সায়মিতা দাশগুপ্ত
সম্প্রতি আইসিসিআর প্রেক্ষাগৃহে এক মনোগ্রাহী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্যাপিত হল প্রাজ্ঞদ্যুতি নৃত্য শিক্ষালয়ের নৃত্য উৎসব, যার কর্ণধার ছিলেন ওড়িশি নৃত্যশিল্পী সায়মিতা দাশগুপ্ত।
‘মঙ্গলাচরণ’ হল ওড়িশি নৃত্যের প্রথম পদক্ষেপ। শিল্পীরা এর মাধ্যমে ভূমিপ্রণাম এবং সিদ্ধিদাতা গণেশের বন্দনা করেন, যা একতালিতে নিবদ্ধ। এই নিবেদনটির ন়ৃত্য পরিকল্পনা গুরু কেলুচরণ মহাপাত্রর ও আবহসঙ্গীত পণ্ডিত ভুবনেশ্বর মিশ্রের। অতি সুন্দর একটি পরিবেশনা।
‘বটু নৃত্য’ একতালিতে নিবদ্ধ এবং এরও নৃত্য পরিকল্পনা করেছেন গুরু কেলুচরণ মহাপাত্র। আর এর দলগত নৃত্যভাবনা সায়মিতা দাশগুপ্তের। স্বচ্ছ সুন্দর পরিবেশনা। ওঁর ছাত্রীরা লীলায়িত ভঙ্গিমা ও স্বতঃস্ফূর্ত পদ-বিন্যাসের মাধ্যমে সহজেই দর্শকমন জয় করেন।
সায়মিতা নিবেদন করেন অভিনয় অংশ ‘দেখো গো রাধামাধব চলে’। ওঁর সাবলীল অভিনয় এত মনোগ্রাহী যে, স্মরণযোগ্য। পরে ‘মোহনাপল্লবী’ নৃত্য প্রদর্শন করেন তনুশ্রী, ধ্রুবাঙ্গী, জাহ্নবী, প্রীতি ও অদ্রিকা। অষ্টপদী থেকে নেওয়া অভিনয়প্রধান নৃত্যের একটি সুন্দর নিবেদন ছিল এর পর, ‘কুরুযদুনন্দন’। সায়মিতা যা নিষ্ঠার সঙ্গে পরিবেশন করেন।
পরবর্তী পর্যায়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত হন অনঙ্গমোহন দাস, ডা. সন্তোষ নিবালকার, গৌতম দে, গুরু রতিকান্ত মহাপাত্র এবং গুরু সুতপা তালুকদার।
অনুষ্ঠানের শেষ নিবেদন ছিল গুরু কেলুচরণ মহাপাত্রের অবিস্মরণীয় নৃত্য পরিকল্পনা ‘চূড়ামণি প্রধান’। যা চল্লিশ বছর আগে রচনা করেছিলেন তিনি, সংযুক্তা পাণিগ্রাহী ও রতিকান্ত মহাপাত্রের জন্য। এ বারের ‘চূড়ামণি প্রধান’-এ অংশগ্রহণ করেন সায়মিতা ও সুবিকাশ। এর কাহিনি অংশ হল: সীতা যখন রাবণের অশোকবনে বন্দি, তখন হনুমান তাঁর কাছে পৌঁছয় ও নানা কথাবার্তায় তাঁর দুঃখের কথা জানতে পারে। অভিনয় ও নৃত্যযোগে প্রকাশিত এই যুগল নৃত্যে দুই শিল্পী সায়মিতা ও সুবিকাশ সাবলীল ভাবেই নিজস্ব দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। গুরু রতিকান্ত মহাপাত্রের অনুশীলনে তাঁদের মুনশিয়ানা সুস্পষ্ট।
পলি গুহ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy