সোমনাথ মন্দির ভ্রমণের সাত সতেরো। ছবি: সংগৃহীত
একাধিকবার ধ্বংস ও পুনর্নির্মানের সাক্ষী হয়েছে আরব সাগরের তীরে অবস্থিত গুজরাটের সোমনাথ মন্দির। স্বাধীনতার পর বল্লবভাই পটেল ও নেহেরু সরকারের তৎকালীন খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী কে এম মুন্সীর উদ্যোগে বর্তমান মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়। উৎসাহ দেন গাঁধীও। কিন্তু মন্দির উদ্বোধনের সময় বেঁচে ছিলেন না গাঁধী কিংবা পটেল। রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্রপ্রসাদ এই মন্দিরের উদ্বোধন করে বলেছিলেন,‘‘ধ্বংসের চেয়ে সৃষ্টি যে মহৎ, সোমনাথ মন্দির তারই প্রতীক’’।
চালুক্য রীতিতে নির্মিত এই মন্দিরে রয়েছে গর্ভগৃহ, সভা মণ্ডপ ও নৃত্য মণ্ডপ। সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে মন্দির। সকাল ৭টা, দুপুর ১২টা ও সন্ধ্যা ৭টায় আরতি হয় মন্দিরে।
সোমনাথ মন্দির ছবি: সংগৃহীত
কী কী দেখবেন?
মন্দিরের একেবারে কাছেই রয়েছে সমুদ্র সৈকত। সন্ধ্যারতির পর প্রজেক্টরের মাধ্যমে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো হয় প্রতিদিন। মন্দির চত্বরেই রয়েছে টিকিটের ব্যবস্থা। শোয়ের সময় রাত আটটা থেকে ন’টা। এ ছাড়াও, কাছাকাছি রয়েছে ত্রিবেণী সঙ্গম, দ্বারকা মন্দির ভালকা তীর্থ ও ভেরাভাল সৈকত।
কী ভাবে যাবেন?
এখানকার নিকটতম বিমানবন্দর হল দিউ। তবে মন্দির থেকে বিমানবন্দরের দূরত্ব ৬৫ কিলোমিটার। ট্রেনে আসতে চাইলে নামতে হবে ভেরাভাল বা সোমনাথ স্টেশনে।
কোথায় থাকবেন?
থাকার জায়গার এখানে অভাব নেই। যে কোনও ভাড়াতেই মিলবে থাকার জায়গা। সোমনাথ মন্দিরের অছি পরিষদের পক্ষ থেকেও রয়েছে থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত। ভাড়া এক থেকে চার হাজার টাকা।
মাথায় রাখার বিষয়
গুজরাতে গরম খুব বেশি। কাজেই গরমকলে এখানে ভ্রমণ একটু কষ্টকর হতে পারে। মন্দিরের ভিতর মোবাইল কিংবা ব্যাগ পত্র নিয়ে প্রবেশ করা যায় না। মাঝেমাঝে ভিড় খুব বেড়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে আগে থেকে পৌঁছে যাওয়াই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy