Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Sikkim

রয়েছ নয়নে নয়নে

বাংলার প্রতিবেশী রাজ্যগুলির মধ্যে সিকিম বোধহয় বাঙালির কাছে এখন সব থেকে প্রিয় গন্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা-সহ অন্যন্য তুষার শৃঙ্গরাজির অনবদ্য রূপ, উচ্ছল নদী ও ঝর্না, নয়নাভিরাম সরোবর, চোখজুড়োন অর্কিড ও ফুল, নানা রঙের পাখি, গা ছমছমে অরণ্য— সব মিলিয়ে ছোট্ট রাজ্যটির এই বিপুল সম্ভার সারা বছর পর্যটকদের আকর্ষণ করে। তবে ছোট হলেও, সিকিমের দর্শনীয় জায়গার সংখ্যা এতই বেশি যে, এক যাত্রায় সব কিছু দেখে ওঠা দুঃসাধ্য। তাই পাঠকদের সুবিধার জন্য কয়েকটি পর্বে ভাগ করে দেওয়া হল সিকিম ভ্রমণের কথা। আজ দ্বিতীয় পর্বে পূর্ব সিকিমের কথা।শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটানোর জন্য, প্রকৃতির অনাস্বদিত রূপের স্বাদ নিতে হলে আসতেই হবে ছুজাচেন। উচ্চতা ৩৫০০ ফুট। রংগলি বাজার থেকে মাত্রই আড়াই কিলোমিটার দূরে (রোলেপ যাওয়ার রাস্তায়) অবস্থিত এই জায়গাটি। দূরে চোখে পড়বে গাতি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প।

ধূপিদাঁড়া, রেশম পথ।

ধূপিদাঁড়া, রেশম পথ।

সন্দীপন মজুমদার
শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৭ ২০:২১
Share: Save:

ছুজাচেন: শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটানোর জন্য, প্রকৃতির অনাস্বদিত রূপের স্বাদ নিতে হলে আসতেই হবে ছুজাচেন। উচ্চতা ৩৫০০ ফুট। রংগলি বাজার থেকে মাত্রই আড়াই কিলোমিটার দূরে (রোলেপ যাওয়ার রাস্তায়) অবস্থিত এই জায়গাটি। দূরে চোখে পড়বে গাতি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। রংবেরঙের পাখি, প্রজাপতির সম্মেলনে নির্জন প্রকৃতির কোলে বেশ মজাতেই কাটবে ছুটির অবকাশ। উপ্রীতি পরিবারের (হোমস্টে পরিচালক) আন্তরিক সুপ্রীতি এখানে থাকার মুহূর্তগুলিকে যে আনন্দদায়ক করে তুলবেন সেটা নিশ্চিত।

কাছেপিঠের মধ্যে সুন্দরী জোরখোলা ঝর্না, ‘বৌধা ধাম’-এর হাঁটাপথে (রোলেপ থেকে ৪ কিলোমিটার) নীলাভ সবুজ জলের স্রোতস্বিনী রংপো নদীর দুর্দান্ত সঙ্গ, ‘হিডেন ফলস্’ (পাহাড়ের ঘেরাটোপে লুকোনো এক ঝরনা, যার স্থানীয় নাম সোকেখোলা ওয়াটার ফলস্), ‘হ্যাঙ্গিং ব্রিজ’ (প্রাচীন এক কাঠের সেতু, যেখানে পা দিলেই দুলে উঠবে সেতু, আর তখন নীচে প্রবাহমানা নীল নদীকে আরও যেন মিষ্টি লাগবে) ইত্যাদি দর্শনীয় স্থানগুলি অবশ্যই দেখে নিতে হবে গাড়িভাড়া করে।

যাত্রাপথ:

নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে রংপো হয়ে ছুজাচেন-এর দূরত্ব ১১৫ কিলোমিটার। পুরো গাড়ি ভাড়া পড়বে ২৫০০-৩০০০ টাকা। কম খরচে আসতে চাইলে, শেয়ার জিপে রংপো এসে, সেখান থেকে আসতে হবে ছুজাচেন। এখান থেকে রোলেপ-এর দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার।

রাত্রিবাস:
ছুজাচেন এ থাকার একটাই জায়গা ‘নিরজা রির্সট’। আগে এটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের গেস্ট হাউস ছিল। ৮০০-১০০০ টাকা মাথাপিছু ভাড়া (খাওয়া-থাকা নিয়ে) প্রতিদিন। ব্যবস্থাপনা বেশ ভালই।

যোগাযোগ: বিমল উপ্রীতি। ফোন: ৭৫৫১৮-৭০৫৪৬, ৯৯৩৩৩-০৮২৮৯।

টুকলা ভ্যালি থেকে দেখা কাঞ্চনজঙ্খা।

লোসিং মাছং: ছুজাচেন থেকে পৌঁছতে পারেন এখানে (দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার), আবার পাকইয়ং-ইয়াকতেন থেকেও চলে আসতে পারেন রংপো নদীর ধারে অবস্থিত অত্যন্ত সুন্দর এই জায়গাটিতে (দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার)। ৩০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত লোসিং মাছং গ্রামটি রংপো নদীর ধারেই গড়ে উঠেছে। এখানেই হোমস্টে-তে রাত্রিবাসের ব্যবস্থা। উচ্ছ্বল নদীর সুমধুর কলতান শোনা যায় ঘরে বসেই। ইচ্ছে করলে নদীর পাড়ে গিয়ে ছোঁয়া যায় নদীর জল, ঘনজঙ্গলে ঢাকা পাহাড়ের বুক চিরে প্রবাহমান নীলরঙা নদীর শোভা দেখেই সময় কেটে যায় এখানে। নদীর জলে মাছ আছে দেদার। আসালা, ট্রাউট, কাতলা ইত্যাদি মিলেও যেতে পারে মধ্যাহ্নভোজের আকর্ষণীয় মেনু হিসাবে। বিরাট এক কাঠের ঝুলন্ত সেতু রয়েছে নদীর উপর। তার উপরে দাঁড়ালে নদীর বয়ে চলা ও চারপাশের অনবদ্য প্রকৃতির এক দারুণ দৃশ্য প্রত্যক্ষ করা যায়। বিভিন্ন ধরনের পাখী ও প্রজাপতির মহাসম্মেলন দেখা যায় এখানে।

কাছেপিঠের মধ্যে মাছং গুম্ফা (একতলায় বুদ্ধ, পদ্মসম্ভব, অতিবুদ্ধের দর্শনীয় মূর্তি তো আছেই, দোতলায় সযত্নে রক্ষিত আছে দুষ্প্রাপ্য বহু প্রাচীন পুঁথি), রংপো ড্যাম (৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ড্যামটি চমৎকার, উঁচু পাহাড়ে ঘেরা সবুজ নিথর জলাশয়কে ঘিরে এখানে পাখি আর প্রজাপতির যেন মেলা বসে যায়), মাংখিম (শিব, গণেশ, হরপার্বতীর মূর্তি আছে ভিতরে, আর বাইরের চত্বর থেকে চারপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য নিঃসন্দেহে চোখ টানবে) ইত্যাদি দর্শনীয় স্থানগুলি দেখে নিতে পারেন গাড়ি ভাড়া করে।

যাত্রাপথ:

রংগলি বা ছুজাচেন থেকে যেমন আসতে পারেন এখানে, তেমনি পাকইয়ং থেকে চলে আসতে পারেন এজায়গায়। পুরো গাড়ী ভাড়া পড়বে ১০০০-১৫০০ টাকা। তবে, রংগলি বা ছুজাচেন থেকে সদ্য নির্মিত শর্টকাট রাস্তা(এ পথে অবশ্য হিডেন ফলস বা বৌধা ধামের রাস্তা আসেনা) ধরেও পৌছঁনো যায় লেসিং(দূরত্ব ১৭ কালোমিটার)। পুরো গাড়ীভাড়া(ছুজাচেন থেকে) ৩০০-৫০০ টাকা।

রাত্রিবাস:

রংপো নদীর ধারেই রয়েছে রংপো খোলা ভিলেজ রিসর্ট। ৭০০ টাকা মাথাপিছু খরচ পড়বে থাকা-খাওয়া নিয়ে।

যোগাযোগ: বিদ্যাপ্রসাদ শর্মা- ৯৮৩২৫-৪১৮৭৬, ৯৯৩৩৮-৯১২২৮

পুরনো বাবা মন্দির।

সিল্করুট বা রেশম পথ:

সম্প্রতি এই পথটি পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় ও বৈচিত্রপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে। সুদূর অতীতে এই পথেই বাণিজ্য চলত ভারতবর্ষ থেকে তিব্বত হয়ে মধ্য এশিয়া পর্যন্ত। তবে এখন সীমান্তের (চিন সীমান্ত) অবস্থানজনিত বিধিনিষেধের কারণে পর্যটকদের একটা সংক্ষিপ্ত অংশেই (লিংতাম থেকে বাবামন্দির, মোট ৬০ কিলোমিটার) ঘোরার অনুমতি মেলে।

বর্তমানে জুলুক ও নাথাং ভ্যালিতে রাত্রিবাস করে সিল্করুট ঘোরার একটা চল হয়েছে। কিন্তু পর্যটকদের জানা দরকার, জুলুক বা নাথাং ভ্যালি— কোনও জায়গা থেকেই কিন্তু কাঞ্চনজঙ্ঘা একেবারেই দেখা যায় না। উপরন্তু নাথাং ভ্যালিতে উচ্চতাজনিত নানান উপসর্গ, (মাথাযন্ত্রণা, বুক ধড়পড়), জুলুকে অনিয়মিত বিদ্যুৎ সংযোগ (গরম জলের সমস্যা, মোবাইল বা ক্যামেরার ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার সমস্যা) ভাল ভাবে সফর উপভোগ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। তাই উচিত হবে, আগমলোকের (আপার লিংতাম, উচ্চতা ৬০০০ ফুট) হোটেলে রাতটা কাটিয়ে পরদিন ভোরে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে ৫-৬ ঘণ্টার মধ্যে (যাতায়াত নিয়ে) সিল্করুট সফর করে হয় আগমলোকেই ফিরে আসুন, নয়তো চক্রাকার পথে কুপুপ-বাবামন্দির (নতুন)-ছাঙ্গুলেক হয়ে গ্যাংটক পৌঁছে শেষ করুন রেশম পথ পরিক্রমা। যদি রেশম পথের মধ্যে কোথাও থাকতেই হয়, তবে থাকা যেতে পারে ধূপিদাঁড়ায় (থাম্বি ভিউ পয়েন্টের কাছে)। এখানকার উচ্চতা (১১৩০০ ফুট) নাথাং ভ্যালির (১৩০০০ ফুট) থেকে অনেকটাই কম। অবস্থানগত ভাবেও উচ্চতাজনিত উপসর্গের সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে ঘরের জানলা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা ও অন্যান্য তুষারশৃঙ্গের মহিমা ও রাজকীয় রূপ দেখে সত্যিই মন ভরে যাবে।

নিউ জলপাইগুড়ি বা বাগডোগরা থেকে আসা রেশম পথের যাত্রীরা চলে আসুন আগমলোক-এ। জায়গাটি আপার লিংতামে। এখান থেকে সিঙ্গালিলা রেঞ্জ, ভুটান পাহাড় সমেত নীচের (লিংতাম অঞ্চলের) সবুজ উপত্যকার ছবি মুগ্ধ করবে। আগমলোক মনাস্ট্রিটি খুব একটা বড় নয়। কিন্তু চারপাশের পরিবেশ খুব সুন্দর। এখানকার সানরাইজ পয়েন্ট থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা, কাবরু, রাথং সমেত অন্যান্য তুষারশৃঙ্গের দৃশ্য অসাধারণ। আগমলোকে রাত্রিবাস করে, পরদিন সকালে সানরাইজ পয়েন্ট থেকে তুষারশৃঙ্গে রঙের খেলা দেখে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন সিল্করুট ভ্রমণে।

রংপো নদী।

ফাদামচেন, জুলুক (৯৬০০ ফুট) হয়ে পৌঁছে যান থাম্বি ভিউ পয়েন্ট। থাম্বি বা তার ৫ কিলোমিটার আগে ‘জিগজ্যাগ ভিউ পয়েন্ট’ থেকে এ পর্যন্ত চলে আসা সব ক’টা আঁকাবাঁকা রাস্তার দৃশ্য চোখে পড়ে। ‘বার্ডস আই ভিউ’-তে এই বিরল দৃশ্য শুধু চোখে দেখলেই হবে না, ক্যামেরাবন্দিও করে রাখুন। থাম্বি ভিউ পয়েন্ট (১১২০০ ফুট) ও তার ঠিক পরেই ধূপিদাঁড়া (১১৩০০ ফুট) থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা ও অন্য তুষারশৃঙ্গরাজির দৃশ্য দেখে পর্যটকেরা সম্মোহিত হয়ে যাবেন। সেই সম্মোহনের পালা আরও বাড়বে লুংথুং ভিউ পয়েন্ট (উচ্চতা ১২৬০০ ফুট) পৌঁছে। অনেকে আবার এখানে কাকভোরে সানরাইজ দেখতেও আসেন। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য এককথায় অতুলনীয়, একদম সামনাসামনি।

লুংথুং থেকে একটু এগিয়ে লক্ষণচক থেকে রাস্তা আলাদা হয়েছে। সোজা রাস্তায় পুরনো বাবামন্দির (এখানেই ছিল বাবা হরভজন সিংহের বাঙ্কার, যেখানে তিনি ডিউটি দিতেন। সুন্দর করে সাজানো রয়েছে একটি স্মৃতিমন্দিরও) দেখে পৌঁছে যান তুকলা ভ্যলিতে। আর লক্ষণচক্ থেকে বাঁ দিকের রাস্তাটি নাথাং ভ্যালি (১৩০০০ ফুট) হয়ে পৌঁছেছে তুকলা ভ্যালিতে। তুকলা ভ্যালি (উচ্চতা ১২৫০০ ফুট) থেকেও কাঞ্চজঙ্ঘা সমেত অন্যান্য হিমশিখরশ্রেণির ছবি অনবদ্য। তুকলা পেরিয়ে নীলরঙা কুপুপ লেক (উচ্চতা ১৩৯০০ ফুট, হাতি লেক নামেও পরিচিত এই লেক হল জলঢাকা নদীর উৎস), ১৪০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এশিয়ার সর্বোচ্চ গল্ফকোর্স দেখে নতুন বাবামন্দির হয়ে চলে যেতে পারেন গ্যাংটকে, অথবা, ফিরেও আসতে পারেন আগমলোকে। ইচ্ছে করলে গ্যাংটক থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে, ঘুরে আসতে পারেন মেমেঞ্চো লেক থেকে (উচ্চতা ১২৫০০ ফুট, রংপো নদীর উৎস এই লেক)। নতুন বাবামন্দির থেকে কাঁচা, দুর্গমপথে মাত্র ৩.৫ কিলোমিটার দূরেই অবস্থান এই অপূর্ব সরোবরটির।

নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে আগমলোক-এর (আপার লিংতাম) দূরত্ব ১৩৫ কিলোমিটার। লিংতামকে বলা হয় রেশমপথের প্রবেশদ্বার। লিংতাম চেকপোস্টে পারমিট দেখিয়ে যাত্রা শুরু হয় রেশমপথে। রংগলির এস ডি পি ও অফিস থেকে পাওয়া যায় রেশমপথে ঘোরার অনুমতিপত্র। প্রয়োজন পড়ে ভোটার কার্ডের এক কপি জেরক্স ও এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি। অনুমতিপত্রের আবার ৪-৫ কপি জেরক্স করিয়ে নেবেন। বিভিন্ন চেকপোস্টে জমা দেওয়ার জন্য। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে আগমলোক পর্যন্ত পুরো গাড়ি ভাড়া পড়বে ৩৫০০-৪০০০ টাকা। কম খরচে আসতে চাইলে শিলিগুড়ি এসএনটি থেকে শেয়ার জিপে রংপো, রংপো থেকে দু’বার শেয়ার জিপ পাল্টে প্রথম রংগলি, পরে লিংতাম পৌঁছতে পারেন। সিল্করুট ঘোরার জন্য গাড়িভাড়া (রিজার্ভ) পড়বে ৩৫০০-৪০০০ টাকা।

আগমলোক মনাস্ট্রি।

রাত্রিবাস:

লিংতামের উচ্চতা (৪৫০০ ফুট) বেশ কম বলে, রেশমপথে যাওয়ার আগের রাতটা আপার লিংতাম অর্থাৎ আগমলোক-এ কাটানোটাই শ্রেয়। খুব মারাত্মক উচ্চতার নয় (৬০০০ ফুট) যে উচ্চতাজনিত অসুবিধা হবে, চারপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলীও সুন্দর, আবার অধিক উচ্চতায় যাওয়ার আগে শরীরকে একটু সইয়ে নেওয়াও যাবে। তা ছাড়া গিজার ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় সুবিধাসহ রাত্রিবাস আরামদায়ক হলে, পরদিন রেশমপথ সফর আনন্দদায়ক হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

আগমলোক-এ আছে:

‘সিল্করুট–দি বসেরা রিসর্ট’, দ্বিশয্যাঘরের ভাড়া ১২০০-১৫০০ টাকা, কটেজভাড়া ২০০০ টাকা, যোগাযোগ: ৯৭৩৪৪-০০৪৪০, ৯৮৩০৪-৬৮৪৭৪ আর যে সব উৎসাহী পর্যটক আগমলোকে এক রাত কাটানোর পাশাপাশি রেশমপথেও আর একটা রাত কাটাতে চাইবেন কাঞ্চনজঙ্ঘার নিবিড় সান্নিধ্যে, তারা ধূপিদাঁড়া হোমস্টেতে কাটাতে পারেন একটা রাত। তবে, সরাসরি এনজেপি স্টেশন থেকে ধূপিদাঁড়ায় যাবেন না। এক রাত আগমলোকে কাটিয়ে তবেই পরের রাত থাকবেন।

ধূপিদাঁড়ায় লামাখাংগ হোমস্টে— চারশয্যার ঘর আছে চারটি। ভাড়া-৯০০ টাকা মাথাপিছু (খাওয়া থাকা নিয়ে), প্রতি দিন। গীজার নেই, গরম জল চাইলে পাওয়া যাবে।

যোগাযোগ: ৮৪৩৬৬-৪৯০০১, ৮৩৪৮৮-১৩৮৪৫

লম্বা লেজের মিনিভেট।

কিছু জরুরি তথ্য:

১) সিকিমের যে কোনও জায়গায় হোটেল, হোমস্টে বুকিং কিংবা যাতায়াতের জন্য গাড়ি বুকিংয়ের জন্য সিকিমে যোগাযোগ করতে পারেন নারায়ণ প্রধানের সঙ্গে। ফোন: ৮৪৩৬৬-৪৯০০১, ৭০৩১৩-০৮৫০৮

২) সিকিমে ঘোরার জন্য যে কোনও জরুরি তথ্যের ব্যাপারে যোগাযোগ: এম কে প্রধান (জয়েন্ট ডিরেক্টর, সিকিম ট্যুরিজম, গ্যাংটক), মোবাইল: ৯৮৩২০-৬৫৬১৭, ৮১১৬১-০৭০৭১

(লেখক পরিচিতি: ভ্রমণ সংক্রান্ত লেখালেখি বছর কুড়ি। পেশা ভিন্ন হলেও ভ্রমণের টানে গোটা ভারত ঘুরে বেড়ান বছরভর। পছন্দের দিক থেকে পাল্লা ভারী পাহাড়ের। ভ্রমণ ছাড়াও প্যাশন রয়েছে অভিনয়ে। অভিনয় করছেন বড় পর্দা, ছোট পর্দা, মঞ্চ, বেতার— সব মাধ্যমেই।)

(ছবি: লেখক)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE