Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
power bank

সঙ্গে রাখুন পাওয়ার ব্যাঙ্ক, বন্ধুদের গ্রুপে হয়ে যান রকস্টার

সারা দিনে কিছু না হোক, সেলফি তোলা থেকে ফেসবুকে পোস্ট করা— স্মার্টফোনের ব্যবহার লেগেই থাকে। যদি আপনি একটা ভাল পাওয়ার ব্যাঙ্ক বা পোর্টেবেল চার্জার পকেট থেকে বের করতে পারেন, সেই মুহুর্তে আপনি আপনার গ্রুপের রক্ষাকর্তা।

ফোনের ব্যাটারি ফুরিয়ে যাওয়ার ভয়কে এ বার ডোন্ট কেয়ার! ছবি: শাটারস্টক।

ফোনের ব্যাটারি ফুরিয়ে যাওয়ার ভয়কে এ বার ডোন্ট কেয়ার! ছবি: শাটারস্টক।

অর্চিষ্মান সাহা
শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৯:৪১
Share: Save:

পুজো মানেই হই হুল্লোড়, দিন-রাত এক করে ঠাকুর দেখা, ঘুরে বেড়ানো, ভরপুর আড্ডা, মজা। আর সারা দিনে কিছু না হোক, সেলফি তোলা থেকে ফেসবুকে পোস্ট করা— স্মার্টফোনের ব্যবহার লেগেই থাকে।

যত ভাল ফোনই হোক না কেন, সারাদিন নেট ব্যবহার করে, ছবি তুলে, হোয়াটসঅ্যাপ করে, ফেসবুক করার পর দিনের শেষে লো ব্যাটারির রক্তচক্ষু এড়ানো দায়।এই সময়, যদি আপনি একটা ভাল পাওয়ার ব্যাঙ্ক বা পোর্টেবেল চার্জার পকেট থেকে বের করতে পারেন, সেই মুহুর্তে আপনি আপনার গ্রুপের রক্ষাকর্তা।

সাধারণত স্মার্টফোনগুলির ব্যাটারি ৩০০০-৪০০০ এমএএইচ-এর মধ্যে হয়, কাজেই আপনার কাছে যদি একটা ভাল ১০,০০০ এমএএইচ-এর পাওয়ার ব্যাঙ্ক থাকে, অন্তত তিনটি ফোন ৯০ শতাংশের বেশি চার্জ দেওয়া যাবে। ই-কমার্স সাইটগুলিতে মোটামুটি অফারে ৬০০-৮০০ টাকার মধ্যে ভাল ১০,০০০ এমএএইচ পাওয়ার ব্যাঙ্ক পেয়ে যাবেন। দু’টি চার্জিং পয়েন্টের নিলে আরও ভাল, এক সঙ্গে দুটো ফোন চার্জ দিতে পারবেন।

পাওয়ার ব্যাঙ্ক আর ব্লুটুথ স্পিকারের কম্বো থাকলে আর চিন্তা নেই। ছবি: শাটারস্টক।

যদি বাজেট একটু বেশি থাকে, বা আপনার খুব ঘোরার শখ থাকে,বা যেখানে বেড়াতে যাবেন সেখানে সব সময় বিদ্যুৎ থাকে না, তা হলে একেবারে একটা ২০,০০০ এমএএইচ নিয়ে নিন। শুধু পুজোর দিন নয়, তার পর ট্রেক হোক, কিংবা দুর্গম যাত্রা, ফোনের ব্যাটারি ফুরিয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না। এমআই-এর ১০,০০০ বা ২০,০০০ এমএএইচ-এর পাওয়ার ব্যাঙ্ক দুটোই খুব ভাল।

পুজো মানেই গান। পাড়া থেকে প্যান্ডেল, এফএম থেকে নতুন রিলিজ, দিন রাত আপনি যেখানেই থাকুন, কোনও না কোনও জায়গা থেকে গানের সুর ভেসে আসবেই। আর এই সুরের ওপর আপনার দখল না থাকলেও কি গান শুনবেন তার ওপর দিব্যি আপনার জোর খাটাতে পারেন। ১০০০ টাকা থেকে শুরু ব্লুটুথ স্পিকারের আওয়াজ যেমন ভাল, একবার পুরো চার্জ দিলে চলেও বেশ কয়েক ঘণ্টা। অক্স কেমল অথবা ব্লুটুথ, যে কোনও একটি মাধ্যমে গান চালানো যায় এতে। কাজেই, আর দেরি না করে এখন থেকেই প্লেলিস্ট বানিয়ে ফেলুন দুর্দান্ত সব গান দিয়ে। চলতে চলতে পকেটে অথবা ক্যাবের মধ্যে কিংবা গঙ্গার ঘাট, পছন্দের গানের সুরে মাতিয়ে রাখুন আপনার বন্ধুদের, প্রিয়জনকে। সাধারণত ১০০০-২০০০ এর মধ্যে দাম শুরু হলেও ভাল কোম্পানির ক্ষেত্রে তা ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ কিংবা তার বেশি হতে পার। যে দামেরই কিনুন না কেন, পাওয়ার ব্যাঙ্ক আর ব্লুটুথ স্পিকারের কম্বো আপনাকে আপনার গ্রুপে রকস্টার বানাবেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE