মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো এবং তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চড় মেরে যিনি মামলার মুখে পড়েছেন, সেই দেবাশিস আচার্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কিন্তু দেবাশিসকে যারা মেরেছে, তাদের কী হবে? এই প্রশ্ন তুলে মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় হলফনামা পেশের জন্য মঙ্গলবার রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।
সাংসদকে চড় মারার জন্য পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের যুবক দেবাশিসের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে মামলা শুরু করে পুলিশ। অথচ তাঁকে যারা পিটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির যথাযথ ধারায় মামলা দায়ের না-হওয়ায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন বিপ্লব চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি।
মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সৌমিত্র পালের আদালতে। বিচারপতি নির্দেশ দেন, ২২ মার্চের মধ্যে রাজ্য সরকারকে আদালতে হলফনামা পেশ করতে হবে। বিপ্লববাবুকে পাল্টা হলফনামা দাখিল করতে হবে ২৯ মার্চের মধ্যে।
পুলিশ জানায়, গত ২২ জানুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের একটি সভায় গিয়েছিলেন অভিষেক। পুলিশের অভিযোগ, ওই সাংসদের ছবি তোলার অছিলায় মোবাইল ফোন নিয়ে মঞ্চে উঠেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা দেবাশিস। কিছু ক্ষণের মধ্যেই তিনি সপাটে চড় মেরে বসেন অভিষেককে। তার পরেই মঞ্চে উপস্থিত তৃণমূলের লোকজন ওই যুবককে বেধড়ক পেটাতে থাকে বলে অভিযোগ। মারধরে গুরুতর জখম হন ওই যুবক। তাঁকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাঁকে পাঠানো হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।
সাংসদকে চড় মারার জন্য পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই দেবাশিসের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। কিন্তু যারা ওই যুবককে পেটাল, পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেনি বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। সরকার দেবাশিসের চিকিৎসার খরচ বহন করে। তিনি এখন কিছুটা সুস্থ। তাঁকে কিছু দিন আগে হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy