুল’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৫৫ সালে। তার পরে ছবি প্রযোজনা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেও সিনেমা সংক্রান্ত গঠনমূলক কাজে কখনও পিছপা হননি বীরেন্দ্রনাথ। ১৯৮০ সালে জীবনাবসান। তার আগে ১৯৭২-এ একই সঙ্গে পান ‘পদ্মভূষণ’ এবং ‘দাদাসাহেব ফালকে’। দেবিকারানির পরে প্রথম ভারতীয় পুরুষ হিসেবে তিনিই ভূষিত হন এ সম্মানে।

ঋণ: বি এন সরকার: আ মনোগ্রাফ: বাগীশ্বর ঝা; চলচ্চিত্রের ইতিহাসে নিউ থিয়েটার্স: পিনাকী চক্রবর্তী; চলচ্চিত্র আজীবন: তপন সিংহ; দেবজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও শর্মিষ্ঠা গুপ্ত

ছবি: বই থেকে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE