এমনই ভিড়ের ধুম যে, ফর্ম বাড়ন্ত! ফের ছাপতে দিতে হয়েছে।
রাজ্য বিজেপি এর আগে এমন দিন দেখেনি। ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই নানা জেলায় বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে, দলের প্রাথমিক সদস্যপদের ফর্ম ফুরিয়ে গিয়েছে! তাই গত এক সপ্তাহে যাঁরা যোগ দিয়েছেন, তাঁদের সদস্যপত্র দেওয়াই যায়নি! যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নতুন ফর্ম ছাপিয়ে শুক্রবার জেলা সভাপতিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এই নতুন কর্মীদের কী ভাবে ধরে রাখা এবং কাজে লাগানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা করতে এ দিন দলের রাজ্য দফতরে বিজেপি-র রাজ্য কমিটির সঙ্গে সব ক’টি জেলার সভাপতির বৈঠক বসেছিল। রাজ্য নেতৃত্ব নির্দেশ দেন, সারা রাজ্যে মণ্ডল কমিটি থেকে শুরু করে ওয়ার্ড কমিটি গড়তে হবে। হাওয়া থাকতেই সংগঠন চাঙ্গা করে তুলতে এ বার ধারাবাহিক কর্মসূচির পথেও হাঁটতে চলেছে তারা। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালনের পক্ষ দিয়ে তার সূচনা হবে। শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যুদিন ২৩ জুন থেকে তাঁর জন্মদিন ৬ জুলাই পর্যন্ত ‘বাংলা বাঁচাও’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ জানান, ওই সময় কর্মীরা শ্যামাপ্রসাদের জীবন এবং বিজেপি-র কর্মসূচির কথা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করবেন। ২ জুলাই ‘উদ্বাস্তু দিবস’ পালন করা হবে। রাজ্যের একটি বড় রেল স্টেশন অথবা বাগডোগরা বিমানবন্দরের নামকরণ শ্যামাপ্রসাদের নামে করার দাবি তাঁরা কেন্দ্রের কাছে জানাবেন।
এর মধ্যেই ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাস-কবলিত এলাকা দেখতে আজ, শনিবার বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল আসছে রাজ্যে। মুখতার আব্বাস নকভি, মীনাক্ষি লেখি, সিদ্ধার্থনাথ সিংহের পাশাপাশি এ রাজ্যের দুই সদ্য নির্বাচিত বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া ও বাবুল সুপ্রিয়ও থাকবেন ওই দলে। সকাল ১১টায় কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁদের সোজা চলে যাওয়ার কথা সন্দেশখালির ধামাখালিতে। সেখান থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে আহতদের দেখে নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করবেন ওই প্রতিনিধিরা।
প্রতিনিধিদল আসার ২৪ ঘণ্টা আগেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার বসিরহাট এসডিপিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সন্দেশখালির বেশ কিছু আদিবাসী। বিজেপি-কে ভোট দেওয়ায় অত্যাচারের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে বলে তাঁদের অভিযোগ। আদিবাসী নেতা সুকুমার সর্দারের অভিযোগ, “সর্বত্র শাসক দলের বাইক বাহিনী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। জোর করে জমি দখল করে নিচ্ছে। পুলিশকে জানিয়ে সুরাহা না হওয়ায় মানুষ যখন বিজেপি-কে বেছে নিয়েছে, সে সময়ে তৃণমূলের হামলা আরও বেড়েছে।” তাঁর আরও অভিযোগ, মেছোভেড়ির লিজের টাকা আদিবাসীদের দেওয়া হচ্ছে না। গ্রামে গ্রামে চোলাইয়ের রমরমায় দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব আরও বেড়েছে। মহিলাদের উপরে অত্যাচার হচ্ছে। এই সব কথাই আজ বিজেপি-র প্রতিনিধিদলকে জানাতে চান ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy