Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

এক মিলে এক সংগঠন, প্রস্তাব মিল মালিকদের

শ্রমিক সংগঠনগুলির জঙ্গিপনা ও তাদের অন্তর্কলহ নিয়ে চটকল মালিকদের অভিযোগ নতুন নয়। শনিবারেও জুট কমিশনার সুব্রত গুপ্তর ডাকা বৈঠকে একই নালিশ জানালেন মালিকদের বিভিন্ন সংগঠন। তাঁদের অভিযোগ শোনার পরে কমিশনারও মালিকদের একাংশের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অসৎ কাজকর্ম নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন বলে সরকারি সূত্রের খবর।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৪ ০৩:১৩
Share: Save:

শ্রমিক সংগঠনগুলির জঙ্গিপনা ও তাদের অন্তর্কলহ নিয়ে চটকল মালিকদের অভিযোগ নতুন নয়। শনিবারেও জুট কমিশনার সুব্রত গুপ্তর ডাকা বৈঠকে একই নালিশ জানালেন মালিকদের বিভিন্ন সংগঠন। তাঁদের অভিযোগ শোনার পরে কমিশনারও মালিকদের একাংশের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অসৎ কাজকর্ম নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন বলে সরকারি সূত্রের খবর।

রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর প্রস্তাব ছিল, সমস্ত কলকারখানায় একটাই সংগঠন থাকা উচিত, যারা শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলবে। এ দিন জুট কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে সেই প্রস্তাবই দিয়েছেন চটকলের মালিক সংগঠন। তাদের বক্তব্য, একটি চটকলে এক গুচ্ছ সংগঠন থাকার ফলে সকলেই বেশি সংখ্যক শ্রমিককে নিজের দিকে টানার চেষ্টা করে। এতে শ্রমিক সংগঠনগুলির মধ্যে রেষারেষি লেগেই থাকে। পাশাপাশি কারা কত শক্তিশালী, মালিকপক্ষকে নিজেদের দাবি মানাতে কারা কত দক্ষ, তা বোঝাতে জঙ্গিপনাও কমে না। সব মিলিয়ে ব্যাহত হয় উৎপাদন। তাই একটি চটকলে একটিই সংগঠন থাকার পক্ষে সওয়াল করেছে মালিক সংগঠনগুলি।

জুট কমিশনারের কাছে মালিকপক্ষের দাবি, যেহেতু এ রাজ্যের চটকলগুলি পুরোপুরি চটের বস্তা বিক্রি করে টিঁকে আছে তাই যাতে নিয়মিত সরকারি বরাত মেলে সরকার সে ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করুক। একই সঙ্গে খাদ্যশস্য মজুত করার জন্য যাতে বেশি চটের বস্তা কেনা হয়, সেই আবেদনও জানান তাঁরা। সরকারি সূত্রের খবর, মালিকদের বক্তব্য শোনার পরে জুট কমিশনার জানান, চটকল মালিকদের একাংশ বাজার থেকে পুরনো বস্তা কিনে সরকারকে বিক্রি করছেন। কেউ আবার নিজের মিলে উৎপাদন না করে বাংলাদেশ ও নেপাল থেকে নিম্ন মানের চটের বস্তা কিনে সরবরাহ করছেন। এ বার থেকে এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট চটকলকে পাঁচ বছরের জন্য কালো তালিকাভূক্ত করা হবে।

শুক্রবার বস্ত্র মন্ত্রকের নির্দেশে ডেপুটি জুট কমিশনারের নেতৃত্বে একটি দল নর্থ ব্রুক চটকল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। কিন্তু মালিকপক্ষের অসহযোগিতায় চটকলের ভিতরে কোনও কিছুই খতিয়ে দেখতে পারেননি। জুট কমিশনার জানিয়েছেন, এখন থেকে কোনও সরকারি অফিসার চটকলে গেলে তাঁর চাহিদামতো সব দেখাতে বাধ্য থাকবেন মালিকপক্ষ। না দেখালে ধরে নেওয়া হবে ওই মিলে গোলমাল চলছে। তার ভিত্তিতে ওই মিলকে কালো তালিকাভূক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন জুট কমিশনার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE