‘করবা চৌথ’ আশ্বিন মাসে পূর্ণিমার পরে চতুর্থ দিনে উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের হিন্দু মহিলাদের দ্বারা পালিত একটি ব্রত। এই বছর ‘করবা চৌথ’ ১ নভেম্বর ২০২৩। বিকাল ৫টা ৩৬ থেকে ৬টা ৫৪ মিনিট ব্রত পালনের শুভ সময়।

ছবি: সংগৃহীত

মহিলারা স্বামীর দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবনের কামনায় বিবাহিত মহিলারা সূর্যোদয় থেকে চন্দ্রোদয় পর্যন্ত উপোস করেন। চন্দ্রালোকে স্বামীর মুখ দেখে তাঁর হাতে জল খেয়ে মহিলারা উপোস শেষ করেন।

ছবি: সংগৃহীত

‘করবা’ অর্থাৎ কড়াই। ‘চৌথ’ মানে চতুর্থী তিথি। এই সময়ে মহিলারা নতুন কড়াই কেনেন। সেখানে নতুন কাপড়, কাচের চুড়ি এবং বাড়িতে তৈরি মুখরোচক খাবার ও মিষ্টি রাখেন। এই ব্রতপালনের নেপথ্যকাহিনি কী?

ছবি: সংগৃহীত

প্রচলিত কাহিনি, করবা নামের এক পতিব্রতা নারী ছিলেন। তাঁর স্বামীকে কুমির আক্রমণ করেছিল। কুমিরের গ্রাস থেকে স্বামীকে উদ্ধার করে করবা যমরাজের কাছে কুমিরের মৃত্যুদণ্ড প্রার্থনা করেন।

ছবি: সংগৃহীত

করবার ব্রতে সন্তুষ্ট হয়ে যমরাজ আশীর্বাদ করে বলেছিলেন, যে নারীরা এই উপোস করবেন তাঁদের স্বামীদের রক্ষা করবেন যমরাজ। তখন থেকেই নাকি করবার নামে এই ব্রতের নামকরণ।

ছবি: সংগৃহীত

অন্য একটি কাহিনি অনুযায়ী, রানি বীরবতী ব্রত পালন করছিলেন। উপোস করে বোনের কষ্ট হচ্ছে ভেবে তাঁর সাত দাদা অশ্বত্থ গাছে আয়না রেখে দিলেন। 

ছবি: সংগৃহীত

আয়নাকে চাঁদ ভেবে ভুল করে ব্রতভঙ্গ করলে বীরবতী স্বামীর মৃত্যুর খবর পান।

ছবি: সংগৃহীত

তার পর আবার ‘করবা চৌথ’ পালন করে তাঁর স্বামীর প্রাণভিক্ষা করলে যমরাজ তাঁর স্বামীর প্রাণ ফিরিয়ে দেন।

ছবি: সংগৃহীত