Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

এ বার সিদ্ধার্থের মামলার মুখে অভিষেক-কল্যাণ

বাগযুদ্ধের পরে এ বার আইনি লড়াই! হয় নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা অথবা ১০ কোটি টাকার মামলার মুখে পড়া। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর সঙ্গে তাঁকে জড়িয়ে তৃণমূলের দুই সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে কুরুচিকর ও অমর্যাদাপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বলে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক এবং পশ্চিমবঙ্গে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিদ্ধার্থনাথ সিংহ আগেই অভিযোগ করেছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:৪৭
Share: Save:

বাগযুদ্ধের পরে এ বার আইনি লড়াই! হয় নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা অথবা ১০ কোটি টাকার মামলার মুখে পড়া।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর সঙ্গে তাঁকে জড়িয়ে তৃণমূলের দুই সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে কুরুচিকর ও অমর্যাদাপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বলে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক এবং পশ্চিমবঙ্গে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিদ্ধার্থনাথ সিংহ আগেই অভিযোগ করেছিলেন। তার ভিত্তিতেই ১০ জানুয়ারি ওই দুই তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলার হুমকি দিয়ে আইনজীবী মারফত আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন লালবাহাদুরের নাতি, সিদ্ধার্থনাথ।

সিদ্ধার্থনাথের সম্পর্কে হুগলির গুড়াপের একটি সভায় কল্যাণবাবু এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে এক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক কুরুচিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিষেক ভাঙড়ের পরে কলকাতা-সহ বিভিন্ন জায়গার সভাতেও কটু মন্তব্য করেছেন। সিদ্ধার্থনাথের আইনজীবী আইনি নোটিসে বলেছেন, গত নভেম্বর ও ডিসেম্বরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর সঙ্গে সিদ্ধার্থনাথকে জড়িয়ে অন্তত দু’টি জায়গায় যে-ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে, তাতে গোটা শাস্ত্রী পরিবারের সম্মান ও মর্যাদা নষ্ট হয়েছে। ওই মন্তব্য একাধিক আঞ্চলিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। তাতেও ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর নাতি সিদ্ধার্থনাথের।

দুই তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যের পর পরেই বিষয়টি নিয়ে হইচই হয়। শোরগোল পড়ে যায় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেও। সেই সময়ে কল্যাণবাবু ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন। তবে সিদ্ধার্থনাথের তরফে আইনি নোটিসে বলা হয়েছে, ওই মন্তব্য করার জন্য সংসদে যে-ভাবে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে, তা যথেষ্ট নয়। কারণ, ক্ষমা চাওয়ার ভাষা যথাযথ ছিল না। তাই ওই আইনি নোটিস পাঠানোর দু’সপ্তাহের মধ্যে দুই তৃণমূল সাংসদকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করা হবে ওই দুই সাংসদের বিরুদ্ধে।

বিজেপি নেতার আইনি নোটিসকে তৃণমূল নেতৃত্ব বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না। রাজ্যের শাক দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবার পাল্টা কটাক্ষ করে বলেন, “বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে আমাদের সঙ্গে পেরে উঠছে না। তাই আইনি লড়াইয়ের পথে যাচ্ছে। যাঁদের নোটিস দিয়েছে, তাঁরা আইনের পথেই জবাব দেবেন।” কল্যাণ অবশ্য এ দিন জানান, তিনি এখনও কোনও আইনি নোটিস পাননি। তাঁর সংক্ষিপ্ত মন্তব্য, “নোটিস পেলে কী করা যায়, তা ঠিক করব।” অভিষেকও এ দিন কোনও নোটিস পাননি বলে জানান। তিনি বলেন, “নোটিস পেলে আইনের পথেই লড়ব। সৌজন্য দেখিয়ে এত দিন চুপ করে ছিলাম। ওর বিরুদ্ধে এ বার ২০টি আইনি নোটিশ পাঠাব।”

“আমার আইনজীবীই তার জবাব দেবেন,” পাল্টা বলেছেন সিদ্ধার্থনাথ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE