Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

অধিকারীরাজ ছাঁটলেন মমতা

তৃণমূলের অন্দরে-বাইরে বহুচর্চিত তথ্য, নন্দীগ্রামের আন্দোলনকে ধরে রেখেছিলেন তিনিই। যে আন্দোলনের ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত মহাকরণে প্রবেশ ঘটেছিল তাঁর দলনেত্রীর। লোকসভা ভোটে নজিরবিহীন সাফল্যের পরে দলের সেই তরুণ সেনাপতি, শুভেন্দু অধিকারীরই ডানা ছেঁটে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!

সৌমিত্র-শুভ্রাংশু: যুব তৃণমূলের নয়া ভরসা। —নিজস্ব চিত্র।

সৌমিত্র-শুভ্রাংশু: যুব তৃণমূলের নয়া ভরসা। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৪ ০৩:১১
Share: Save:

তৃণমূলের অন্দরে-বাইরে বহুচর্চিত তথ্য, নন্দীগ্রামের আন্দোলনকে ধরে রেখেছিলেন তিনিই। যে আন্দোলনের ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত মহাকরণে প্রবেশ ঘটেছিল তাঁর দলনেত্রীর।

লোকসভা ভোটে নজিরবিহীন সাফল্যের পরে দলের সেই তরুণ সেনাপতি, শুভেন্দু অধিকারীরই ডানা ছেঁটে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! শুক্রবার শুধু শুভেন্দু নন, সামগ্রিক ভাবে কাঁথির অধিকারী পরিবারেরই ক্ষমতা খর্ব করা হল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে।

নির্বাচনে ফল খারাপ হলে সংগঠনে রদবদল বা মুখ পরিবর্তন হয়, এটাই দস্তুর। লোকসভা ভোটে রাজ্যে তুঙ্গ সাফল্যের মধ্যেও যেখানে যেখানে ফল খারাপ হয়েছে, সেখানকার নেতাদের তিরস্কার শুরু হয়েছিল তৃণমূলে। কিন্তু শুভেন্দু বা তাঁর সাংসদ-পিতা শিশির অধিকারী সেই তালিকায় পড়েন না। তবু আচমকা যে ভাবে তাঁদের উপরে খাঁড়া নেমে এল, তাতে বিস্ময় এবং ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে।

দলের একাংশের মতে, যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি পদ থেকে শুভেন্দুকে সরিয়ে এবং পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতির দায়িত্বে শিশিরবাবুর সঙ্গেই অধিকারী-শিবিরের বিরোধী বলে পরিচিত বিধায়ক অখিল গিরিকে জুড়ে দিয়ে মমতা বার্তা দিলেন— দলে তিনিই শেষ কথা। বিক্ষুব্ধ কোনও কণ্ঠ দলের মধ্যে গলা তুলুক, এমন পরিস্থিতি তিনি তৈরি হতে দেবেন না!


শুভেন্দু: যুব তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দলে সাধারণ
সম্পাদক। শুক্রবার নেতাজি ইন্ডোরে।—নিজস্ব চিত্র।

দলের অন্দরের খবর, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের রূপকার হিসেবে শুভেন্দুর জনপ্রিয়তা এবং প্রভাব বরাবরই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অস্বস্তির বিষয় ছিল। সেই সঙ্গে মুকুল-শিবিরের সঙ্গে শুভেন্দুদের ‘সুসম্পর্কে’র অভাবও একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিল বলে মনে করা হচ্ছে।

কেন না, এ দিন শুভেন্দুদের ক্ষমতা খর্ব যদি মুদ্রার এক পিঠ হয়, অন্য পিঠে আছে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের ছাপ সংগঠনের সর্বত্র আরও চারিয়ে যাওয়া। শুভেন্দুকে যেমন যুব সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে, তেমনই ওই একই পদে আনা হয়েছে মুকুল-ঘনিষ্ঠ বিধায়ক শিউলি সাহাকে। যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি করা হয়েছে মুকুলেরই বিধায়ক-পুত্র শুভ্রাংশু রায়কে। শুভেন্দুর বদলে যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে বিষ্ণুপুরের নবনির্বাচিত সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে। মাস তিনেক আগে রাজ্যসভা ভোটের সময় মুকুলবাবুর হাত ধরেই যিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলেন!

সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এ দিন শুভেন্দু ছাড়াও ৬ জনকে নিয়োগ করেছেন তৃণমূল নেত্রী মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত, নেত্রী মহুয়া মৈত্র, ছাত্র-নেতা বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় এবং শিউলি। বার্তা খুব পরিষ্কার। প্রথম বারের বিধায়ক শিউলি, শীলভদ্র বা কংগ্রেস ছেড়ে আসা মহুয়ার সঙ্গে শুভেন্দুকে এক পংক্তিতেই রাখছেন দলনেত্রী। এমন ঘটনায় শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠেরা স্বভাবতই ক্ষুব্ধ। তবে এ দিন রাত পর্যন্ত তৃণমূলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে রদবদলের কোনও তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এমনকী দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সকলের হাতেও কোনও চূড়ান্ত তালিকা পৌঁছয়নি।

তৃণমূলেরই একটি সূত্রের খবর, শিউলিদের সঙ্গে তিনি একই পদে থাকতে পারবেন না বলে দলকে জানিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু। কিন্তু তাঁরা এই বিষয়ে কিছু জানেন না বলে এ দিন রাতে জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুলবাবু এবং দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।

শুভেন্দু অবশ্য প্রকাশ্যে নেত্রীর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটি শব্দও বলেননি। বিষয়টিকে রুটিন এবং দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলেও তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “দলের নেত্রী এক জন। তিনি কখন কাকে কাজে লাগাবেন, সেটা তাঁর ব্যাপার!” তবে তমলুকের সাংসদ মনে করিয়ে দিয়েছেন, “২০০৯ থেকে ২০১১, এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমি দলের যুব সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছি।”

শুভেন্দু নিজে সংযত থাকলেও তৃণমূলের অন্দরে প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে নেতাজি ইন্ডোরের বৈঠক শেষ হওয়ার পর থেকেই। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে দলের নেতা-কর্মী এবং শুভানুধ্যায়ীরা নাগাড়ে ফোন করেছেন সদ্যপ্রাক্তন যুব সভাপতিকে। শুভেন্দুর প্রতি দলীয় নেতৃত্বের আচরণের প্রতিবাদে পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের নির্বাচিত সদস্য রণজিৎ দাস পদত্যাগ করেছেন। নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং তৃণমূল নেতা আবু তাহের বলেছেন, “নন্দীগ্রামের অনেক কর্মী-সমর্থক এমন সিদ্ধান্তের কারণ জানতে চেয়েছেন। তাঁদের সদুত্তর দিতে পারিনি!” বৈঠক শেষে নেতাজি ইন্ডোরের সামনেও মুকুল-ঘনিষ্ঠ এক নেতাকে দেখে কিছু কর্মীকে বলতে শোনা গিয়েছে, “যুব সংগঠনকে আপনারা শেষ করে দিলেন?”

শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠদের কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, “যা হয়েছে ভালই হয়েছে! সংগঠনের প্রধান হয়েও শুভেন্দুর স্বাধীনতা বলে কিছু ছিল না। অনেক সময় জেলায় যুব সভাপতি বদলে গিয়েছে তাঁকে না জানিয়েই! কলকাতায় একটা কর্মসূচি নেওয়ার অধিকারও তাঁর ছিল না!”

কেন অধিকারী পিতা-পুত্রের ডানা ছাঁটা হল, তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে নানা জল্পনা চলছে। দলের এক বর্ষীয়ান নেতার মতে, “পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকারী পরিবারের আধিপত্য কমিয়ে মুকুলদের প্রভাব বাড়ানোই এমন সিদ্ধান্তের কারণ।” শিউলির মতো মুকুল-ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে শুভেন্দুর সংঘাত হলদিয়া পুরভোটের সময়েই প্রকাশ্যে এসেছিল। দলের এক প্রথম সারির নেতার মন্তব্য, “দিদি (মমতা) ও দাদা (মুকুল) শুভেন্দুদের প্রতিপত্তি হয়তো মেনে নিতে পারছিলেন না!” ওই অংশের মতে, দলের সাফল্যের রেশ থাকতে থাকতেই অপ্রিয় কাজ সেরে নিতে চেয়েছেন মমতা। যাতে বিদ্রোহের বীজ বেশি দানা বাঁধার মতো পরিবেশ না পায়।

কিন্তু ২০১৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। যে নির্বাচনে বিজেপিকে নিয়ে এখন থেকেই বেশ চিন্তায় তৃণমূল শিবির। তার আগে শুভেন্দুর মতো একজন সংগঠককে এ ভাবে সরিয়ে দিলে তার প্রভাব সামলানো যাবে তো? যা শুনে শুভেন্দু-শিবিরের এক নেতার তির্যক মন্তব্য, “দিদি নিশ্চয়ই ভেবেছেন যে, মুকুল ও তাঁর লোকেদের দিয়ে উতরে যাওয়া যাবে!”

দলের একাংশের আরও অভিমত, মমতার ভাইপো তথা সর্বভারতীয় তৃণমূল যুবার সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংগঠনিক প্রভাব বিস্তারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁকে যুব সভাপতি পদ থেকে সরানোয় অভিষেকের রাস্তা অনেকটাই মসৃণ হয়ে গেল। ঘটনাচক্রে, সাংসদ অভিষেককে এ দিনই তৃণমূল রাজ্য কমিটিতে আনা হয়েছে।

কারও কারও ক্ষমতা খর্বের পাশাপাশি সদ্য লোকসভা ভোটে পরাজিত এবং তুলনামূলক ভাবে ‘বহিরাগত’ বেশ কিছু প্রার্থীকে নতুন দায়িত্বে নিয়োগ করেছেন মমতা। তাঁদের পদের কার্যকরী ক্ষমতা বিশেষ না থাকলেও দলকে মমতার বার্তা স্থানীয় বা জেলা স্তরে এঁদের নিয়ে যত বিরোধিতাই হোক, তাঁর ‘স্নেহধন্য’দের তিনি জায়গা করে দেবেনই। যেমন, মুর্শিদাবাদে হেরে যাওয়া গায়ক-প্রার্থী ইন্দ্রনীল সেনকে ওই জেলারই পরিদর্শক করেছেন মমতা। সেখানে এক জন জেলা সভাপতির বদলে মুর্শিদাবাদের তিন লোকসভা কেন্দ্র ধরে তিন জনকে সভাপতি করা হয়েছে! মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে সমাজবাদী পার্টি ছেড়ে আসা বিধায়ক চাঁদ মহম্মদ, জঙ্গিপুরে কংগ্রেস ছেড়ে আসা বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস এবং বহরমপুরে সুবোধ দাসকে সভাপতি করেছেন মমতা। আবার সমতলে খারাপ ফলের জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবকে

ভর্ৎসনা করে দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি করা হয়েছে দার্জিলিঙের পরাজিত প্রার্থী ভাইচুং ভুটিয়াকে। ভোটের পরে ইন্দ্রনীল এবং ভাইচুংকে সরকারি স্তরে পুরস্কারও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

দলনেত্রীর নির্দেশেই বসিরহাট ছেড়ে জঙ্গিপুরে লড়তে গিয়ে হেরেছেন হাজি নুরুল ইসলাম। বসিরহাট থেকে সদ্য সাংসদ হওয়া ইদ্রিস আলির জায়গায় নুরুলকে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে দলের আহ্বায়ক ছিলেন সৌরভ চক্রবর্তী। দুই কেন্দ্রেই তৃণমূল জয়ী হওয়ায় সৌরভকে জলপাইগুড়ি জেলার সভাপতি করে ‘পুরস্কার’ দিয়েছেন দলনেত্রী। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসে পুনর্নির্বাচনে জয়ী শান্তিপুরের বিধায়ক অজয় দে-কে নদিয়ায় দলের কার্যকরী সভাপতি করার কথাও ঘোষণা করেছেন মমতা। উত্তর ২৪ পরগনায় ভাল ফলের ‘পুরস্কার’ পেয়ে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক হয়েছেন জেলা সভাপতি। আর জেলা সভাপতি বিধায়ক নির্মল ঘোষ হয়েছেন জেলা পর্যবেক্ষক!

তিরস্কারও জুটেছে অনেকেরই। ভোটে প্রার্থীদের তো জয়ী করতে পারেনইনি, পরে প্রকাশ্যে কাজিয়ায় জড়িয়েছেন মালদহের দুই মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র ও কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। সাবিত্রীকে আগেই দফতরহীন মন্ত্রী করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বার তাঁকে মালদহ জেলা সভানেত্রীর পদ থেকে সরিয়ে নতুন সভাপতি করা হল দক্ষিণ মালদহ কেন্দ্রের পরাজিত প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেনকে। মহিলা তৃণমূলের দুই কার্যকরী সভানেত্রী, বিধায়ক স্মিতা বক্সী ও মালা সাহার জায়গায় তিন জনকে নতুন কার্যকরী সভানেত্রী করা হয়েছে। তাঁরা হলেন মৈত্রেয়ী সাহা (কংগ্রেসত্যাগী), ইন্দ্রাণী ব্রহ্ম (প্রয়াত ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা কমল গুহের সদ্য তৃণমূলে আসা মেয়ে) এবং সন্ধ্যা টুডু। আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বাদ পড়েছেন বিধায়ক ও পরিষদীয় সচিব তাপস রায়। আসানসোলে দোলা সেনকে জেতাতে না পারায় মন্ত্রিত্ব ও জেলা সভাপতিত্ব গিয়েছে মলয় ঘটকের। মমতা এ দিন জানিয়েছেন, শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভানেত্রী দোলাকে সহায়তা করবেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সিদ্ধান্তেও বিবাদের ক্ষেত্র বাড়ল বলে দলেরই একাংশের আশঙ্কা।

সাংসদ সৌগত রায়, দীনেশ ত্রিবেদী, কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর ও মন্ত্রী সুব্রতবাবুকে দলের সহ-সভাপতি করা হয়েছে। মমতা জানান, ১৫ দিনের মধ্যে সব স্তরেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গড়ে দেওয়া হবে। এ দিন দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সর্বভারতীয় ওয়ার্কিং কমিটির ব্যাপারে কোনও উচ্চবাচ্য হয়নি। দলের এক শীর্ষ নেতার ব্যাখ্যা, “পুরো বিষয়টি ছিল রাজ্য কমিটি নিয়ে। তাই সর্বভারতীয় ওয়ার্কিং কমিটি নিয়ে কথা হয়নি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE