Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

অল্প লোক, তবু আলিমুদ্দিনের জন্য প্রশ্ন মিছিলে

সদর দফতরে কামান দাগা হল ঠিকই। কিন্তু সেনা তেমন জুটল না! তরুণ নেতা শুভনীল চৌধুরীর দল থেকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে সিপিএমের কিছু বহিষ্কৃত এবং কিছু বর্তমান নেতা-কর্মীর উদ্যোগে মিছিল মঙ্গলবার বিকালে মধ্য কলকাতায় পথ পরিক্রমা করে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের সব্জি মোড়ে শেষ হল। দলের রাজ্য সদর দফতরের অদূরে দাঁড়িয়ে আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা, প্রসেনজিৎ বসু বা শুভনীলের মতো বহিষ্কৃত নেতারা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিমান বসু-সহ সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন। তাঁদের এই প্রতিবাদে শরিক হতে এসেছিলেন সাকুল্যে জনাপঁচিশ! বরং অভিনব এই প্রতিবাদ দেখতে সংবাদমাধ্যমের ভিড়ই ছিল বেশি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৪ ০৩:১৪
Share: Save:

সদর দফতরে কামান দাগা হল ঠিকই। কিন্তু সেনা তেমন জুটল না!

তরুণ নেতা শুভনীল চৌধুরীর দল থেকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে সিপিএমের কিছু বহিষ্কৃত এবং কিছু বর্তমান নেতা-কর্মীর উদ্যোগে মিছিল মঙ্গলবার বিকালে মধ্য কলকাতায় পথ পরিক্রমা করে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের সব্জি মোড়ে শেষ হল। দলের রাজ্য সদর দফতরের অদূরে দাঁড়িয়ে আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা, প্রসেনজিৎ বসু বা শুভনীলের মতো বহিষ্কৃত নেতারা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিমান বসু-সহ সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন। তাঁদের এই প্রতিবাদে শরিক হতে এসেছিলেন সাকুল্যে জনাপঁচিশ! বরং অভিনব এই প্রতিবাদ দেখতে সংবাদমাধ্যমের ভিড়ই ছিল বেশি।

মৌলানা আজাদ কলেজের সামনে থেকে রেজ্জাক, শুভনীলদের নিয়ে রফি আহমেদ কিদোয়াই রোড ধরে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট পর্যন্ত ওই মিছিলকে মুড়ে রাে পুলিশি নিরাপত্তা! দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেঙে দেওয়া এসএফআই ইউনিটের প্রাক্তন সদস্য জিকো দাশগুপ্ত যেমন মিছিলে ছিলেন, তেমনই ছিলেন হাসনাইন ইমাম, সুমন্ত সেন, দেবু মুখোপাধ্যায়ের মতো কলকাতার লোকাল ও শাখা কমিটির সিপিএম সদস্যেরা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, মিছিলকারীদের হাতে ছিল জ্যোতি বসু, অনিল বিশ্বাস, সুভাষ চক্রবর্তীর ছবি। সঙ্গে ব্যানার ‘রুখে দাঁড়ানোর পর্ব এখন, পরিতাপের সময় নয়, পার্টি আমার, পার্টি তোমার, পার্টি কারও বাপের নয়’!

আলিমুদ্দিন-মল্লিকবাজার লোকাল কমিটির সম্পাদক হাসনাইন (এমন মিছিলের জন্য যাঁর শাস্তি অবধারিত) অবশ্য বলেছেন, “কোনও বিদ্রোহ করার জন্য আমাদের এই কর্মসূচি নয়। কাউকে বহিষ্কার করে প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়াও কোনও সমাধান নয়। আমরা শুধু চাইছি, নিচু তলার কথা উপর তলার কানে পৌঁছে যাক।”

রেজ্জাক আবার এ দিন সরাসরিই ডাক দিয়েছেন, যাঁরা বুঝতে পারছেন অন্যায় হচ্ছে কিন্তু প্রতিকার মিলছে না, তাঁরা বেরিয়ে আসুন! রেজ্জাকের কথায়, “এর পরে গেটে (আলিমুদ্দিনের) হাজির হব! দরজা ধরে নাড়াব! তাতে যদি নেতাদের কানে জল ঢোকে!”

রেজ্জাকের ইঙ্গিত যাঁদের দিকে, তাঁদেরই এক জন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমানবাবুর কানে এ দিনের মিছিলের কথা তোলা হয়েছিল। বিমানবাবুর প্রাথমিক বক্তব্য, “বহিষ্কৃতদের মিছিল নিয়ে আমার কী বলার আছে?” পাশাপাশিই তাঁর ব্যাখ্যা, দলীয় ব্যবস্থার মধ্যে যে গণতন্ত্র আছে, তার সুযোগ শুভনীলেরা নিতে পারতেন। কিন্তু তাঁরা বাইরে আলোচনা করতে চলে গেলেন! দলের সর্ব স্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি বিমানবাবুর সতর্ক-বার্তা, “কেউ যদি মনে করেন কোনও বিষয়ে দলের মধ্যে আবার বাইরেও আলোচনা করবেন, তা হতে পারে না! তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রতিবাদ মিছিলে লোক হল না ঠিকই। তবে প্রশ্নগুলো রয়েই গেল!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

alimuddin
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE