কংগ্রেসে ভাঙন অব্যাহত। পুরভোটের আগে কাউন্সিলরদের অনেকেও কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে চলে যাচ্ছেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কাজের ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যের কিছু নেতা সম্প্রতি কয়েক বার হাইকম্যান্ডের দ্বারস্থ হয়েছেন। তা সত্ত্বেও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বে এখনও কোনও রদবদলের ইঙ্গিত দিচ্ছে না হাইকম্যান্ড। বরং, দলীয় সূত্রের দাবি, অধীর চৌধুরীকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্বই পালন করে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সনিয়া গাঁধী। সেই সঙ্গে রাজ্যে বেশি করে সরকার বিরোধী কর্মসূচি নিয়ে দলের শক্তি যথাসম্ভব বাড়ানোর কথাও বলেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী।
গতকালই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার দুই কাউন্সিলর মালা রায় এবং অরুণ দাস। এই ঘটনার ৭২ ঘণ্টা আগে সনিয়ার সঙ্গে দেখা করেছিলেন অধীর। ওই সাক্ষাৎকে মূলত ‘সৌজন্যমূলক’ বলে অধীর দাবি করেছেন। তবে রাজ্যে প্রতিকূলতার মধ্যেও তিনি কী ভাবে সংগঠন শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন, সে কথাও সনিয়াকে জানিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি। এ প্রসঙ্গে শহিদ মিনারে কংগ্রেসের ‘সফল’ সমাবেশের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
সনিয়া-অধীর এই বৈঠকের সপ্তাহখানেক আগেই প্রদীপ ভট্টাচার্য, দীপা দাশমুন্সি, সোমেন মিত্র, আব্দুল মান্নান ও আবু হাসেম খান চৌধুরী ১০ নম্বর জনপথের দ্বারস্থ হয়ে অধীরকে পদ থেকে অপসারণের দাবি জানান। সে ব্যাপারে কি সনিয়া তাঁকে কিছু বলেছেন? অধীরের জবাব, “আমি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করার জন্য সভানেত্রীর সঙ্গে দেখা করিনি। কংগ্রেস সভানেত্রীও এ বিষয়ে আমাকে কিছু বলেননি।”
অধীর শিবিরের যুক্তি, কংগ্রেস ছেড়ে যাঁরা যাচ্ছেন, তাঁরা স্বেচ্ছায় যাচ্ছেন। দলের নেতা কে, সেটা বিবেচ্য নয়। মালাদেবীর মতো নেত্রীরা বুঝতে পারছেন, কংগ্রেসে থাকলে এ যাত্রায় আর পুরভোটে জিততে পারবেন না। সেই কারণেই দল ছাড়ছেন এবং তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy