Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
অনেক রোগ সারিয়ে তুলতে পারেন হেঁটেই

পায়ে পা মিলিয়ে

যদি ভাবেন, হাঁটা আবার ব্যায়াম হল নাকি! তা হলে আপনি ভুলের স্বর্গে বাস করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঁটার চেয়ে ভাল ব্যায়াম আর হয় না। আট থেকে আশি, সব বয়সের জন্যই এর কোনও বিকল্প নেই।

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৭ ০০:০০
Share: Save:

যদি ভাবেন, হাঁটা আবার ব্যায়াম হল নাকি! তা হলে আপনি ভুলের স্বর্গে বাস করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঁটার চেয়ে ভাল ব্যায়াম আর হয় না। আট থেকে আশি, সব বয়সের জন্যই এর কোনও বিকল্প নেই।

আর শুধু যে ওজন কমানোর জন্য হাঁটবেন, তা কিন্তু নয়। দেখা গিয়েছে, অনেক ক্রনিক রোগের জন্যও হাঁটা খুব উপকারী।

হার্টের সমস্যা, টাইপ টু ডায়াবেটিস, অ্যাজমাও সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে হাঁটা। রোগ সারাতে তাই এগিয়ে যান পায়ে পায়ে।

শুরুর আগে

হাঁটতে শুরু করার আগে সবচেয়ে দরকারি হল জুতো।
জুতো কেনার ব্যাপারে কখনও কোনও কার্পণ্য করবেন না। হাঁটার সময় কমফর্টেবল স্নিকার্স বা ট্রেনার্স অবশ্যই পরবেন। কখনও চটি পরে হাঁটবেন না। এতে পায়ের পেশিতে চাপ পড়বে। জুতো যেন শক্তও না হয়। তা হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। আর দরকার আরামদায়ক পোশাক। সুতির পোশাক হলে সবচেয়ে ভাল হয়। টেরিকট কখনও নয়। পোশাকের ফিটটাও এমন হবে, যাতে হাত-পা স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে পারে।

খুব গরম বাদ দিয়ে অন্য যে কোনও ঋতুতে সকালে বা সন্ধেয় হাঁটতে বেরোলে, গায়ে অতি অবশ্য একটা গরম কিছু জড়িয়ে নিন। হাঁটতে-হাঁটতে গরম বেশি লাগলে উপরের লেয়ার খুলেও রাখতে পারবেন। তবে কখনওই রোদের মধ্যে হাঁটতে যাবেন না। আর সব সময় যেন আপনার সঙ্গে থাকে একটা জলের বোতল।

হাঁটবেন কী ভাবে

প্রথমেই মনে রাখুন, তাড়াহুড়ো করবেন না। শুরু করুন আস্তে। প্রথমে টার্গেট রাখুন অল্প। পরে ধীরে ধীরে হাঁটার গতি আর দূরত্ব বাড়ান। সবচেয়ে ভাল হয়, পুরো হাঁটার সময়টাকে যদি দশ মিনিটের ব্যবধানে ভাগ করে নেওয়া যায়। দশ মিনিট হাঁটলেন। তার পর একটু বিশ্রাম নিলেন। পরের দশ মিনিট আবার হাঁটলেন। এভাবে করতে- করতে বিশ্রামের সময়টা একটু-একটু করে কমান।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিন দশ হাজার পা হাঁটতে। আমরা সাধারণত, তিন থেকে চার হাজার পা হাঁটি। হাঁটার শেষ অংশটাও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। পায়ের গতি কমাতে কমাতে তবে থামুন। হঠাৎ করে পুরো থেমে যাবেন না। হাঁটা শেষ হলে একটু স্ট্রেচ করে নিন। এতে মাস্‌লগুলো রিল্যাক্সড হবে।

হাল ছাড়বেন না

অনেকই আছেন যাঁরা হাঁটা শুরু করেও আর চালিয়ে যান না। এই ভুলটা কখনও করবেন না। হাঁটাকে রুটিনের অংশ করে নিন। অল্প সময় পেলেও সেটাকে ব্যবহার করুন।

অফিসে যাওয়ার সময় গাড়ি একটু দূরে পার্ক করুন, যাতে বাকি রাস্তা হেঁটে যেতে পারেন। বাজারেও হেঁটে যান। লিফ্‌টের বদলে সিঁড়ি দিয়ে নামুন। বিকেলে অফিস থেকে একটু বেরোতে পারলে, অফিসের চার পাশে এক চক্কর কেটে নিন।

যদি একটু বেশি সময় বের করতে পারেন, তা হলে এক-একদিন এক-একটা রুট নিন। শহরের এক-একটা দিকও বেছে নিতে পারেন। একা-একা বেশিক্ষণ হাঁটতে অনেকেরই ভাল লাগে না। তাই দল বেঁধে হাঁটুন।

লক্ষ্য ঠিক করুন

অনেকেই কিছু দিন খুব মন দিয়ে হাঁটার পর, আর চালিয়ে যান না। সে ক্ষেত্রে সমস্যা হল, তাঁরা লক্ষ্য ঠিক করেন না। যে কোনও কাজেই লক্ষ্য ঠিক করাটা খুব জরুরি। প্রথমে ঠিক করুন, কতটা হাঁটবেন। প্রতিদিন সেটা শেষ করুন। শেষ করতে পারলে নিজেকে পুরস্কার দিন। তা বলে আবার একগাদা মিষ্টি খেয়ে নেবেন না যেন!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Morning Walk
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE