Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Travel

চেরাপুঞ্জি-মাওলিনং-নারটিয়াং

অনন্ত বৃষ্টিধারাস্নাত চেরাপুঞ্জি, এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম মাওলিনং, প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকা জয়ন্তিয়া পাহাড়ের অপরূপ নারটিয়াং। মেঘালয় ভ্রমণের দ্বিতীয় তথা শেষ পর্ব।অনন্ত বৃষ্টিধারাস্নাত চেরাপুঞ্জি, এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম মাওলিনং, প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকা জয়ন্তিয়া পাহাড়ের অপরূপ নারটিয়াং। মেঘালয় ভ্রমণের দ্বিতীয় তথা শেষ পর্ব।

পাহাড়, জঙ্গল, ঝর্না— তিনের সহাবস্থান। মাওলিনং-এর পথে।

পাহাড়, জঙ্গল, ঝর্না— তিনের সহাবস্থান। মাওলিনং-এর পথে।

শ্রেয়সী লাহিড়ী
শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৭ ২২:০১
Share: Save:

চেরাপুঞ্জি

‘বিশ্বের সর্বাধিক বৃষ্টিপাতের স্থান চেরাপুঞ্জি’— ভূগোল বই থেকে এই বাক্যটা মুছে গেলেও বাঙালির ভ্রমণ মানচিত্রে চেরাপুঞ্জি একটি আকর্ষণীয় নাম। ১৩০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই স্থানটির স্থানীয় নাম ‘সোহরা’। খাসি সাহিত্য ও সংস্কৃতির পীঠস্থান চেরাপুঞ্জি। খাসি ভাষাতে সাহিত্যচর্চা শুরু হয় এই সোহরাতেই। ১৮৪২ সালে খাসি ভাষায় রচিত প্রথম বই প্রকাশিত হয়। শিলং শহর থেকে ৫৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই যাত্রাপথটি অনুপম পাহাড়ি শোভায় ঘেরা। অনুচ্চ পাহাড়ের বুক চিরে মসৃণ রাস্তা। চলার পথের সঙ্গী ছোট ছোট গ্রাম, সবুজ উপত্যকা, খণ্ড খণ্ড কৃষিজমি, পাইন গাছের ছায়া, নাসপাতি ও কমলালেবুর বাগান এবং টেবলটপ পাহাড়। এ ছাড়া আছে কয়লার খাদান। রাস্তাতেই পড়বে ঝুলন্ত লোহার ব্রিজ মওকডং। এখান থেকেই সিঁড়ি নেমে গেছে দুয়ানসিং সিয়েম ভিউ পয়েন্টে। এখান থেকে দৃশ্যমান হয় ঘন সবুজ মাডক উপত্যকার মনোরম শোভা।

ফুলের সাজ

শহরে ঢোকার মুখেই ওয়াকাবা ফলস। পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসা বিনুনির মতো সরু জলধারা হারিয়ে গেছে নীচে। চারিদিক উন্মুক্ত। দূরে দেখা যায় শুধু পাহাড়ের সারি। নীচের দিকে তাকালে দেখা যায় না ঝর্নার প্রবাহপথ।

চেরাপুঞ্জি পৌঁছে প্রথম গন্তব্য রামকৃষ্ণ মিশন। ১৯৫২-র ২০ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু চেরাপুঞ্জি রামকৃষ্ণ মিশনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। খাসি উপজাতিদের জীবনে উন্নতির আলো জ্বালতে এই মিশন অনেকটাই সাহায্য করেছে। শিক্ষার প্রসার, দাতব্য চিকিৎসালয় এবং সমাজসেবামূলক কাজে মিশনের অবদান অনস্বীকার্য। স্কুল ভবনের ঠিক পিছনেই দিগন্ত বিস্তৃত ঢেউ খেলানো পাহাড়ের মিছিল। রামকৃষ্ণ মিশনের নৃতাত্বিক সংগ্রহশালাটি অসাধারণ। উত্তর-পূর্ব ভারতের উপজাতীয় মানুষদের জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে একটি সম্যক ধারণা পাওয়া যায়।

চেরাপুঞ্জির নহকালিকাই ফলস

পরবর্তী গন্তব্য নহকালিকাই ফলস। প্রায় ১০০০ ফুট উঁচু পাহাড়ের মাথা থেকে অনেক নীচে সটান আছড়ে পড়ছে ঝর্নার জল। বিশাল উন্মুক্ত অঞ্চল। বিস্তীর্ণ স্থান জুড়ে পাহাড়ের পাথুরে শরীরটার মাথাটা সবুজ চাদরে ঢাকা। নীচে জমাট বাঁধা সাদা মেঘ। অনেক নীচে সৃষ্টি হয়েছে ছোট জলাশয়। স্নিগ্ধ নীল তার রং। হাজার সিঁড়ি বেয়ে নেমে যাওয়া যায় জলাশয়ের কাছে। বর্ষায় ঝর্নাটি যৌবনে ভরপুর হয়ে ওঠে।

নহকালিকাই ফলসের কাছেই আছে বাংলাদেশ ভিউ পয়েন্ট। পরিষ্কার আবহাওয়ায় দেখা যায় বাংলাদেশ। এখানে চলার পথে দূর-দূর পাহাড়ের গায়ে দেখা মেলে অসংখ্য কবরস্থানের। খাসি উপজাতিরা বর্তমানে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। শহরের মাঝখানে ১৫৭ বছরের পুরনো প্রেসবিটারিয়ান চার্চটি সেই সাক্ষ্য বহন করে।

বহু ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করছে এই প্রেসবিটারিয়ান চার্চ

শহরের মধ্যেই ফুলের বাগান, অর্কিড দিয়ে সাজানো মনোরম ইকো পার্ক। এখান থেকেও দেখা যায় বাংলাদেশ। পাশেই আছে সেভেন সিস্টার ফলস। পাহাড়ের গা বেয়ে সাতটি ধারায় নেমে এসেছে এই ঝর্নাটি।

সবচেয়ে আকর্ষণীয় দ্রষ্টব্য হল মোসামাই কেভ। এক আরণ্যক পরিবেশে এই প্রাকৃতিক গুহায় প্রবেশের অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে রোমাঞ্চকর। গুহার ভিতরে বৈদ্যুতিন আলোর ব্যবস্থা আছে। আগে পর্যটকেরা টর্চ ও গাইডের সাহায্যে এই গুহায় প্রবেশ করতেন। এখন আলোর ব্যবস্থা থাকায় আর সে প্রয়োজন হয় না। কখনও বসে, কখনও সরু ফাঁকের মধ্যে দিয়ে শরীরকে গলিয়ে এগিয়ে যেতে হয়।

মোসামাই গুহায় প্রাকৃতিক ভাবে চুনাপাথরে তৈরি ভাস্কর্য

গুহার ভিতরে প্রাকৃতিক উপায়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা আকৃতি— কখনও মানুষের মুখ, কখনও হাঁস বা পাখি। গুহার এক মুখ দিয়ে প্রবেশ করে রোমাঞ্চের স্বাদ নিয়ে আর এক মুখ দিয়ে প্রস্থান।

চেরাপুঞ্জির অন্যান্য দ্রষ্টব্য হল কেইনরেম ফলস, খো-রামা, সাংকারাংগ পার্ক, মোসামাই ফলস, ডাইনথলেন ফলস, নংগিথিয়াং ফলস প্রভৃতি।

মাওলিনং-এ লিভিং রুট ব্রিজ

চেরাপুঞ্জির বিস্ময়কর আকর্ষণ ডবল ডেকার লিভিং রুট ব্রিজ। জৈবপ্রযুক্তির এই সেতু বহু প্রাচীন। ত্যারণা গ্রাম থেকে ৩ কিলোমিটার দূরত্বে সিঁড়িপথে হেঁটে ২,৪০০ ফুট নীচে নেমে পৌঁছতে হবে উমশিয়াং নদীর ওপর তৈরি এই বিস্ময়কর সেতুর কাছে। রবার গাছের শিকড় পেঁচিয়ে এই সেতুর সৃষ্টি। মেঘালয় ছাড়া পৃথিবীতে কোথাও আর এই অসামান্য প্রাকৃতিক শৈলী দেখা যায় না। কষ্টকর পথের জন্যই পর্যটক সমাগম খুব কম। এটি দেখতে হলে চেরাপুঞ্জিতে রাত্রিবাস আবশ্যিক।

মাওলিনং

‘ক্লিনলিনেস ইজ গডলিনেস’ কথাটি বইয়ের পাতাতেই থেকে যায়। আমাদের দেশে তার বাস্তব প্রয়োগ খুব একটা দেখা যায় না। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছোট্ট গ্রাম মাওলিনং কিন্তু সাফল্যের সঙ্গে এর বাস্তব প্রয়োগ ঘটিয়েছে। এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রামের শিরোপা অর্জন করেছে এই গ্রাম। শিলং থেকে দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার। শিলং থেকে মাওলিনং-এর যাত্রাপথে উমতিয়াংশি নদীর কিছু পরেই পথবিভাজন। একটি পথ গেছে চেরাপুঞ্জির দিকে, অন্যটি দাউকি। পাহাড়ের রুক্ষতা, সবুজ উপত্যকা, পাইন বনের রোম্যান্টিকতা পথের সঙ্গী। দাউকির পথ ধরে এগিয়ে পাংতুম থেকে আবার পথ ভাগ হয়েছে। বাম পথটি সোজা চলে গেছে দাউকির দিকে। ডান দিকের বাকি ১৮ কিলোমিটার পথ পৌঁছে গেছে মাওলিনং। পথের দু’পাশে লম্বা লম্বা ঘাসের বন দেখা যায় যা থেকে ফুলঝাড়ু তৈরি হয়।

পাহাড়ি সুন্দরী

এখানকার বেশিরভাগ মানুষই খাসি সম্প্রদায়ভুক্ত, খ্রিস্ট-ধর্মাবলম্বী। গ্রামে স্কুল, চার্চ সবই আছে। কমলালেবু, কাঁঠাল, আনারস, তেজপাতা, পান, সুপুরি চাষ, ফুলঝাড়ু তৈরি এখানকার গ্রামের মানুষদের প্রধান জীবিকা। গ্রামের প্রতিটি বাড়ি পরিপাটি করে সাজানো। বাড়ির সামনে রয়েছে ফুলের বাগান। প্রবেশ দরজা, সীমানা বেড়া-সবই সুন্দর লতানে ফুলগাছে মোড়া। প্রতিটি বাড়ির সামনে ও রাস্তায় বেতের তৈরি ডাস্টবিন রাখা আছে। এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রামের খেতাবটি ধরে রাখতে গ্রাম সমিতি ও গ্রামবাসীরা খুবই সচেষ্ট। গ্রামের প্রবেশপথেই প্রথম দ্রষ্টব্য ‘ব্যালান্সিং রক’। ছোট্ট এক টুকরো পাথর বিশাল এক গোলাকার প্রস্তরখণ্ডকে মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। চোখে বিস্ময়ের ঘোর লেগে যায়। যুগ যুগ ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোনও কিছুই টলাতে পারেনি এই বৃহৎ প্রস্তরখণ্ডকে।

মাওলিনং গ্রামে ফুলঝাড়ু তৈরি হচ্ছে

অন্য দ্রষ্টব্য ‘স্কাই ভিউ পয়েন্ট’। প্রায় তিনতলা বাড়ির সমান উঁচুতে বাঁশ দিয়ে শক্ত করে বাঁধা মাচান। কয়েকটা বাঁশ জুড়ে তৈরি ঢাল বেয়ে বাঁশের রেলিং ধরে মাচানে উঠতে হয়। অনেকটা ওয়াচ টাওয়ারের মতো। বিস্তৃত সবুজের মাঝে বাংলাদেশকে দেখা যায়।

সবচেয়ে বিস্ময়কর ও আকর্ষণীয় দ্রষ্টব্য নিবিড় অরণ্যের মাঝে প্রকৃতির অনবদ্য কারিগরি নিদর্শন ‘লিভিং রুট ব্রিজ’। ২৫০ মিটার নীচে সিঁড়িপথ গেছে থাইলং নদীর কাছে। নদীর ওপরেই প্রকৃতির অনবদ্য সৃষ্টি জীবন্ত গাছের সেতুটির অবস্থান। নদীর একপারে জঙ্গলের বিশাল বিশাল গাছের ঝুরি নেমে বহু বছর ধরে বেড়েছে এবং বিনুনি পাকানোর মতো শক্ত হয়ে নদীর অন্য পারে মিশেছে। দীর্ঘ দিন ধরে ঝুরির পরিমাণ বাড়তে বাড়তে সেতুর আকার ধারণ করেছে। এটি এতটাই শক্তিশালী যে পথ চলার উপযোগী।

মাওলিনং থেকে দেখে নেওয়া যায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দাউকি। দাউকি নদীতে বোটিংয়ের ব্যবস্থা আছে। নদীর অন্য পারে বাংলাদেশ।

নারটিয়াং

মেঘালয়ের পর্যটন মানচিত্রে খাসি পাহাড়ের জনপ্রিয়তা খুব বেশি। তুলনামূলক ভাবে জয়ন্তিয়া পাহাড় প্রচারের আলো থেকে বেশ দূরে। নারটিয়াং জয়ন্তিয়া পাহাড়ের এক বিউটি স্পট। শিলং থেকে জোয়াইয়ের পথে এর অবস্থান, দূরত্ব ৬৫ কিলোমিটার। পথের শোভা মনোমুগ্ধকর। পাইনবনের ঘনত্ব খুব বেশি। পূর্বে এখানেই ছিল জয়ন্তিয়া রাজাদের গ্রীষ্মকালীন আবাস। এখন তা নতুন ভাবে পরিবর্তিত রূপ পেয়ে হয়েছে সরকারি অফিস। আজও রাজাদের বংশধরেরা নারটিয়াং-এ বাস করেন। এখানে একটি প্রাচীন দুর্গামন্দির ও শিবমন্দির আছে। শরৎকালে এক অসাধারণ পদ্ধতিতে পুজো হয়। বাংলার সংস্কৃতি ও খাসি-জয়ন্তিয়া সংস্কৃতি মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। মন্দিরের ভিতরে আছে ছোট অষ্টধাতুর মূর্তি। সতীর বাম ঊরু এখানে পড়েছে বলে কথিত আছে। ১৯৮৭ সালে চেরাপুঞ্জি রামকৃষ্ণ মিশন এই মন্দিরটি সংস্কার করে এবং বর্তমানে তারাই এটি দেখাশোনার দায়িত্বে আছে। রামকৃষ্ণ মিশনের উদ্যোগেই এখানে বাঙালি প্রথায় পুজো হয়।

দুর্গামন্দিরের কাছেই শিবমন্দির। মন্দিরের ভিতরে আছে কালো কষ্টিপাথরের শিবমূর্তি। জয়ন্তিয়া রাজাদের সময়কালে ব্যবহৃত কামানের কিছু অংশবিশেষ ও যুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্রও আছে। জয়ন্তিয়ারা নিজেদের মঙ্গোলিয়ানদের বংশধর বলে মনে করতো। শিবমন্দির চত্বরটি বেশ সুন্দর। এখান থেকে পাহাড় ঘেরা নারটিয়াংয়ের মনোরম শোভা দেখা যায়। নারটিয়াংয়ের মূল আকর্ষণ মনোলিথ পার্ক।

এই সেই মনোলিথ পার্ক

পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা মনোলিথটি এই পার্কেই আছে। জয়ন্তিয়া উপকথা অনুযায়ী, বীর যোদ্ধা ‘মার ফালিঙ্কি’ এক হাতে খাড়া করে বসিয়েছিলেন এই মনোলিথটি। এটি ৮ মিটার লম্বা, ২ মিটার চওড়া এবং ৪৬ সেন্টিমিটার মোটা। এই মনোলিথ পার্কে জয়ন্তিয়া রাজাদের সভা বসত। প্রতি একজোড়া পাথর একটা চেয়ারের আকারে আছে।

মুখলার কাছে হাইওয়ের ধারে পাইনবনে ঘেরা থাডলেস্কেইন লেক। লেকের চারপাশে নরম সবুজ ঘাসের গালিচা। তিন দিকে পাইনবনের সারি আর একপাশে আছে পাহাড়ি ধাপে বোনা ধানের ক্ষেত। লেকের নীল জলে বোটিংয়ের ব্যবস্থা আছে।

নীল জলে ঘেরা অপূর্ব থাডলেস্কেইন লেক

কেনাকাটা

চেরাপুঞ্জি থেকে কমলালেবুর মধু, দারচিনি, চেরি, তেজপাতা কিনতে পারেন।

যাত্রাপথ

শিলং থেকে ভাড়া গাড়িতে অথবা মেঘালয় ট্যুরিজমের কন্ডাক্টেড ট্যুরের বাসে দিনে দিনে চেরাপুঞ্জি ও মাওলিনং দেখে নেওয়া যায়। চেরাপুঞ্জি ভ্রমণের জন্য শিলং থেকে মেঘালয় ট্যুরিজমের কন্ডাক্টেড ট্যুরের সময়সীমা সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা। ভাড়া জনপ্রতি ৩৫০ টাকা। মাওলিনং ভ্রমণের জন্য শিলং থেকে মেঘালয় ট্যুরিজমের কন্ডাক্টেড ট্যুরের সময়সীমা সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা। ভাড়া জনপ্রতি ৫০০ টাকা। চেরাপুঞ্জি ও মাওলিনংয়ে রাত্রিবাস করলে টানা গাড়িও সঙ্গে রাখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ছোট গাড়ি ২৫০০-৩০০০ টাকা, সুমো ২৮০০-৩৩০০ টাকা, ইনোভা ৩৫০০-৪০০০ টাকা। নারটিয়াংয়ে বেড়ানোর জন্য ভাড়া গাড়িই ভরসা।

ভাড়া গাড়ির জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ইয়ামু রানা-র সঙ্গে। ফোন: ০৯৪৩৬১-০৪৭৬৬, ০৭০০৫৪-৭৬৩৬২

মেঘালয় ট্যুরিজমের কন্ডাক্টেড ট্যুরের জন্য যোগাযোগ: ট্যুরিস্ট ইনফর্মেশন সেন্টার। ফোন: ০৩৬৪-২২২৬২২০

রাতের আস্তানা

চেরাপুঞ্জিতে রাত্রিবাসের জন্য আছে মেঘালয় পর্যটনের হোটেল চেরাপুঞ্জি হলিডে রিসর্ট (ফোন: ০৯৬১৫৩-৩৮৫০০, ০৯৪৩৬১-১৫৯২৫)। দ্বিশয্যা স্ট্যান্ডার্ড ঘরের ভাড়া ৩৭০০ টাকা। দ্বিশয্যা ডিলাক্স ঘরের ভাড়া ৩৯৪০ টাকা। দ্বিশয্যা এগজিকিউটিভ ঘরের ভাড়া ৪৪২৫ টাকা।

(ট্যাক্স, ব্রেকফাস্ট ও ডিনারের খরচ ধরা আছে)। এ ছাড়া কিছু সাধারণ মানের হোটেল আছে।

মাওলিনংয়ে থাকার জন্য আছে মাওলিনং গেস্ট হাউস (বুকিং: ০৩৬৪-২৫০২৪২০, ০৯৪৩৬১-০৪৮৪৪, ০৯৮৬৩০-২১০৬৯) ভাড়া ৩০০০ টাকা।

এ ছাড়া কিছু হোম-স্টে আছে।

পথের ধারেই চলছে বিকিকিনি

নারটিয়াংয়ে রাত্রিবাসের জন্য আছে মেঘালয় পর্যটনের হোটেল অর্কিড ইন (ফোন: ৯৮৫৬০-০৩৬৬২, ৯৮৬৩০-৭৭৩৪০)। ভাড়া ১৬৮০-২৮২০ টাকা সঙ্গে ট্যাক্স ও ব্রেকফাস্টের খরচ ধরা আছে।

জোয়াইয়ের কাছে কিছু প্রাইভেট হোটেল আছে।

বিশদ তথ্যের জন্য যোগাযোগ: মেঘালয় পর্যটন। ১২০ শান্তিপল্লি, ইস্টার্ন বাইপাস, কলকাতা-৭০০১০৭, ফোন: ০৩৩-২৪৪১৩১১৬

ছবি: লেখক

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE