•ফরাসিতে ভিনিগার শব্দের অর্থ হল ‘সাওয়ার ওয়াইন’। আপেল ফারমেন্ট করে তা থেকে তৈরি হয় অ্যাপল সাইডার ভিনিগার। প্রসঙ্গত, এই ভিনিগার শারীরচর্চা এবং সৌন্দর্যরক্ষায় কাজে লাগে। কিন্তু ভিনিগার অ্যাসিডিক হওয়ার কারণে তা রোজকার খাদ্যতালিকায় যুক্ত করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম পালন করতে হয়।
•এই ভিনিগার ব্যাকটিরিয়া মারতে সক্ষম বলে ডায়রিয়া জাতীয় পেটের সমস্যায় উপকারী। এ ক্ষেত্রে এক-দু’ চা চামচ ভিনিগার এক গ্লাস জলে মিশিয়ে খেতে পারেন।
•বাড়িতে তৈরি ললিপপে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মেশাতে পারেন। ভিনিগার হেঁচকির সমস্যা সারায়। বারবার হেঁচকি উঠলে মুখে ললিপপ রাখতে পারেন। গলাব্যথার সমস্যায় ১/৪ কাপ ভিনিগার ১/৪ কাপ ঈষদুষ্ণ জলে মিশিয়ে গার্গল করলে আরাম পেতে পারেন।
•হজমের সমস্যা মোকাবিলায় এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে ১ চা চামচ করে মধু ও ভিনিগার মিশিয়ে দুপুরের খাওয়ার আগে পান করতে পারেন।
•অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। প্রত্যেক মানুষের বিএমআর আলাদা হওয়ার দরুন ভিনিগার খাওয়ার মাত্রাও আলাদা হওয়াই স্বাভাবিক।
•সম পরিমাণে ভিনিগার ও জল মিশিয়ে স্কাল্পে স্প্রে করে খুশকির সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।
•বহু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এই ভিনিগার।
•এমনকি ত্বকে অ্যাকনে কমাতে, দাঁতের দাগ-ছোপ দূর করতে, দুর্গন্ধময় নিঃশ্বাস কমাতেও অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের জুড়ি মেলা ভার।
চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সামান্য পরিমাণে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার নিয়মিত পান করলে বহু শারীরিক সমস্যার মোকাবিলা করা সম্ভব। তবে এ ক্ষেত্রে মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন, এই জাতীয় ভিনিগার অতিরিক্ত পান করলেও নানা রকম ক্ষতি হয়। তাই শরীরের যত্ন নিন কিংবা রূপচর্চা— সব ক্ষেত্রেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এগোনো ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy