Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪
আলোচনা

সৃজনের উৎসে উজ্জ্বল উদ্ধারের উদ্দীপনা

শুভেন্দু মণ্ডল নানা অর্ধ-বর্তুলাকার ছন্দকে ব্রোঞ্জে রূপ দিয়েছেন দুই নারীর কাব্যিক এক আশ্চর্য মুহূর্ত নিয়ে। এই সমগ্র রূপবর্ণনার ভাস্কর্য-সুলভ উচ্চাবচের মধ্যে পাতিনার ব্যবহার চমৎকার।

নৈসর্গিক: মলয়চন্দন সাহার কাজ। নটী বিনোদিনী মেমোরিয়াল আর্ট গ্যালারিতে।

নৈসর্গিক: মলয়চন্দন সাহার কাজ। নটী বিনোদিনী মেমোরিয়াল আর্ট গ্যালারিতে।

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

সতেরো জন চিত্রকর, একজন ভাস্কর। প্রদর্শনীকক্ষ অনুযায়ী সত্তরটির বেশি কাজ প্রদর্শিত করার আগে ডিসপ্লে-র শৃঙ্খলাকে অবশ্যই প্রাধান্য দেওয়া উচিত। অধিকাংশ দলগত প্রদর্শনীর শিল্পীরা স্মরণে রাখেন না এ কথা। নটী বিনোদিনী মেমোরিয়াল আর্ট গ্যালারিতে উৎসৃজী-র বর্তমান প্রদর্শনীটিতে অবশ্য গাজন নষ্ট হয়নি, উতরে গিয়েছে। যদিও কিছু কাজের নির্বাচন নিয়ে একটু ভাবতে পারতেন শিল্পীরা।

শুভেন্দু মণ্ডল নানা অর্ধ-বর্তুলাকার ছন্দকে ব্রোঞ্জে রূপ দিয়েছেন দুই নারীর কাব্যিক এক আশ্চর্য মুহূর্ত নিয়ে। এই সমগ্র রূপবর্ণনার ভাস্কর্য-সুলভ উচ্চাবচের মধ্যে পাতিনার ব্যবহার চমৎকার। ফাইবার গ্লাসের বৃহদাকার মুখটিতে থমথমে বিষণ্ণতা থাকলেও গ্রিক ভাস্কর্যের প্রতিকৃতি থেকে
দূরে নয়। সমুন্নতি-গুণ শিল্পীর কাজগুলোয় লক্ষ করা যায়। বিশেষত ‘বিউটি’র বিষণ্ণ সৌন্দর্য রঁদ্যার অতি বিখ্যাত ‘মিগনো’র কথা মনে পড়ায়।

অঞ্জন সেনগুপ্তর ছোট কাজগুলোয় এক ধরনের মসৃণতার শুদ্ধতা লক্ষ করা যায়। মাত্র দু’-একটি রঙের ড্রয়িং-সদৃশ আলঙ্কারিক ভাবনায় পুষ্পলতার সঙ্গে পার্শ্বপ্রতিকৃতির সচিত্রকরণ মনে হতে পারে। রঙের ত্বক থেকে বিধৌত হয়ে আসা আলো এক অন্য মাত্রা যোগ করছে ছবিতে।

দীননাথ সাহার নিসর্গ পটের সর্বাঙ্গ জুড়ে জল রং ছেড়ে দেওয়া কাজ। এই বর্ণবিস্তারে স্বচ্ছতা ও টোন কিছুটা হলেও প্রকৃতিকে আলাদা করছে। কিন্তু কাজগুলোয় পেন্টিং-কোয়ালিটি অনুভূত হয় না। সাদামাঠা কাজ।

শুকনো রঙের মেজাজ অ্যাক্রিলিকে নিজস্ব করণকৌশলে রূপ দিয়েছেন ফুল্লচন্দ্র মিস্ত্রি। সেই অর্থে গাঢ় রেখায় ফর্ম তৈরি নয়। জিয়োত্তো-ধর্মী ড্রয়িং, আবার পেঁজা তুলোর মতো ছড়ানো জমাট ফেটে যাওয়া রঙের অনুভূতি তৈরি হয়েছে ছবিতে— সমগ্র মনুষ্য-শরীর এবং পটভূমির আবহে। এই রিয়্যালিজম ছবিতে আনতে গিয়ে কম্পোজিশনে কোথাও কোথাও একটু কাঠিন্য এসেছে। শিল্পীকে সে দিকটা সতর্কতার সঙ্গে কাটাতে হবে। আর ক্যাটালগের ‘মিস্ত্রি’ হঠাৎ ছবিতে ‘কাশ্যপ’ হল কেন?

গণেশ দে ছবির জ্যামিতিক বিন্যাস নিয়ে যে ভাবে ভেবেছেন, কাব্যিক রেখা বা বর্ণ ব্যবহার নিয়ে তেমন ভাবেননি। একটা লেজারীয় আভাস থাকলেও মেকানিক্যাল ড্রয়িংয়ের মধ্য দিয়ে গভীরতার অন্তরালে হারিয়ে যাওয়া ওই বিশ্লেষণ এখানে খাটে না। গণেশের ড্রয়িং ও কম্পোজিশনের পোস্টমর্টেম থেকে নিজেকেই বার করতে হবে পেন্টিংয়ের রিয়্যালিস্টিক কোয়ালিটি।

তপন কর্মকার নানা উজ্জ্বল রঙে বিন্দুবাদের অনুভূতি এনেছেন। যদিও পয়েন্টালিস্টদের ছবির ছায়াতপে এক বর্ণিল বিভ্রম তৈরি হয়ে, টোনকে অন্য এক স্বাভাবিকতায় উজ্জ্বল করে। তা এখানে সে ভাবে অনুভূত হয় না। কম্পোজিশন বড্ড ছাড়া ছাড়া। ফর্মগুলোকে কখনও বিন্যস্ত করেও দূরত্ব তৈরির প্রয়োজনীয় আবহ মার খাচ্ছে। জ্যামিতি নিয়ে ভাবার পাশেই ছবির সামগ্রিকতা নিয়েও ভাবতে হবে বইকী।

গ্রাফিক্স নিয়ে শিল্পশিক্ষার পাঠ সম্পূর্ণ করেও এচিং, লিথোগ্রাফের ক্ষেত্রে সেই অভিজ্ঞতার সৌন্দর্যকে কাজে লাগাতে পারেননি মৌমিতা সরকার দাস। অথচ তাঁর কাছে অনেক বুদ্ধিদীপ্ত গ্রাফিক্স আশা করা গিয়েছিল। কম্পোজিশনের ভাবনা বা টেকনিকের দৃষ্টিনন্দন দিকগুলোই অদৃশ্য। গ্রাফিক্সের কিছু অ্যাডভান্টেজ থাকা সত্ত্বেও প্রিন্ট মেকিংয়ের ক্ষেত্রটি কেন এত সাদামাঠা হবে?

স্প্যাচুলা ও ব্রাশকে দ্রুত ব্যবহার করে, অ্যাক্রিলিক মাধ্যমে পটকে কী ভাবে জমিয়ে দেওয়া যায় তারই সুন্দর উদাহরণ দিয়েছেন মলয়চন্দন সাহা। বহু দিন এই মাধ্যম নিয়ে নানান পরীক্ষানিরীক্ষার ফলে একটা পেন্টিং কোয়ালিটি তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। রঙের অজস্র বৈপরীত্যের মধ্যে নিসর্গের পট জুড়ে যেন ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ এক অন্য নিসর্গ তৈরি হচ্ছে— সেখানে নৈঃশব্দ্য ও তীব্র কোলাহল যেন ছোট সাদা কিছু বকের কাছে উপভোগ্য হয়ে উঠেছে। ছেড়ে দেওয়া বা বার করে আনা কাগজের টেক্সচারও রচনার সঙ্গে মিলে এক তৃতীয় টোন তৈরি করেছে। ফর্মহীন ফর্মের এক ধরনের উথালপাথাল ল্যান্ডস্কেপ। অ্যাক্রিলিকের এই মজায় দীর্ঘ দিন মজে থাকলে কিন্তু মোনোটোনি এসে যাবে। এটা এ বার শিল্পীকে ভাবতে হবে।

উদয়কুমার শরিফ স্পেসকে সুন্দর ব্যবহার করেছেন। তাঁর বিভিন্ন রঙের অবস্থান ও টোন ছবিতে একই সঙ্গে রূপ ও অরূপের মধ্যবর্তী গভীরতার জায়গাটিকে চিহ্নিত করছে। শিল্পী রিয়্যালিজমের মধ্যে আধাবিমূর্ত রূপটি মিলিয়েছেন নিজের করণকৌশলের দক্ষতায়। তবে মিরো ও পিকাসোকে একই সঙ্গে মনে পড়িয়েছেন অন্য বিমূর্ত কাজটিতে। ‘অপ্রত্যক্ষ প্রভাব’ বললেও কম বলা হবে। এখানে রেখার ছন্দ ও রচনার জ্যামিতি সে অ্যাবস্ট্র্যাকশনের দিকে ইঙ্গিত করে। তিনি ছবি বোঝেন, তাঁর নিজের মতো করে।

মৃদুলা চট্টোপাধ্যায় ওঁর কোলাজের দু’টি কৌতূহলোদ্দীপক কাজে করণ-কৌশলের সূক্ষ্ম প্রয়োগকে উপস্থাপিত করেছেন ভারী বুদ্ধিদীপ্ত ভাবে। কাটা ছেঁড়া প্রিন্টে়ড পেপার ও নিজস্বতাকে কাজে লাগিয়ে দৃশ্যের অবতারণার মধ্যে চমৎকার দূরত্ব তৈরি করে— নৈসর্গিক আবহে জঙ্গলের দিনরাত্রি ও নৃত্যরত লিলির এক পৃথিবী তৈরি করেছেন। বেশ ভাল কাজ।

পিনাকী চক্রবর্তী সাজানো গোছানো ল্যান্ডস্কেপের যে কাজ তুলে ধরেছেন, তাতে জল রঙের শিক্ষানবিশির ছাপ। তবে শিল্পশিক্ষার পাঠ না নিয়েও তাঁর আন্তরিক অনুশীলনের যথেষ্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে বইকী।

রাজর্ষি অধিকারীর ‘প্রতীক্ষা’য় মূল ইন্ডিয়ান পেন্টিংয়ের নানান গুণাগুণ পরিলক্ষিত হলেও অন্যান্য কাজগুলি একেবারেই আলাদা। যেন কমার্শিয়াল ছবির মতো। এই আবহ থেকে মুক্ত হলেই ভাল।

শুক্লা চক্রবর্তীর মিশ্রমাধ্যমে আঁকা আপাতউজ্জ্বল চড়া রঙের ক্যানভাসে এক ধরনের প্রেমভাব-মহিমার ছবি। তাতে ভক্তিরসের কথাই যেন ব্যক্ত। কৃষ্ণ বা রাখাল বালক। প্রেমিক যুগলের মুখসর্বস্ব পট। বাঁশি, ফুল, লতা ইত্যাদির অবস্থান। কাজ হিসেবে খুব একটা মন্দ নয়।

শিল্পীদের মধ্যে ন’জন চিত্রকরের আর্ট কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদির ডিগ্রি-ডিপ্লোমা নেই। তা সত্ত্বেও তাঁরা চিত্রচর্চার মধ্যে আছেন। এ ছাড়াও প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছিলেন বিপ্লব রায়, রজতবরন মহাপাত্র, ইন্দ্রজিৎ ঘোষ, গণপতি পাল, শবরী দে প্রমুখ।

অতনু বসু

অনন্য উপস্থাপনায় নজরকাড়া প্রয়াস

সম্প্রতি রবীন্দ্রসদন প্রেক্ষাগৃহে একটি মনোগ্রাহী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হল পাঞ্চ-এর অর্ধশতবর্ষ পূর্তি উৎসব। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর আগে ‘পাঞ্চ’ সংগঠনটি গড়ে উঠেছিল সমাজসেবার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে। এই উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে সমাজে যাঁরা দুঃস্থ ও অভাবী— পাঞ্চ-এর সদস্যরা তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

অনুষ্ঠান শুরু হয় একটি সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে, যাতে পাঞ্চ-এর সভাপতি রত্না দত্ত ও সহ-সভাপতি নন্দিতা বসু সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন সৌমেন্দু রায় ও পলি গুহর মতো শিল্পীদের। অলকানন্দা রায়কে সংবর্ধনা জানানো হয় অনুষ্ঠানের শেষে।

এই সন্ধ্যার প্রধান আকর্ষণ ছিল পশ্চিমবঙ্গ সংশোধনাগার পরিষেবা নামে সংশোধনাগারটির বাসিন্দাদের পরিবেশনায় একান্ত সময়োপযোগী ও মানবিক নৃত্যগীতালেখ্য ‘মোক্ষগতি’। অলকানন্দা রায়ের সুদক্ষ পরিচালনা ও সুনিপুণ শিক্ষায় সংশোধনাগারের বাসিন্দারা প্রত্যেকেই হয়ে উঠেছিলেন এক-এক জন সুদক্ষ নৃত্যশিল্পী। এঁদের কাছে শ্রীমতী রায় শুধু নৃত্যগুরুই নন, মাতৃস্থানীয়াও বটে! তাঁর তত্ত্বাবধানে নৃত্যানুষ্ঠানটি হয়ে উঠেছিল অনবদ্য। ‘মোক্ষগতি’ ছিল এমন এক বিশেষ উপস্থাপনা, যাতে রঙ্গমঞ্চের পিছনের প্রেক্ষাপটে চলচ্চিত্র এবং সম্মুখ ভাগে নৃত্যাভিনয়ের মধ্য দিয়ে আলোচ্য এই নৃত্যগীতালেখ্যর গল্পটি বলা হয়েছে।

রক্তলোলুপ সম্রাট অশোকের ‘চণ্ডাশোক’ থেকে ‘ধর্মাশোক’ হয়ে ওঠার এক আলোকিত উত্তরণের গল্প ‘মোক্ষগতি’। গল্পটি বলেছেন ভারতী আম্মা— যাকে সহজেই ‘ভারতমাতা’ রূপে কল্পনা করা যায়। হিংস্রতা এবং নিষ্ঠুরতা থেকে দয়া ও মমত্বের পথে উত্তরণই যে মানবধর্ম, তা-ই এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। ভারতী আম্মাই স্বয়ং সম্রাট অশোককে উদ্বুদ্ধ করেছেন— হিংসা ত্যাগ করে ধর্মের পথে চলতে। সম্রাট অশোক তাই বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করে ‘ধর্মাশোক’ হয়েছেন।

এই নৃত্য ও গীতি আলেখ্যটিতে ওডিশি, কথাকলি থেকে শুরু করে ছৌ নাচের মতো বহু ভারতীয় নৃত্যের সুদক্ষ ব্যবহার করা হয়েছে। তার সঙ্গে রণক্রীড়া তথা মার্শাল আর্টের অপূর্ব মেলবন্ধন দর্শকমাত্রকেই মুগ্ধ করেছে। বিস্মিত হতে হয় ‘ভারতী আম্মা’ রূপে অলকানন্দা রায়ের অভিনয় দেখে। এর সঙ্গীত পরিকল্পনা ও সঙ্গীতসৃষ্টি প্রসিদ্ধ যন্ত্রসঙ্গীতশিল্পী তন্ময় বসুর, মঞ্চে যা পরিচালনা করেন নির্মাল্য রায়। কণ্ঠসঙ্গীতে ছিলেন বি ডি শর্মা ও নির্মাল্য রায়। ‘পাঞ্চ’কে অবশ্যই ধন্যবাদ দেওয়া উচিত এত সুন্দর অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ার জন্য।

জয়শ্রী মুখোপাধ্যায়

তিন শতকের গানের মনোগ্রাহী পরিক্রমা

গত ১৭ মার্চ অবনীন্দ্র টেগোর গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হল বিদ্যাসুন্দর-এর গান। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিল আইসিসিআর। তিন শতকের গানের পরিক্রমা, ভারতচন্দ্র রায় থেকে প্রণব রায়।

এই অনুষ্ঠানটির মূল তত্ত্ব ও পরিকল্পনায় ছিলেন দেবজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি ভারতচন্দ্র রচনা করেন বিদ্যাসুন্দর-এর গান। সেই প্রাচীন গানগুলি নিয়ে একটি মনোগ্রাহী অনুষ্ঠান শ্রোতাদের উপহার দিলেন দেবজিৎ ও ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়। আগাগোড়া শ্রোতাদের আবিষ্ট করে রাখার মতো সব উপাদান এই প্রযোজনাটিতে ছিল।

অনুষ্ঠানে পরিবেশিত গানগুলির মধ্যে নীলমণি সমাদ্দার ও গোপাল উড়ে সুরারোপিত গানগুলি ছিল উল্লেখযোগ্য। প্যারীমোহনের ‘আমি আর যাব না তোমার সনে, তুমি ফচকে মেয়ে’। মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ নাটকের ‘এখন কি আর নাগর তোমার’, বঙ্কিমচন্দ্রের লেখা গান ‘কাঁটাবনে তুলতে গেলাম কলঙ্কেরই ফুল’, সবাক চিত্রে ব্যবহৃত ‘আমি রাজার বাড়ির মালিনী’— যার সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র দে এবং পরিশেষে ছিল প্রণব রায় রচিত অপ্রকাশিত গান—‘মন যে নিল, সে যে ফিরে দিল না’। গানটির সুর দিয়েছিলেন রবীন চট্টোপাধ্যায়। যন্ত্রানুষঙ্গ ছিল যথাযথ।

সৌম্যেন সরকার

অনুষ্ঠান

সম্প্রতি জ্ঞান মঞ্চে সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় প্রদর্শন করলেন ‘দেবী’। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেবী চৌধুরানি’র উপর ভিত্তি করেই এটি রচিত হয়েছে। সুস্মিতা প্রফুল্লের চরিত্রে অভিনয় করেন। আলো এবং মিউজিকের কাজ করেছেন দীনেশ পোদ্দার।

ইমন কল্যাণ স্কুল অব মিউজিক সম্প্রতি আয়োজন করেছিল একটি মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের। সেটি উপস্থাপিত হয়েছিল জ্ঞান মঞ্চে। এই অনুষ্ঠানটিতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন কুমকুম ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণ সেন বরাট, এফ এস এজাজ প্রমুখ।

সঙ্গীত অমৃতম-এর পক্ষ থেকে সম্প্রতি সানি পার্কে ক্যালকাটা স্কুল অব মিউজিকের অডিটোরিয়ামে আয়োজন করা হয়েছিল একটি অনুষ্ঠানের। এ দিন সঙ্গীত পরিবেশন করেন সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবলায় ছিলেন সমর সাহা। হারমোনিয়ামে মৈনাক দাস। এ ছাড়াও সেতার
এবং সরোদ পরিবেশন করেন মনোজ কেডিয়া এবং মোরমুকুট কেডিয়া। তবলায় সঙ্গত দিয়েছেন অমিত চট্টোপাধ্যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Review Shows Drama Theatre Dance Drama Songs
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE