Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
ছোটগল্প

নতুন প্রতিবেশী

হঠাৎ উপরে ফার্নিচার টানার আওয়াজ হতে সম্বিত ফিরল কুন্তলের। কোন সময় অন্যমনস্ক হয়ে যে অতীতে পাড়ি দিয়েছিল খেয়ালই করেনি।

ছবি: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য

ছবি: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য

বৈশাখী ঠাকুর
শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৯ ০০:০১
Share: Save:

পাশ ফিরে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল শ্রীতমা। উপরের দম্পতি চলে যাওয়ার পরে আবার শীতল হাওয়া ঢুকে পড়েছে তাঁদের বাড়ির অলিন্দে। মনটা আবার খারাপ হয়ে গেল তার। বিষাদ, অবসাদ গ্রাস করল তাকে। তথৈবচ অবস্থা কুন্তলের। বারান্দায় বসে একটার পর একটা সিগারেট টেনে চলেছে। অথচ এক মাস আগে এই চার তারিখেই সব মান-অভিমান ভুলে বাজার থেকে ফিরে কুন্তলই খবর দিয়েছিল, ‘‘আমাদের ওপরতলায় কারা যেন আসছে।’’

‘‘ও! সেই জন্যই গতকাল অত ধোয়ামোছার ঘটা দেখলাম।’’

‘‘কই বলোনি তো! আসলে বুঝতে পারিনি ব্যাপারটা।’’

কত দিন বাদে প্রয়োজনের বাইরে ওরা এতগুলো কথা বলল তা নিজেরাই জানে না। কথা বলতে বলতেই বাইরে একটা গাড়ি থামার আওয়াজ শোনা গেল। কুন্তল-শ্রীতমা দু’জনেই বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছিল। একটা বড় ট্রাক এসে দাঁড়িয়েছে। ট্রাকের সামনে থেকে মনে হয় বাড়ির কর্তাই নামলেন। গায়ের রং ময়লা কিন্তু লম্বা। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। ধীরে ধীরে সব জিনিসপত্র তারা তিনতলায় তুলতে শুরু করল। দোতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে তাদের বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্রই নজর করে দেখল শ্রীতমা। দামি সেগুন কাঠের খাট, আলমারি, ড্রেসিং টেবিল। নিচু স্বরে কুন্তলের কাছে এসে শ্রীতমা বলেছিল, ‘‘পার্টিটা বড়লোক। সেগুন কাঠের সব ফার্নিচার।’’

‘‘হুম। জামাকাপড়ও ব্র্যান্ডেড। সানগ্লাস রে-ব্যানের,’’ বলল কুন্তল।

মুখ টিপে হেসে শ্রীতমা বলেছিল, ‘‘তুমিও তো বেশ খেয়াল করেছ দেখছি।’’ ভুরুটা তুলে কুন্তল তার দিকে সেই সম্মোহনী দৃষ্টিতে তাকিয়ে। সেই আগেকার মতো ঠোঁটের কোনায় ঝুলেছিল সেই হাসিটা যেটা দেখে বছর দশেক আগে শ্রীতমা যাকে বলে একেবারে ফিদা হয়ে গিয়েছিল। ওই চেহারা, ওই হাসি, ওই সম্মোহনী দৃষ্টি নিয়েই তো বিভোর থাকত সে! থাকতেই তো চেয়েছিল। প্রথম প্রথম বিয়ের পরে অভাব ছিল ঠিকই, কিন্তু ভালবাসার খামতি ছিল না কোথাও। এক টুকরো মাছও তখন ভাগ করে খেয়েছে, কোনও অভিযোগ করেনি কেউ। হানিমুন করতে কোথাও যেতে পারেনি বিয়ের পরে। মাসে একটা সিনেমা আর সস্তার হোটেলে একটু খাওয়াদাওয়া...আহা, সেই স্বাদই যেন অমৃত ঠেকত তাদের কাছে। আজ পাঁচতারার খাবার বিস্বাদ ঠেকে কুন্তলের। পরবর্তী কালে চাকরি জীবনে কম উন্নতি তো করেনি সে!

বেশ ছিল দু’জনে তিনটি বছর। এর মধ্যে কেবল এক বার পয়সা জমিয়ে পুরী গিয়েছিল তারা। আর এক বার বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে দীঘা মন্দারমণি। কোনও দিন কোনও অভিযোগ শোনেনি শ্রীতমার মুখে। বরঞ্চ হাসিমুখে তাঁকে সব সময় উৎসাহ দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু যে দিন জানতে পারল শ্রীতমা, সে মা হতে চলেছে, ছবিটা যেন বদলে গেল।

হঠাৎ উপরে ফার্নিচার টানার আওয়াজ হতে সম্বিত ফিরল কুন্তলের। কোন সময় অন্যমনস্ক হয়ে যে অতীতে পাড়ি দিয়েছিল খেয়ালই করেনি। শ্রীতমাও হাঁকপাঁক করে এগিয়ে এল, ‘‘ওরাও আমাদের মতো পুবদিক ঘেঁষে ওদের খাটটা রাখছে। দেখেছ?’’

‘‘কী করে দেখব?’’

‘‘আহা, মানে শুনেছ? কান পাতো ভাল করে।’’

ঠিক এই সংলাপটা এক সময় দিনে তিন থেকে চার বার শোনা যেত তাঁদের বাড়ির চার দেওয়ালে। এক বার একটু পেটের ভিতর নড়ার অনুভূতিটা পেলেই হল, পারলে ছুটে যেত শ্রীতমা কুন্তলের কাছে। শিশুর মতো অপার বিস্ময় নিয়ে কুন্তলও প্রতিটা অনুভূতি, প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করত। সেই সময় থেকেই একটু একটু করে অভিযোগের পাহাড় জন্মাচ্ছিল শ্রীতমার মনে। প্রায়ই তখন শুনতে পেত কুন্তল, ‘‘কী করে মানুষ করব আমাদের সন্তানকে? এই ক’টা টাকায় কী করে হবে গো!’’ চিন্তার রেখা ফুটে উঠত শ্রীতমার মুখেচোখে। সেই চিন্তার রেখা দেখে দুমড়ে মুচড়ে উঠত কুন্তলের বুক। নিজেকে অসহায় অপরাধী মনে হত। নিজেকে অকর্মণ্য মনে হওয়াতে কেমন হীনমন্যতাতেও ভুগত সে। তবুও গাল টিপে আদর করে শ্রীতমাকে বলত, ‘‘ঠিক কিছু না কিছু ব্যবস্থা হবে দেখে নিও। আমি তো ভাল চাকরি খুঁজছি।’’ ‘‘চাকরি কি আর হাতের মোয়া যে চাইলেই পাবে? সে রকম আগ্রহ থাকলে এত দিনে একটা ব্যবস্থা ঠিকই হয়ে যেত,’’ একটু ঝাঁঝিয়েই কথাগুলো বলেছিল শ্রীতমা। সেই ঝাঁজ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেল। কমল না।

উপরে আসবাবপত্র টানাটানির আওয়াজও বেড়েই চলেছে। শ্রীতমাও তাদের নতুন সংসার পাতার সেই দিনগুলোর স্মৃতি রোমন্থনে ডুব দিয়েছে। সকালের চা কুন্তলই করে তার ঘুম ভাঙাত। একমাত্র সন্তান হওয়ায় ভীষণ আদরে মানুষ শ্রীতমা। সচ্ছল পরিবারে মেয়ে। তাই প্রথম প্রথম সংসারের সব কাজই নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে করার চেষ্টা করত কুন্তল। শ্রীতমা তাকে বলত, ‘‘এটা আমাদের দু’জনের সংসার। তোমার একার নয়। তাই যা করব দু’জনে মিলেমিশে করব।’’ শ্রীতমা বুঝত, তাকে ভাল রাখার জন্য গোড়ার দিকে কুন্তল যতটা পারত নিজে কাজ করে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার চেষ্টা করত। তখন সংসারে কাজের সাহায্যের জন্য কাউকে রাখা মানে বিলাসিতা। বাড়তি খরচ। দিন আনি দিন খাইয়ের সংসারে মানায় না। তবে শ্রীতমার কাজ করতে কোনও অসুবিধে হত না। সে মানসিক ভাবে প্রস্তুত ছিল। এতে তেমন কষ্ট ছিল না। কিন্তু বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই সে টের পেতে শুরু করল, কুন্তলের কোনও উচ্চাশা নেই। সে আরও ভাল থাকার জন্য তেমন বাড়তি কিছু করতে রাজি নয়। মনে মনে কষ্ট পেতে শুরু করল শ্রীতমা। কুন্তলের চরিত্রের এই দিকটা বড় ভাবাত তাকে। এই চিন্তা করে বিয়ের প্রথম তিন বছর সে সন্তানের কথা ভাবেইনি। নিজেও একটা বেসরকারি স্কুলে পড়াত। সকলের অমতে নিজের পছন্দে বিয়ে করেছিল বলে বাপের বাড়ি, আত্মীয়স্বজন কারও সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু এক দিন তার স্কুলের বান্ধবী রেশমির সঙ্গে বাড়ির মোড়ে আচমকা দেখা। ভদ্রতার খাতিরে তাঁকে বলতেই হয়েছিল বাড়িতে আসার কথা। বাড়িতে ঢুকেই রেশমির মুখচোখের অভিব্যক্তি দেখেই শ্রীতমা দমে গিয়েছিল। লুকোনো চাপা কষ্টটা মুহূর্তে বুদ্বুদের মতো ভেসে উঠেছিল উপরে। বান্ধবী চলে যাওয়ার পরে সেই প্রথম শ্রীতমা বালিশে মুখ গুঁজে কেঁদেছিল অনেক ক্ষণ। আসলে নতুন বিয়ের পরে যে এক কামরার ঘরটা তারা ভাড়া নিয়েছিল তা ছিল নিতান্তই অপ্রতুল। একটা ঘরের মধ্যেই খাট, টিভি, আলমারি, টেবিল, সব। ছোট এক ফালি বারান্দায় কাপড় দিয়ে গ্রিল ঢেকে সে রান্না করত। আর ঘর থেকে বেরিয়ে খানিক দূরে ছিল বাথরুম। কিন্তু ওই নিয়েই সে সুখে-শান্তিতে এক ঘোরের মধ্যে ছিল প্রথম প্রথম। এই সব ভাবনাচিন্তার মধ্যেই ঢুকল তার পরিচারিকা মলি। প্রথম থেকেই সে বাঙ্ময়, ‘‘দেখেচ দিদি, নতুন লোক এয়েচে ওপরে।’’ ‘‘হ্যাঁ, দেখলাম। ভালই তো হল তোর। আর এক বাড়ি কাজ পাবি তুই!’’

‘‘কী যে বল দিদি। তেনারা তো এচেই কি দু-চারটে জিনিচপত্র এধার-ওধার করল। তার পরেই পর্দা টাঙিয়ে দরজায় খিল তুলে দিয়েচে,’’ বলেই ফিক করে হেসে ফেলল মলি। আড়চোখে তাকাল শ্রীতমা কুন্তলের দিকে। সেও এক অর্থবহ হাসি নিয়ে যেন তার দিকেই তাকিয়ে। তারাও তো ঠিক এমনই প্রথমে খাট-বিছানা পেতে পর্দা টাঙিয়েই খিল তুলে দিয়েছিল! সে দিন দুপুরে মলি চলে যেতেই আবার তারা বহু দিন বাদে ঘনিষ্ঠ হয়েছিল। এক অদ্ভুত ভাললাগায় ভরে ছিল শ্রীতমার মন। কী করে কবে যে ওরা এত দূরে সরে গিয়েছিল কে জানে! দুু’দিন বাদে যে দিন ইলিশের গন্ধে ম ম করছিল ওপরের ফ্ল্যাট, নীচে সেই গন্ধে যেন তাদেরও সেই রসনাতৃপ্তির প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। অনেক টাকা দাম দিয়ে কুন্তল জোড়া ইলিশ নিয়ে এসেছিল পরদিনই। ইলিশ মাছ ভাজা, তেল, ঝোল, ভাপে, ইলিশের মাথা দিয়ে চাটনি— সব নিজে হাতে রান্না করেছিল শ্রীতমা। উপরে কপোত-কপোতীর ভাব দেখে কোথায় যেন একটা চোরা ঈর্ষা কাজ করত শ্রীতমার।

উপর থেকে এক দিন যখন প্রচণ্ড তর্কাতর্কির আওয়াজ শুনল ঘটি-বাটি ছোড়ার, তখন কী একটা প্রচ্ছন্ন আনন্দ অনুভব করেছিল কুন্তল! মনে পড়ে গিয়েছিল কি সেই দিনের কথা! তখনও তারা সেই এক ফালি ঘরে থাকে। তিন বছর পর রীতিমতো অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। তার পর শ্রীতমা যখন কনসিভ করল, তখন বাড়ি বদলের কথা যে একদম ভাবেনি কুন্তল তা নয়। কিন্তু ভাল নার্সিংহোমের তো একটা খরচা আছে, এই তো ছয় মাস হল চেষ্টাচরিত্র করে একটা নতুন চাকরিতে সে ঢুকেছে। হুট করে বললেই কি আর সব কিছু এক সঙ্গে হয়! ইচ্ছে তো তারও করে। ভাল থাকবে। ভাল পরবে। কার না শখ হয়! বুঝিয়ে-সুঝিয়ে তবু এক রকম চলছিল। চাকরি এক বছর হলেই সে অন্য জায়গায়, মানে কোনও সম্ভ্রান্ত পাড়ায় বাড়ি ভাড়া নেবে বলে পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তার আগেই যে সর্বনাশটা ঘটে গেল! বাথরুম যাওয়ার পথে শ্যাওলায় পা পিছলে পড়ে গেল শ্রীতমা। বাড়িওয়ালা খবর পাঠিয়েছিল অফিসে। তার অফিসের এক কলিগের সঙ্গে সে ছুটে এসেছিল। দু’জনে মিলে গাড়ি করে নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়েছিল। মাকে বাঁচানো গেলেও সন্তানকে রক্ষা করা যায়নি। উপরন্তু ডাক্তার আর সন্তান না হওয়ার একটা ইঙ্গিতও দিয়েছিল শ্রীতমার ক্ষেত্রে। খুব দ্রুত বাড়ি বদলাল বটে কুন্তল, কিন্তু তত দিনে দু’জনেই প্রতিপক্ষ। শ্রীতমার তির কুন্তলের দিকে, ‘‘ওই এক ফালি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। বাড়ি থেকে দূরে বাথরুম। পুরো পথটাই পিছল। সেই জন্যই তো আজ তার এই অবস্থা।’’ কুন্তলও তির্যক বাণ হানে, ‘‘যে মেয়ে মা হতে চলেছে তার মিনিমাম একটা দায়িত্ব থাকবে না! যে নিজে সন্তান বহন করছে তার তো হুঁশ চার ডবল হওয়া উচিত।’’

‘‘সাবধানে থাকতাম বলেই এত দিন টিকে ছিলাম, না হলে কবেই মরে যেতাম।’’

‘‘মরে যেতাম মানে! কী বলতে চাইছ তুমি! তোমায় ধরে পেটাতাম, না কি খাবারে বিষ মেশাতাম!’’

‘‘ও মাগো মা! এই সবও তোমার মনে ছিল। তা সাধ মিটিয়ে নিলেই পারতে! এমন নরকযন্ত্রণার হাত থেকে বেঁচে যেতাম।’’

‘‘তার চেয়ে বলো না সুপরিকল্পিত ভাবে আমায় ফাঁসাতে! জেলের ঘানি টানিয়ে তবে শান্তি পেতে! তুমি কি ভাবো, তোমার মতলব আমি বুঝি না!’’

‘‘মতলব মানে! কী বলতে চাও তুমি? পরিষ্কার করে বলো!’’

‘‘সুড়সুড়ি তো অনেক দিনই দিচ্ছ। বাড়তি আয়, বাড়তি আয়। বুঝি না ভেবেছ? তোমার বাপের বাড়ির মতো কালো পয়সায় বড়লোক হতে চাই না আমি। এটা জেনে রেখো!’’

‘‘কী বললে! কী বললে তুমি! তোমার এত বড় সাহস! আমার বাপের বাড়ি টেনে কথা বলছ! কোনও দিন পারবে তুমি ওদের নখের যুগ্যি হতে! কোনও দিন পারবে ওই উচ্চতায় উঠতে!’’

‘‘পারি কি না পারি নিজের চোখেই দেখতে পাবে।’’

এমনই বাকবিতণ্ডা ঝড়ঝঞ্ঝা অথবা অখণ্ড নিস্তব্ধতা তাঁদের নিত্যসঙ্গী। সেই সুস্থ স্বাভাবিক সম্পর্ক যেন ক্রমে দূর থেকে আরও দূরে সরে গেল। তবু উপরের ওই দম্পতি এসে তাদের পুরনো কিছু স্মৃতি আবার সতেজ করে উস্কে দিয়েছিল। তাকের এক কোণে পড়ে থাকা ভালবাসার ধিকিধিকি আগুনটাতেও যেন হাওয়া লেগেছিল। কিন্তু এক দিন তারাও বাক্স গুছিয়ে চলে গেল। শোনা গেল, বাড়ি তৈরি হচ্ছিল বলে সাময়িক ভাবে এখানে থাকতে এসেছিল তারা।

শুয়ে বসে সময় যেন আর কাটে না। দিনও কাটতে চায় না শ্রীতমার। আবার অখণ্ড নিস্তব্ধতা আর হিমেল হাওয়া গোটা বাড়ি জুড়ে! তার নাকি পয়সার চাহিদা ছিল। তাই কুন্তল আজ পয়সা ছাড়া আর কিছু বুঝতে চায় না। সারা দিন তার অফিসে বা বাইরে বাইরেই কাটে। বড্ড বদমেজাজি আর যান্ত্রিক হয়ে উঠেছে। তারই মধ্যে আজকাল রোজ খবরের কাগজটা মন দিয়ে পড়ে শ্রীতমা। বিশেষ করে ক্রোড়পত্র। খেয়াল করে জমিবাড়ি বিক্রি বা ভাড়া সংক্রান্ত সংবাদগুলো। যদি আবার তাঁদের উপরের ফ্ল্যাটটা খালি থাকার কোনও বিজ্ঞাপন বেরিয়ে থাকে!

কুন্তলও মনে মনে ঠিক করেছে, নিজেই কোনও তলা উল্লেখ করে একটা ব্যানার বানিয়ে ছাদে ঝুলিয়ে দেবে—

টু লেট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Book Literature Short Story
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE