হয়ে গেল দ্বারোদ্ঘাটন। অক্ষয়তৃতীয়ার দুপুরেই খুলে গেল দিঘার জগন্নাথধামের দরজা। রইল তারই কিছু ছবি।
প্রায় ২০ একর এলাকা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে দিঘার জগন্নাথধাম। মন্দিরটি নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা।
মন্দিরটির স্থাপত্যশৈলীও হয়েছে নজরকাড়া। জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহের পাশাপাশি রয়েছে রাধাকৃষ্ণের বিগ্রহও।
নাটমন্দিরটি দাঁড়িয়ে রয়েছে ১৬টি স্তম্ভের উপর। মূল মন্দিরে রয়েছে ভোগমণ্ডপ, নাটমন্দির, জগমোহন এবং গর্ভগৃহ।
মন্দিরের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে নেমে এসেছে ‘চাঁদের হাট’। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত রয়েছেন তৃণমূলের একঝাঁক নেতা-নেত্রী, বাংলা বিনোদন দুনিয়ার নানা পরিচিত মুখ।
মন্দিরের বাইরে হওয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নাচে-গানে মাতিয়ে তুলেছেন নচিকেতা চক্রবর্তী, ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ শিল্পীরা।
বুধবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে যজ্ঞ। সেই সময় বিগ্রহকে চার দিক দিয়ে সোনা, রুপো এবং তামার তার দিয়ে ঘেরা হয়েছে।
সকাল ১১:৩০টা নাগাদ করা হয়েছে বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠা। পাথরের মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেছেন ইসকনের সন্ন্যাসীরা। নিমকাঠের তৈরি মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেছেন পুরীর মন্দিরের রাজেশ দয়িতাপতির নেতৃত্বাধীন পুরোহিতেরা।
প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর সারা হয়েছে জগন্নাথদেবের স্নান ও বস্ত্র পরিধানের প্রক্রিয়া। তার পর জগন্নাথদেবকে ৫৬ ভোগ নিবেদন করা হয়েছে।
দুপুর ৩টে নাগাদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করেন। তাঁর হাতেই হয়েছে জগন্নাথদেবের সন্ধ্যারতি।
সব ছবি: অমিত দত্ত।